ফ্রান্সে ১৩শ বছর ধরে পাথরে আটকে থাকা 'ম্যাজিক' তলোয়ার গায়েব

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ফ্রান্সের রোকামাডোর শহরে ১৩০০ বছরের অধিক সময় ধরে পাথরে আটকে থাকা একটি 'ম্যাজিক' তলোয়ার গায়েব হয়ে গেছে। তলোয়ারটিকে বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন, অবিনাশী এবং সবচেয়ে তীক্ষ্ণ বলে ধরা হতো।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়, ডুরান্ডাল তরোয়ালটি ফরাসি এক্সক্যালিবার নামে পরিচিত। অনেকে বিশ্বাস করেন, একজন দেবদূত অষ্টম শতাব্দীতে পবিত্র রোমান সম্রাট শার্লেমেনকে তলোয়ারটি দিয়েছিলেন।

যদিও এটি জানা যায়নি কি কারণে অস্ত্রটি রহস্যজনকভাবে উধাও হয়েছে, স্থানীয়রা বিশ্বাস করে যে এটি চুরি হয়েছে। সম্ভবত তরোয়ালটি মাটি থেকে ১০০ ফুট উপরে পাথরের প্রাচীরে আটকানো ছিলো।

১১ শতকের "দ্য গান অফ রোল্যান্ড"-এর কবিতায় তরোয়ালটিতে 'জাদু ক্ষমতা' রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এটি ফরাসি সাহিত্যের প্রাচীনতম টিকে থাকা রচনা। এর একমাত্র টিকে থাকা কপিটি এখন অক্সফোর্ডের বোদলিয়ান লাইব্রেরিতে রাখা হয়েছে।

তলোয়ার এবং এর আশেপাশের চিত্র শহরের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ছিলো। শহরের মানুষেরা বিশ্বাস করতো, অবিনাশী তলোয়ারটি এক আঘাতে পাথর কেটে ফেলতে পারে।

প্রচলিত আছে রাজা শার্লেমেন তার সেরা সৈনিক রোল্যান্ডকে জাদুর তলোয়ারটি উপহার দিয়েছিলেন। যুদ্ধে মারা যাওয়ার আগে, রোল্যান্ড তরোয়ালটি ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিলেন যাতে তার শত্রুরা এটি ব্যবহার করতে না পারে তবে তা ভাঙতে পারেননি তিনি।

হতাশায় তিনি তলোয়ারটিকে বাতাসে ছুঁড়ে মারেন এবং এটি শত শত কিলোমিটার উড়ে ফরাসি শহর রোকামাডোরে একটি পাহাড়ে অবতরণ করে।

তরবারির আকস্মিক বিলুপ্তি স্থানীয়দের বিচলিত করেছে, তারা অনেকেই বিশ্বাস করে তাদের ভাগ্য কিংবদন্তি এ অস্ত্রের সাথে জড়িত।

এ বিষয়ে মেয়র ডমিনিক লেনফ্যান্ট একটি ফরাসি সংবাদপত্রকে বলেছেন, ডুরান্ডাল তরোয়ালটি খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এটি কয়েক শতাব্দী ধরে রোকামাডোরের অংশ ছিল। তবে তরোয়ারটি খোঁজার জন্য সব ধরণের পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রাচীন নিদর্শনটি খুঁজে বের করার জন্য একটি তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তবে কীভাবে ১০০ ফিট উপরে পাথরের মুখে উঠে তলোয়ারটি বের করে নিয়ে গেছে তার কোনো সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পানেনি পুরিশ।