ইরানে চলছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ভোট দিচ্ছেন আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ি

ভোট দিচ্ছেন আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৫ জুলাই) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই তেহরানের ইমাম খোমেনেয়ি হুসেইনিয়াতে ভোট দেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ি।

ইরানের আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, ভোট দেয়ার পরে সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচনের এ দিনটিকে ভাল দিন হিসেবে বর্ণনা করে এই গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।

এর আগে শুক্রবার (২৮ জুন) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হয়। পরে ফলাফলে দেখা যায় কোন প্রার্থীই এককভাবে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাননি। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী তাই পরবর্তী শুক্রবার (৫ জুলাই) প্রথম দফায় সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্তদের মধ্যে লড়াই হচ্ছে। দ্বিতীয় দফায় লড়াই করছেন সংস্কারপন্থি হিসেবে পরিচিত মাসুদ পেজেশকিয়ান এবং কট্টরপন্থী হিসেবে পরিচিত সাইদ জালিলি। তাদের দুজনের মধ্য থেকে নিজেদের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বেছে নেবেন ইরানিরা। 

প্রথম দফায় নিজেদের ভোটাধিকার প্রদান করেন দুই কোটি ৪৫ লাখ ৩৫ হাজার ১৮৫ জন, যা মোট ভোটারদের ৩৯.৯২ শতাংশ। শুক্রবার হাজার হাজার মোবাইল কেন্দ্রসহ সারা দেশে প্রায় ৫৯ হাজার ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছে। পাশাপাশি ইরানি প্রবাসীরা যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে সেজন্য বিদেশেও শত শত ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

বাইডেনের প্রার্থিতা নিয়ে উদ্বিগ্ন ন্যাটো মিত্ররা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপক্ষে প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বয়স এবং স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কূটনীতিক ও বিশ্ব নেতারা।

উত্তর আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (ন্যাটো) শীর্ষ সম্মেলনের ঠিক আগ মুহূর্তে এমন উদ্বেগ প্রকাশ করলেন সামরিক সংস্থাটির সদস্যরা।

তারা মনে করেন, আগামী ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারাতে হলে বাইডেনকে প্রমাণ করতে হবে যে, তিনি আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের জন্য যথেষ্ট প্রস্তুত এবং শক্তিশালী।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম দ্য পলিটিকোর মতে, ন্যাটো মিত্ররা বাইডেনকে তার দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য ট্রাম্পের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেখতে চান। তবে তারা আসন্ন নির্বাচনে সাবেক প্রেসিডেন্টকে পরাজিত করার ক্ষেত্রে বাইডেনের সক্ষমতা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

রিপাবলিকান প্রার্থীর বিপক্ষে প্রথম প্রসিডেন্সিয়াল বিতর্কে ৮১ বছর বয়সি বাইডেন বিপর্যয়কর পারফরম্যান্স উপহার দেন। এর পরে কিছু ইউরোপীয় কর্মকর্তা বাইডেনের স্ট্যামিনা এবং নেতৃত্বের সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

বাইডেনের বিষয়ে ন্যাটোর একজন ইউরোপীয় কর্মকর্তা বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্টের যথেষ্ট বয়স হয়েছে, যেটা বুঝতে আপনাকে জিনিয়াস হতে হবে না। আমরা নিশ্চিত নই যে, ভোটে জয়ী হলেও তিনি আরও চার বছর বেঁচে থাকবেন কিনা।’

ন্যাটোর আরেক ইইউ কর্মকর্তা মন্তব্য করেছেন, ‘আমরা সবাই চাই যে বাইডেন আবারও ট্রাম্পকে হারিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসুক। তবে এটি সত্যিই আশ্বস্তকর বিষয় নয়।’

তা সত্ত্বেও ন্যাটো মিত্ররা উদ্বিগ্ন যে বাইডেন কতক্ষণ ইউরোপীয় প্রতিরক্ষার জন্য মার্কিন সমর্থন অব্যাহত রাখতে পারবেন। যেহেতু ট্রাম্প অন্যান্য দেশের জন্য সমর্থন বাড়ানোর বিষয়ে সন্দিহান।

প্রথম বিতর্কের পর ন্যাটোভুক্ত দেশের একজন কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘আমরা আমাদের প্রতিরক্ষা সম্পর্কে আরও আলাপ আলোচনা করছি, কারণ দেখে মনে হচ্ছে ট্রাম্প আবার ফিরে আসছেন!’

এত সব উদ্বেগ সত্ত্বেও, যদিও অনেক মিত্র ট্রাম্পের চেয়ে বাইডেনকেই পছন্দ করেন, তবে বয়সের কারণে বাইডেনের দীর্ঘমেয়াদী সম্ভাবনা সম্পর্কেও আবার অনিশ্চিত তারা।

ডেমোক্র্যাটদের কেউ কেউও বাইডেনকে নির্বাচনি দৌড় থেকে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করার কথা বিবেচনা করছেন বলে জানা গেছে।

যদিও প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রকাশ্যে বলেছেন যে, তিনি পুনরায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

;

প্রধান দাবি থেকে সরে আসলো হামাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত চুক্তির একটি সংশোধিত প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে হামাস। যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য চলমান আলোচনায় মূল দাবি বাদ দিয়েছে গোষ্ঠীটি। এর মধ্য দিয়ে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির নতুন আশার দেখা দিল।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর আক্রমণের মাধ্যমে যুদ্ধ শুরুর আগে গাজা নিয়ন্ত্রণ করেছিল ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। তবে তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তির মূল দাবি বাদ দেওয়ার প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে বলে জানা গেছে।

হামাস এবং একজন মিসরীয় কর্মকর্তা শনিবার (৬ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছেন। এ ছাড়া এই বিষয়ক প্রস্তাবে ইসরায়েলের জবাবের অপেক্ষায় রয়েছে হামাস। রবিবার (৭ জুলাই) হামাসের দুই কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন।

একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস এ প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, এর মধ্য দিয়ে চুক্তিটি শেষ হতে পারে। নভেম্বর থেকে যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্ব শুরু হতে পারে। আর এর মধ্য দিয়ে ৯ মাসের বিধ্বংসী যুদ্ধের অবসান ঘটাতে যাচ্ছে।

এ নিয়ে আরও আলোচনা হতে পারে। তবে সব পক্ষই সতর্ক করেছে যে, চুক্তিটি এখনও নিশ্চিত নয়।

এদিকে গাজা উপত্যকার একটি স্কুলে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছে এবং বহু মানুষ আহত হয়েছে। ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন।

যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই এ ধরনের হামলা চালাল ইসরায়েল। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেন্ট্রাল গাজার শরণার্থী শিবিরে ওই ভবনটিতে কয়েক হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল।

ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) বলেছে, তারা আল জাওনি স্কুল এলাকায় কিছু অবকাঠামো, যেখান থেকে সন্ত্রাসীরা কাজ করছিল, সেখানে আক্রমণ করেছে। অন্যদিকে ওই শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে ভিন্ন এক হামলায় আরও ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিবিসির ধারণা অনুযায়ী, ভবনটিতে সাত হাজারের মতো মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল।

অন্যদিকে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের ৯ মাস পূর্ণ হলো রোববার। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় শুরু করা পাল্টা হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

হামাসের ওই দিনের হামলায় ১ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হন। এ সময় আরও প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় সশস্ত্র যোদ্ধারা।

;

গাজার স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ১৬



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
গাজার স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলা/ছবি: এএফপি

গাজার স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলা/ছবি: এএফপি

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন।

রোববার (০৭ জুলাই) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভবনটির মধ্যে গাজার নুসিরাত শরণার্থী শিবিরের হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল।

ইসরায়েল বলেছে, তারা যে ভবনকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে সে ভবনে হামাসের সৈন্যরা ছিল।

প্রায় আট মাস ইসরায়েল এবং হামাসের চলমান সংঘাতের মধ্যে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনার মধ্যে এ হামলা চালানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, গাজার ঘণবসতিপূর্ণ এলাকার একটি স্কুলকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলা চালায়। এ ভবনে প্রায় ৭ হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস এর দেওয়া তথ্য মতে, গত ৭ অক্টোবরে শুরু হওয়া ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় ফিলিস্তিনের ৩৮ হাজার ৯৮ জন নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৮৮ হাজার মানুষ। এসময় প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক সাংবাদিক। অন্যদিকে ইসরায়েলের ১ হাজার ২০০ নিহত হয়েছে।

;

কাশ্মীরে বন্দুকযুদ্ধে দুই ভারতীয় সেনাসহ নিহত ৮



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় ভারতীয় সেনারা। ছবি- সংগৃহীত

কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় ভারতীয় সেনারা। ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত শাসিত কাশ্মীর অঞ্চলে দুটি পৃথক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় দুই সেনাসহ সশস্ত্র গোষ্ঠীর ছয় সদস্য নিহত হয়েছেন। শনিবার কুলগাম জেলার মোদেরগ্রাম ও ফ্রিসাল চিন্নিগাম এলাকায় পৃথক দুইটি ঘটনায় তারা প্রাণ হারান। পুলিশ বলছে, এমতবস্থায় বিতর্কিত ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

রোববার (৭ জুলাই) কাশ্মীর পুলিশের মহাপরিদর্শক বিধান কুমার বির্দির বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানায়, বিতর্কিত ওই অঞ্চলের কুলগাম জেলার দুই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নিরাপত্তা বাহিনী। এসময় দুই সেনা সদস্য নিহত হন।

কুমার বির্দি বলেন, ‘আমরা মোদেরগ্রাম থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠীর দুই সদস্য ও ফ্রিসাল চিন্নিগাম থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠীর চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। মোদেরগ্রাম ও ফ্রিসাল চিন্নিগাম গ্রামে এখনও বন্দুকযুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে।’

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিতর্কিত ওই অঞ্চলটিতে ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে ১৯৮০ এর দশকের শেষের দিকে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল। তখন থেকে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সহিংসতা কিছুটা কমে গেছে। ভারত এই অঞ্চলে সশস্ত্র গোষ্ঠীকে সমর্থনের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে। তবে এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে পাকিস্তান।

উল্লেখ্য, ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই হিমালয় অঞ্চলটিকে নিজেদের বলে দাবি করে। তবে কাশ্মীরকে ভাগ করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে দুই দেশ।

;