প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার ইরানের রয়েছে

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নিজের দেশে হামলা হলে তার প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার রয়েছে বলে জানিয়েছে ইরান। গত ৩১ জুলাই হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়া তেহরানে অবস্থানকালে তাকে হত্যা করা হয়। এতে ইরানের স্বার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ হয়েছে বলে ইরান দাবি করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইরান বলেছে, এ হত্যা মেনে নেওয়া যায় না।

শনিবার (২৪ আগস্ট) তুরস্কের সংবাদসংস্থা আনাদুলু এজেন্সি (এএ) ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করে।

বিজ্ঞাপন

খবরে বলা হয়, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিদের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে ইরানের এ অধিকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

এক বিবৃতিতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগচি শুক্রবার বলেন, ইরান এ অঞ্চলে (মধ্যপ্রাচ্য) যুদ্ধের বিস্তৃতি ঘটাতে চায় না। কিন্তু হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া তেহরানে অবস্থানকালে তাকে হত্যার প্র্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার রাখে ইরান।

ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন সেজোরনি এবং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ল্যাম্মির সঙ্গে আলাদাভাবে ফোনে তিনি এ কথা বলেন।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের পর যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব এক বিবৃতিতে জানান, গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সর্বশেষ ইতিবাচক আলোচনার বিষয়ে ইরানকে জানিয়েছেন এবং দেশটিকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেজোরনির সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে বলেন, ইরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার অর্থ হচ্ছে ইরানের সার্বভৌমত্ব এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা। 

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৩১ জুলাই তেহরানে অবস্থানকালে ইসমাইল হানিয়া রহস্যজনকভাবে হত্যার শিকার হন। তাকে হত্যার কয়েক ঘণ্টা আগে লেবাননে হেজবুল্লাহ নেতা ফুয়াদ শুকুরকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে হত্যা করা হয়। এরপর মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে চরম উত্তেজনা শুরু হয়। দুটি হামলার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করা হলে ইসরায়েল শুধুমাত্র ফুয়াদ শুকুরকে হত্যার দায় স্বীকার করে কিন্তু ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ।