সিরিয়ায় ভবন ধসে নিহত ১১



আন্তর্জাতিক ডেস্ক,বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি ভবন ধসে ৪ শিশুসহ ১১জন নিহত হয়েছে বলে দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে।

আলেপ্পোর সালাহেদ্দীন নামক এলাকায় ধসে পড়া এই ভবন থেকে একটি শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সম্প্রাতিক সময়ে যুদ্ধের কারণে সিরিয়ার এই এলাকার বাসিন্দাদের জানমালের

ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধসের পড়া ভবনটি যুদ্ধের সময় বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো।

২০১৭ সালের জাতিসংঘের এক জরিপে, যুদ্ধবিধ্বস্ত শহরটির ৩৫ হাজারের বেশি অবকাঠামো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি ভবন ব্যক্তিগত উদ্যোগে পুনর্নিমাণ করা হচ্ছে।

 

   

রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের আগে যা ঘটেছিল, জানালেন প্রত্যক্ষদর্শী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্তের আগে কী ঘটেছিল, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ গোলাম হোসেইন ইসমাইলি।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঘটনার দিন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ানকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির পাশেই আরেকটি হেলিকপ্টারে থাকা ইসমাইলি বলেন, আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যান প্রেসিডেন্ট রাইসি। যেখানে উপস্থিত ছিলেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও।

সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ানসহ অন্য কর্মকর্তারা।

সোমবার (২০ মে) রাষ্ট্রীয় টিভিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গোলাম হোসেইন ইসমাইলি বলেন, আমাদের পুরো বহরের দায়িত্বভার ছিল প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির পাইলটের ওপর। বাঁধ উদ্বোধন শেষে যাত্রা শুরুর ৪৫ মিনিট পর রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের পাইলট অন্য দুটি হেলিকপ্টারের পাইলটকে সংকেত দেন আরও উঁচুতে উঠে ভ্রমণ করার। মূলত তিনি কাছাকাছি থাকা ঘন মেঘ এড়িয়ে যেতে চেয়েছিলেন।

ইসমাইল আরও বলেন, ওই সময় হঠাৎ রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি উধাও হয়ে যায়। ঘন মেঘের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার ৩০ সেকেন্ড পর আমাদের পাইলট প্রথম খেয়াল করেন, প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দেখা যাচ্ছে না। এরপর আমাদের পাইলট বৃত্তাকারে ঘুরতে থাকেন। হেলিকপ্টারটি খুঁজতে থাকেন।

তিনি বলেন, আমরা রেডিও ডিভাইসের মাধ্যমে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করার বেশ কয়েকবার চেষ্টা করি। কিন্তু তা সফল হয়নি। এরপর আমাদের হেলিকপ্টারটি উচ্চতা কমিয়ে আনে এবং পাশের একটি তামার খনিতে অবতরণ করে।

এসময় ‘অদৃশ্য হয়ে যাওয়া’ হেলিকপ্টারে থাকা পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদোল্লাহিয়ান ও প্রেসিডেন্ট রাইসির নিরাপত্তা ইউনিটের প্রধানকে বারবার কল করা হয়। কিন্তু তাদের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

ওই কর্মকর্তা বলেন, তবে অন্য দুটি হেলিকপ্টারের পাইলটরা প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারের দায়িত্বে থাকা ক্যাপ্টেন মোস্তাফাভির সঙ্গে যোগাযোগ করারা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।

ইসমাইলি বলেন, জটিল ওই পরিস্থিতিতে শুধু রাইসির হেলিকপ্টারে থাকা ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনির মুখপাত্র মোহাম্মদ আলী আল-হাশেমের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়। তার (আল-হাশেম) অবস্থা ভালো ছিল না। তিনি শুধু জানান, একটি উপত্যকায় তাদের হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা যখন বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের অবস্থান খুঁজে পাই, তখন মরদেহের অবস্থা দেখে বুঝতে পারি, প্রেসিডেন্ট রাইসিসহ অন্য ব্যক্তিরা তাৎক্ষণিকভাবে শহীদ হয়েছেন। তবে একমাত্র আলে-হাশেম হয়তো ঘণ্টাখানেক বেঁচে ছিলেন।

এর আগে, ইরানের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, পার্বত্য অঞ্চলে বৈরী আবহাওয়ায় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ান নিহত হয়েছেন।

গত রোববার (১৯ মে) দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি। দুর্ঘটনার পরপরই প্রেসিডেন্ট ও তার সঙ্গীদের উদ্ধারে অংশ নেয় ৪০টি দল। তবে দুর্ঘটনাস্থলে ভারী বৃষ্টিপাত ও ঘন কুয়াশার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। অঞ্চলটি পাহাড়-পর্বতে ভরপুর হওয়ায় দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টার অভিযান শেষে রাইসির হেলিকপ্টারের খোঁজ পান উদ্ধার কর্মকর্তারা।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানায়, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বেল ২১২ মডেলের একটি হেলিকপ্টার বহন করছিল। এই মডেলটি যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি। ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পরে যুক্তরাষ্ট্রের এটি ইরানের কাছে বিক্রি করার কথা নয়। সে হিসেবে উড়োযানটি অন্তত ৪৫ বছরের পুরনো।

এর আগেও আকাশপথে দুর্ঘটনায় দেশটির অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। প্রতিরক্ষা ও বিভিন্ন সময়ে পরিবহনমন্ত্রী, ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড ও সেনাবাহিনীর কমান্ডার বিমান বা হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।

;

পরোয়ানা জারি হলেই নেতানিয়াহুকে গ্রেফতারের ঘোষণা নরওয়ের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গণহত্যা এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্ভাব্য গ্রেফতারি পরোয়ানার মুখে আছেন। এছাড়া বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি রাজনৈতিক ও সামরিক নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পথে রয়েছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

বুধবার (২২ মে) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (২০ মে) আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান। আইসিসির ওয়েবসাইটেও আবেদনের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার এবং হামাসের অন্য দুই নেতার বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন করেছেন তিনি।

এ পরিস্থিতিতে পরোয়ানা জারি হলেই নেতানিয়াহুকে গ্রেফতারের চমকপ্রদ ঘোষণা দিয়েছে নরওয়ে। দেশটি বলছে, আইসিসির ওয়ারেন্ট জারি হলে নেতানিয়াহুকে গ্রেফতার করতে তারা বাধ্য।

অন্যদিকে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকাতে জরুরি বৈঠক করেছেন নেতানিয়াহু। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইসরায়েল বলেছে, এটি নজিরবিহীন অপমান।

এই আবেদনের প্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মন্তব্য করেছেন, ইসরায়েল এবং হামাসকে এক কাতারে দেখা ঠিক নয়।

তবে নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ এইডে বলেছেন, হেগ ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হলে এবং তারা নরওয়েতে আসলে তাদের গ্রেফতার করতে বাধ্য থাকবে তার দেশ। নরওয়ের একটি অনলাইন সংবাদপত্র বলেছে, নেতানিয়াহু নরওয়ে সফরে আসলে তাকে (গ্রেফতার করে) প্রত্যর্পণ বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে সমর্পনের ঝুঁকি রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ এইডে।

এখন হামাস ও ইসরায়েলি নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয় বিবেচনা করবেন আইসিসির বিচারপতিদের একটি প্যানেল। মূলত করিম খানের অফিসের উপস্থাপিত প্রমাণগুলো মূল্যায়ন করবেন তারা। পরোয়ানা জারি হলে আদালতের রোম সংবিধিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো সুযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আটক করতে বাধ্য থাকবে।

;

ফিলিস্তিনকে আজ স্বীকৃতি দিতে পারে আয়ারল্যান্ড



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনকে আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ‘রাষ্ট্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে আয়ারল্যান্ড সরকার।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, চলতি সপ্তাহেই ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য দেশ আয়ারল্যান্ড, স্পেন, স্লোভেনিয়া এবং মাল্টা একসঙ্গে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পরিকল্পনা করছে। ইউরোপের এই দেশগুলোর নেতারা মনে করেন, মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির জন্য দ্বি–রাষ্ট্রীয় সমাধান অপরিহার্য।

আইরিশ সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, দ্বি-রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিই দুদেশের মধ্যে শান্তি বয়ে আনতে পারে। বুধবার আইরিশ প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের দ্বি-রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত জানাবেন।

এদিকে, মঙ্গলবার (২১ মে) ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে পশ্চিমা বিশ্বের এমন পরিকল্পনাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দ্বি-রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দুদেশের মধ্যে শান্তির পরিবর্তে সন্ত্রাসবাদ এবং সংঘাত আরও বাড়াবে। আপনারা হামাসের হাতের পুতুল হয়ে যাবেন না।’

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় নিহতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। উদ্বাস্তু হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। হাজার হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি গাজায় দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্যসংকট। এমন পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পক্ষে অনেক দেশই সোচ্চার হচ্ছে। বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে ইসরায়েলকে নিয়েও সমালোচনা তীব্র হচ্ছে। ইসরায়েরের ব্যাপারে ইউরোপের অনেক দেশ তাদের অবস্থান পরিবর্তন করছে। তারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে।

;

ইরানের পরবর্তী নেতা হতে পারেন খামেনির ছেলে মোজতবা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর দেশটিতে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। রাইসির মৃত্যুর আগে থেকেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতার ছেলেকে তার পিতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির উত্তরসূরির সম্ভাব্য প্রার্থী বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রতিবেদন- দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।

৫৫ বছর বয়সী মোজতবা খামেনি ইরানের রাজনীতিতে অন্তরালের মানুষ হিসেবে পরিচিত। তবুও রাজনীতিতে মোজতবা খামেনির একটি শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে। রাইসির মৃত্যুর আগে শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির উত্তরসূরি হিসেবে তার নামই বার বার উঠে এসেছিল। কিন্তু রাইসির আকস্মিক মৃত্যুর পর মোজতবা খামেনি ইরানের পরবর্তী নেতা হতে যাচ্ছেন সেই জল্পনা আরও বেড়েছে। তবে অনেক বিশ্লেষক বলেছেন, ৮৫ বছর বয়সী সর্বোচ্চ নেতার অবসর এবং তার জায়গায় নতুন উত্তরসূরি আসার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

অনেকেই মনে করছেন রাইসির মৃত্যু শুধু নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সূচনাই করবে না একইসাথে আয়াতুল্লাহ খামেনির স্থলাভিষিক্ত হওয়ার নির্বাচনকেও নতুন মোড় দেবে।

ক্লেমসন ইউনিভার্সিটির লেকচারার আরাশ আজিজি বলেন, ২০০৯ সালের দিকে মানুষ সর্বপ্রথম মোজতবা খামেনীকে একজন সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসাবে কথা বলতে শুরু করে। তখন আমি এটিকে একটি সস্তা গুজব বলে মনে করেছিলাম। কিন্তু এখন আর তেমনটা নয়। এটা এখন খুব স্পষ্ট যে, মোজতবা খামেনী একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। তিনি অসাধারণ কারণ তিনি জনসাধারণের চোখে প্রায় সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য ছিলেন।

আরাশ আজিজি আরও বলেন, ইরানের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি ক্রমবর্ধমান অংশ প্রকাশ্যে মোজতবা খামেনীকে সমর্থন করতে শুরু করেছে।
মোজতবা খামেনি আয়াতুল্লাহর আলী খামেনীর ছয় সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় পুত্র। তিনি একজন রক্ষণশীল হার্ড-লাইনার হিসেবে পরিচিত। মোজতবা খামেনি ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ইসলামী প্রজাতন্ত্রের করণিক এবং রাজনৈতিক অভিজাতদের মধ্যে বেড়ে ওঠেন এবং পরবর্তীতে শক্তিশালী বিপ্লবী গার্ডের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এখন, তিনি তার বাবার অধিদপ্তর পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন বলে মনে করা হয়।

কিন্তু অনেক বিশ্লেষক আবার মনে করছেন খামেনি তার ছেলেকে উত্তরসূরী করবেন না। কারণ আয়াতুল্লাহ খামেনি নিজের ছেলেকে উত্তরসূরি করলে তাতে মনে হতে পারে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচনে গণতন্ত্র বজায় নেই এবং এখানে বংশানুক্রমিক ব্যবস্থা চালু হয়েছে।
মোজতবা খামেনি কোমে অবস্থিত ইরানের সবচেয়ে বড় সেমিনারিতে পড়ান। তবে রাজনৈতিক কৌশলে তিনি অনেক পারদর্শী বলে মনে করা হয়। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর উপর তার বড় প্রভাব রয়েছে। এছাড়া ইরানের গোয়েন্দা বাহিনীর সঙ্গেও তার রয়েছে গভীর যোগাযোগ। সর্বপরী ইরানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার সঙ্গে মোজতবা খামেনির উচ্চ-স্তরের যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

আয়াতুল্লাহ খামেনি তার ছেলেকে উত্তরাধিকার বিবেচনার তীব্র বিরোধী ছিলেন বলে বার্তা সংস্থা আইএলএনএকে বলেছেন সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচনকারী বিশেষজ্ঞ পরিষদের সদস্য আলেম মাহমুদ মোহাম্মদী আরাঘি।

চলতি বছরের শুরুর দিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার উত্তরাধিকার বিষয়ে আলোচনায় খামেনি এমন মনোভাব প্রকাশ করেন বলে জানান তিনি।

ইরানের নীতি অনুযায়ী, সর্বোচ্চ নেতার আসন শুন্য হলে বিশেষজ্ঞদের সমাবেশকে সর্বসম্মতিক্রমে সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচন করতে হবে। ততদিন পর্যন্ত তারা দেশ পরিচালনার জন্য তিন বা পাঁচ সদস্যের নেতৃত্ব পরিষদ বেছে নিতে পারবে।

;