মার্কিন নির্বাচন: ভোটের ফ্যাক্টর ৭ অঙ্গরাজ্যে

  হাতি-গাধার লড়াই ২০২৪
  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

শেষ মুহূর্তের উত্তেজনায় ভরপুর মার্কিন নির্বাচন। দ্বিতীয়বারের মতো রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি দেশটির ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস যাচ্ছেন হোয়াইট হাউসের দখলে। সে উত্তর মিলবে আর কয়েক ঘণ্টা পরই।

এরই মধ্যে দেশটিতে গত ২৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া আগাম ভোটপর্বে ৮ কোটির বেশি ভোট পড়েছে। ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ৪৩টিই ডেমোক্রেট ব্লু কিংবা রিপাবলিকান রেড স্টেট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এসব অঙ্গরাজ্যের জয়-পরাজয় অনেকটাই নিশ্চিত। ফলে নির্বাচনের মূল ফ্যাক্টর হয়ে দেখা দিয়েছে দোদুল্যমান ৭টি অঙ্গরাজ্যে।

বিজ্ঞাপন

এসব অঙ্গরাজ্যেগুলো হলো- নেভেদা, মিশিগান, জর্জিয়া, উইসকনসিন, নর্থ ক্যারোলিনা, অ্যারিজোনা ও পেনসিলভিয়া। এই অঙ্গরাজ্যেগুলোতে বিরামহীন প্রচারণা চালিয়েছেন দুই মার্কিন প্রার্থী।

বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এবারের ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল কখন জানা যাবে তা নির্ভর করছে দুই প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কেমন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় তার ওপর।
যুক্তরোষ্ট্রে ‘সুইং স্টেট’ বা দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য গুলোতে উভয় দলের জয়-পরাজয়ের সম্ভাবনা থাকে। সেই রাজ্যগুলোর ফল চূড়ান্ত না হলে, নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল জানার জন্য অপেক্ষা করতে হতে পারে। যদি এসব রাজ্যে ভোটের ব্যবধান খুব কম থাকে, তবে ফল ঘোষণা কিছুটা বিলম্বিত হতে পারে। তবে যদি কোনো প্রার্থী এসব রাজ্যে বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে থাকেন, তাহলে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল দ্রুত জানা সম্ভব হবে।

বিজ্ঞাপন

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে পেনসিলভানিয়াই নির্ধারণ করবে কে পাবে হোয়াইট হাউজের চাবি। এর অন্যতম কারণ এটি একটি বড় অঙ্গরাজ্য। এর রয়েছে ১৯টি ইলেক্টোরাল কলেজ। সবমিলিয়ে এই রাজ্যের ইলেক্টোরাল ভোট যে পক্ষে যাবে, সে পক্ষই জিতবে এমন একটা কথা বলছেন প্রায় সকলেই। তবে উল্লেখ করতেই হয় ২০১৬ ও ২০২০ দুই ভোটেই পেনসিলভেনিয়ার ইলেক্টোরাল কলেজের সমর্থন ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে ছিলো। 

উল্লেখ্য, আমেরিকায় ভোট দেওয়ার যোগ্য নাগরিকের সংখ্যা ২৩ কোটির বেশি। এ বারের নির্বাচনে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি। সর্বশেষ ২০২০ সালের নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ছিল ৬৬ শতাংশ, যা ছিল গত এক শতকের মধ্যে সর্বোচ্চ। সে বার আগাম ভোট পড়েছিল প্রায় ১০ কোটি।