আদানির বিরুদ্ধে ঘুষ ও প্রতারণার অভিযোগের পরেই শেয়ারে ধস
বিশ্বের অন্যতম ধনী ও ভারতের আদানি গ্রুপের চেয়ারপারসন গৌতম আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে আদানির কিছু কোম্পানির শেয়ারে দরপতন শুরু হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডি’স আদানি সংস্থাগুলোর জন্য ঋণমান কমিয়েছে। আদানি গ্রুপের শীর্ষ বিনিয়োগকারী অংশীদার জিকিউজি (GQG) তাদের বিনিয়োগ মূল্যের প্রায় ২৫ শতাংশ হারিয়েছে।
আদানি গ্রুপের ডলার বন্ডও রেকর্ড পরিমাণ কমেছে। আদানি গ্রীন এনার্জির মার্কিন কর্পোরেট বন্ড মার্কেট থেকে ৬০ কোটি ডলার সংগ্রহ করার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু এমন অভিযোগ প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা আগেই তাদের বন্ড বিক্রি বাতিল করা হয়।
আদানি গোষ্ঠীর অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর ১০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। শেয়ার বাজারের প্রথম ঘণ্টায় আদানি গ্রুপের স্টক থেকে ২৩ বিলিয়ন ডলার কমেছে।
এর আগে ২০২৩ সালে নিউইয়র্ক-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হিনডেনবার্গ গবেষণার এক রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর গৌতম আদানির মালিকানাধীন বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের মূল্যে ধস নামে। ওইসময় আদানি গ্রুপের ফার্মের শেয়ারমূল্য ১৫০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি পতন হয়েছিলো।
উলেখ্য, তাঁর বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২৫ কোটিরও বেশি ডলার ঘুষ দিয়ে নিজ দেশে বিশাল এক সৌরশক্তি প্রকল্পে বিনিয়োগকারীদের সাথে প্রতারণা করার কথা বলা হয়েছে।
আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সেসব বিনিয়োগকারীকে প্রতারিত করেন, যারা একটি প্রকল্পে বহু বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছেন। তিনি তাদের তার এ পরিকল্পনার কথা জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন যে, ভারতীয় কর্মকর্তাদের তিনি ২৫ কোটিরও বেশি ডলার ঘুষ দিয়ে সৌরশক্তি সরবরাহের এ লাভজনক চুক্তিটি পান।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ঘুষকাণ্ড এগিয়ে নিতে গৌতম আদানি নিজেই একাধিকবার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।