‘পাখির ভাষায়’ কথা বলেন যে গ্রামের বাসিন্দারা!



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পাহাড়েরর কোল ঘেঁষা তুরস্কের কুশকয় গ্রাম/ ছবি: সংগৃহীত

পাহাড়েরর কোল ঘেঁষা তুরস্কের কুশকয় গ্রাম/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তুরস্কের পাহার ঘেরা প্রত্যন্ত গ্রাম কুশকয়। কৃষ্ণ সাগরের উপকূলে পাহাড়ের পাদদেশের এই গ্রামের মানুষ অদ্ভুতভাবে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে। তারা কোনো শব্দ ব্যবহার করেন না। তারা পাখির মতো শিস দিয়ে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করেন। এ কারণে এ ভাষার নাম হয়ে গেছে ‘পাখির ভাষা’।

গ্রামটিতে মূলত কৃষকরা বাস করেন। তারা চা, ভুট্টা, বীট ও অন্যান্য শস্য চাষ করেন এবং পশুপাখি পালন করেন। তুরস্কের অন্যান্য জায়গার বাসিন্দাদের সাথে তাদের কোনো মিল নেই। তাদের এই গোপন পাখির ভাষা তাদেরকে তুর্কিদের থেকে আলাদা করেছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/19/1558243737055.jpg

এক ভিডিওতে দেখা যায়, পাহাড়ের উপর দাঁড়িয়ে তার স্ত্রীর উদ্দেশে শিস দিচ্ছেন চল্লিশোর্ধ্ব এক পুরুষ। তার জবাবে নিচে পাহাড়েরর কোলঘেঁষা ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে ঐ শিসের জবাব দিচ্ছেন তার স্ত্রী। একজন চা বাগানে কাজ করছেন, বাড়ির সামনে থেকে তাদের উদ্দেশে আরেক জন শিস দিয়ে জানাচ্ছেন, খাবার প্রস্তুত, খেতে আস।

এভাবেই কোনো শব্দ ব্যবহার না করে কুশকয় গ্রামের বাসিন্দারা কথা বলেন। তবে প্রাত্যহিক জীবনের সকল প্রয়োজনে এই শিস ব্যবহার করলেও কারও সাথে কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক বা গোপন কথার ক্ষেত্রে তারা এই শিস ব্যবহার করেন না। তাহলে যে ধরা খেয়ে যাবেন!

এই কুশকয় গ্রামের তরুণ-তরুণীরাও প্রেম করেন। তবে প্রেমের ক্ষেত্রে তারা শিসের ব্যবহার থেকে বিরত থাকেন। কারণ উচ্চস্বরের এই শিস অনেক দূর থেকে শোনা যায়। তাই নিজেদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই তারা প্রেমের সম্পর্কে শিস দেওয়া থেকে বিরত থাকেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/19/1558243752839.jpg

ইউনেসকোর তথ্যমতে, তুরস্কের ঐ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ এই পাখি ভাষা অর্থাৎ শিস দিয়ে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করেন। সংস্থাটি এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের সংকটাপন্ন অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছে।

তবে কুশকয় গ্রামের বাসিন্দারাও তাদের পাখির ভাষাকে টিকিয়ে রাখতে বাৎসরিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। তাদের স্থানীয় স্কুলগুলোতে এই ভাষার উপর বাচ্চাদের পড়ানো হচ্ছে, শিস দেওয়া শেখানো হচ্ছে।

   

‘বাইডেনের ইসরায়েলপ্রীতি-ই গাজায় দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির কারণ’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফাঁস হওয়া বেশ কিছু গোপন নথিতে গাজায় দুর্ভিক্ষ সৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার প্রশাসনের সহযোগিতার বিষয়টি উঠে এসেছে। নথি অনুযায়ী বাইডেনকে খোদ তার প্রশাসনের কর্মকর্তারাই ‘দুষ্কৃতিকারী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিষয়গুলো সামনে এনেছে। এখানে বলা হয়, গাজা উপত্যকায় প্রায় সাত মাস ধরে চলমান গণহত্যায় প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পানীয়ের অভাবে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ইসরায়েলের এসব আগ্রাসনে প্রতিদিন অসংখ্য প্রাণ নিভে গেলেও যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ এই কাজে অবিরাম সহযোগিতা করছেন। 

প্রতিবেদনটিতে বাইডেন প্রশাসনের অসংখ্য ভুল পদক্ষেপ ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত উন্মোচন করা হয়েছে যার ফলে উত্তর গাজায় বিপর্যয়কর দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। ফাঁস হওয়া নথি, বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের সাক্ষ্য এবং গাজার ভুক্তভোগীদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবরে গাজা উপত্যকায় সামরিক আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। এরপর গত সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে সেই আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি নিরস্ত্র ও নিরীহ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৮০ হাজার। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাঁপা পড়েছেন আরও ৭ সহস্রাধিক মানুষ।

ইসরায়েলের নির্বিচার বোমাবর্ষণে গাজার ২৩ লাখ অধিবাসীর মধ্যে ১৯ লাখই এখন উদ্বাস্তু যারা গত কয়েক মাস ধরে খোলা আকাশের নিচে দিনাতিপাত করছেন। গাজার এসব বাসিন্দা বিদেশি সাহায্যনির্ভর হলেও সীমান্ত দিয়ে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী ঢুকতে না দেয়ায় শুরু থেকেই ব্যাপক খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যা ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে রূপ নিয়েছে।

আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সেই প্রথম থেকেই দুর্ভিক্ষের ব্যাপারে সতর্কতা ও হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে। তবে গত সপ্তাহে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) প্রথমবারের মতো জানায়, ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রায় সাত মাস পর উপত্যকাটির উত্তরাঞ্চলে ‘পুরোদমে দুর্ভিক্ষ’ শুরু হয়েছে।

গত ৫ মে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসির সম্প্রচার করা এক সাক্ষাৎকারে ডব্লিউএফপির নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি ম্যাককেইন বলেন, ইসরায়েলের অবরোধের মধ্যে গাজার অধিবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে বাইরের খাদ্য সহায়তার ওপর নির্ভরশীল ছিলেন।

এরই মধ্যে এ উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু করার পর সেখানে মানবিক সহায়তা সরবরাহের ওপর ব্যাপকভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ইসরায়েল। গাজার বাসিন্দাদের চূড়ান্তভাবে একঘরে করে ফেলেছে ও এখানকার একাংশকে দুর্ভিক্ষের মুখে ঠেলে দিয়েছে এটি। দুর্ভিক্ষ এখন ছড়িয়ে পড়ছে গাজার দক্ষিণে।

ত্রাণ সহায়তায় নিয়োজিত সংস্থাগুলো বলছে, আকাশ ও সমুদ্রপথে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের সরবরাহ করা ত্রাণ গাজার ২৩ লাখ মানুষের জন্য যথেষ্ট নয়। তাদের ক্রমবর্ধমান একটি অংশ অপুষ্টির শিকার হওয়ার পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে। এছাড়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে শিশুদের বিকাশ এবং ক্ষুধায় মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটছে।

দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজেদের বিশেষজ্ঞ দল এবং ত্রাণ সহায়তা সংস্থা বারবার সতর্কবার্তা দেয়ার পরও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এর মাধ্যমে তিনি মূলত গাজায় দুর্ভিক্ষ সৃষ্টিতে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ উঠছে।

দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, তারা মার্কিন ত্রাণ সংস্তা ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি)-এর বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তা ও গাজায় কর্মরত বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থার কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। এছাড়া ইউএসএআইডির অভ্যন্তরীণ বহু নথি তাদের হাতে এসেছে।

প্রতিবেদন মতে, বর্তমান ও সাবেক মার্কিন কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার ও ফাঁস হওয়া নথিগুলো বলছে যে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার প্রশাসন দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে গাজায় পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তার অনুমতি দেয়ার জন্য মিত্র ইসরায়েলকে রাজি করার জন্য নিজের সক্ষমতা ব্যবহার করার আবেদন বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে বা উপেক্ষা করেছে।

সাবেক মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন যে, যুদ্ধবিরতি বা সংকট নিরসনের আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাকে বাধা দিয়ে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি করতে ইসরায়েলকে যাবতীয় কূটনৈতিক সহযোগিতা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র যার ফলে গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ ও সরবরাহ প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের সাবেক কর্মকর্তা জোশ পল, যিনি ইসরাইলি যুদ্ধে ঢালাও মার্কিন সমর্থনের কারণে পদত্যাগ করেছিলেন, তিনি দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টকে বলেছেন, 

একটা জনগোষ্ঠীকে অনাহারে মারার পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্র সেদিক থেকে শুধুমাত্র চোখই ফিরিয়ে থাকেনি, বরং দেশটি এর সঙ্গে সরাসরি জড়িত।

ইসরায়েল বরাবর জোর গলায় বলে এসেছে যে, গাজায় কোনো ক্ষুধা বা খাদ্য সংকট নেই। উল্টো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের ওপর দোষ চাপিয়ে বলেছে, গাজায় ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করেছে হামাস।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, গত এপ্রিল পর্যন্ত গাজায় অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার কারণে কমপক্ষে ৩২ জন মারা গেছেন যার মধ্যে ২৮ জনই শিশু। মৃত্যুর প্রহর গুনছেন আরও অনেকেই। এ ব্যাপারে অনেক আগে থেকেই উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা জানিয়ে আসছে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন যদি সরকারিভাবে ও ব্যক্তিগতভাবে সেসব উদ্বেগের বিষয়ে আরও জোরালো পদক্ষেপ নিতেন, তাহলে অনেকের মৃত্যু রোধ করা যেত। কর্মকর্তারা বলছেন, গত ডিসেম্বরে প্রথম যখন সতর্কতা সংকেত দেয়া হয়েছিল, তখন সীমান্তের আরও স্থল ক্রসিং খোলার জন্য ইসরায়েলের উপর যুক্তরাষ্ট্র চাপ অব্যাহত এবং ত্রাণ সরবরাহ চালু রাখলে গাজার দুর্ভিক্ষ থামানো যেত।

কিন্তু বাইডেন ইসরায়েলকে মার্কিন সামরিক সহায়তা দানকে শর্তসাপেক্ষ করতে অস্বীকার করেন। পরিবর্তে তার সরকার এয়ারড্রপস তথা বিমান থেকে ত্রাণ ফেলা এবং গাজায় ভাসমান বন্দর নির্মাণের মতো সময়সাপেক্ষ ও অকার্যকর উপায় অনুসরণের সিদ্ধান্ত নেয়।

সারা বিশ্বই এখন জানে যে,  এয়ারড্রপস তথা বিমান থেকে ত্রাণ ফেলার কার্যক্রম পুরোটাই ব্যর্থ হয়েছে। এদিকে সংঘাতের সাত মাস পার হয়ে গেলেও গাজায় অস্থায়ী বন্দর তৈরির কাজ এখনও শেষ হয়নি; যার ফলে গাজায় দুর্ভিক্ষ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের তথ্য মতে, গাজার উত্তরে প্রায় ৩ লাখ ফিলিস্তিনি এখন সম্পূর্ণ দুর্ভিক্ষের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং ২৩ লাখ জনসংখ্যা বিপর্যয়কর মাত্রার ক্ষুধার সম্মুখীন হয়েছেন।

;

উত্তর প্রদেশে জেতা আসন ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ বিজেপি’র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতে পশ্চিম উত্তর প্রদেশের লড়াই শেষ। আগামী তিন দফায় নির্বাচন হতে যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের বুন্দেলখণ্ড ও পূর্বাঞ্চল এলাকায়, যা প্রথাগত ভাবে বিজেপির আস্তানা বলেই পরিচিত।

এনডিটিভি জানিয়েছে, উত্তর প্রদেশে প্রথম চার দফায় বিজেপি যে বেশ কিছু জেতা আসন হারাতে চলেছে, সে বিষয়ে এক রকম নিশ্চিত বিজেপি নেতৃত্ব।

ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে বাকি তিন দফায় পাঁচ বছর আগে বিজেপি যে ফলাফল পেয়েছিল, তা ধরে রাখতেই এখন মরিয়া তারা।

২০১৪ সালে উত্তর প্রদেশে ৭১ আসনে জিতেছিল বিজেপি। ২০১৯ সালে সেই আসন কমে দাঁড়ায় ৬২-তে।

এবার ৮০টি আসনের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামলেও, আগামী তিনটি পর্বে নতুন করে আসন জিতে ঘাটতি মেটানো তো দূরে থাক, জেতা আসন ধরে রাখাই এখন প্রধান লক্ষ্য বিজেপি নেতৃত্বের।

প্রথম চারটি পর্বে মূলত কৃষক, জাঠ ও মুসলিম অধ্যুষিত পশ্চিম উত্তর প্রদেশের ৩৯টি আসনে ভোট হয়েছে। আগামী সোমবার বুন্দেলখণ্ড ও মধ্য উত্তর প্রদেশে ১৪টি আসনে নির্বাচন হতে চলেছে।

পাঁচ বছর আগে ওই ১৪টি আসনের মধ্যে রায়বরেলি ছাড়া বাকি সব কয়টিতে জিতেছিল বিজেপি। বাকি দুটি পর্বে যে ২৭টি আসনে বিজেপি ও তার শরিক দলগুলো মোট ২৩টি আসন জিতেছিল। বাকি চারটি আসন পেয়েছিল মায়াবতীর দল বিএসপি।

সব মিলিয়ে বাকি থাকা ৪১টি আসনের মধ্যে পাঁচ বছর আগে গেরুয়া শিবির জেতে ৩৬টি আসনে। ফলে বিজেপি বুঝতে পারছে ওই এলাকায় নতুন করে ভাল ফল করা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য।

এ ছাড়াও এবার দেশের অন্যান্য স্থানের মতোই মোদি ঝড়ের কোনও অস্তিত্ব নেই যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে। সুতরাং বুন্দেলখণ্ড ও পূর্বাঞ্চলে দলের ফল কেমন হবে, তা নিয়েও উদ্বিগ্ন বিজেপি নেতৃত্ব।

বিশেষ করে উত্তর প্রদেশের অন্তত ২০টি লোকসভায় জয়ের ব্যবধান ১০ হাজারেরও কম ছিল। সেই আসনগুলোতে মোদি ঝড়ের অভাবে দলীয় প্রার্থীরা নিজের কারিশমায় কতটা ভোট টানতে পারেন, তার উপরে ফলাফল অনেকটাই নির্ভর করছে।

তাছাড়া পাঁচ বছর আগে বিজেপিকে অনেকটাই স্বস্তি দিয়ে উত্তর প্রদেশের ৩৭টি আসনে প্রার্থী দেয়নি বিএসপি। ফলে গত লোকসভা নির্বাচনে দলিত ও জাটভ ভোটের একটি বড় অংশ বিজেপির প্রার্থীর ঘরে পড়ে।

কিন্তু, এই পর্বে দলিত সমাজের বড় অংশ মুখ ফিরিয়েছেন বিজেপি থেকে। তা ছাড়া বিজেপির চারশো আসন পেলে সংবিধান পরিবর্তন করে সংরক্ষণ তুলে দিতে পারে, বিরোধীদের ওই প্রচারও প্রভাবিত করেছে দলিত সমাজকে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, গতবার বিজেপি প্রার্থীরা গণ হারে দলিত ভোট পেলেও, এবার তারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বলেই প্রাথমিক প্রবণতায় লক্ষ করা যাচ্ছে।

এমনকি যে কেন্দ্রে বিএসপি প্রার্থী নেই, সেখানে শ্রেণি-শত্রু হলেও সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীকে ভোট দিতে দ্বিধা করছেন না দলিত প্রার্থীরা। তবে বিজেপির জন্য ইতিবাচক হল, দারা সিংহ চৌহান ও সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টির নেতা ওমপ্রকাশ রাজভড়ের এনডিএ-তে অন্তর্ভুক্তি।

বিজেপি নেতৃত্বের মতে, দারা সিংহের অন্তর্ভুক্তির ফলে গোটা উত্তর প্রদেশে বিভিন্ন স্থানে যে ননিয়া-চৌহান ভোট রয়েছে, তা বিজেপির পক্ষে যাবে। আর ওমপ্রকাশ রাজভড় পেছনে থাকায় পূর্বাঞ্চলে রাজভড় তথা পিছিয়ে থাকা সমাজের ভোট বিজেপি প্রার্থীরা পেতে চলেছেন।

তবে বিজেপির কাছে বাড়তি চ্যালেঞ্জ হল পূর্বাঞ্চলে মায়াবতীর মোকাবিলা করা। গতবার মোদি ঝড় থাকা সত্ত্বেও পূর্বাঞ্চলে চারটি আসন দখল করে নিয়েছিল মায়াবতীর দল। এবার পরিস্থিতি ভিন্ন।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিভাজনের রাজনীতিও এবারের ভোটে সেভাবে হাওয়া তুলতে ব্যর্থ হয়েছে।

উল্টা দিকে নানাবিধ কারণে বিজেপির বিরুদ্ধে যাদব ভোটের মতো দানা বেঁধেছে দলিত ভোটও। বিজেপি নেতৃত্ব ভাল করেই জানেন, সংঘবদ্ধ ওই দলিত ভোট অনেক হিসেব গুলিয়ে দিতে পারে।

সেই কারণে এখন মোদি ৪০০ আসনের লক্ষ্য ছেড়ে ভিন্ন বিষয়ে প্রচারে জোর দেওয়ার কৌশল করেছেন।

;

গাজায় ভারতের সাবেক সেনা কর্মকর্তা নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকায় সন্দেহভাজন ইসরায়েলি হামলায় জাতিসংঘে কর্মরত ভারতের এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

আল জাজিরা জানিয়েছে, ভারত সরকার এবং জাতিসংঘের মহাসচিব সাবেক এই সেনা কর্মকর্তার মৃত্যুতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে।

৪৬ বছর বয়সি ওয়াইভভ অনিল কালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্নেল হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন এবং গাজার বিপর্যস্ত রাফাহ অঞ্চলে জাতিসংঘের সুরক্ষা বিভাগে নিরাপত্তা সমন্বয় কর্মকর্তা হিসাবে কাজ করছিলেন।

রাফাহতে গাড়িতে করে যাওয়ার সময় তার গাড়িটি হামলার শিকার হয় বলে জানা গেছে।

এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অনিল কালে স্ত্রী অমৃতা এবং দুই সন্তান ছেলে বেদান্ত এবং মেয়ে রাধিকাকে রেখে গেছেন।

এদিকে জাতিসংঘ বলেছে, তারা এই হামলার তদন্ত শুরু করেছে। জাতিসংঘ মহাসচিবের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক মঙ্গলবার (১৫ মে) বলেছেন,
‘হামলার দায় নির্ধারণের জন্য জাতিসংঘ একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং প্যানেল গঠন করেছে।’

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বুধবার (১৫ মে) বলা হয়েছে, ‘নিউইয়র্কে জাতিসংঘে আমাদের স্থায়ী মিশন এবং তেল আবিব ও রামাল্লায় আমাদের মিশন অনিল কালের মৃতদেহ ভারতে প্রত্যাবাসনের কাজ করছে। এ ছাড়াও ঘটনার তদন্তের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখছে ভারত সরকার। আমরা তার পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’

অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক মিত্র ও সাহায্য গোষ্ঠীগুলো বারবার রাফাতে স্থল হামলার বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে।

গাজায় জাতিসংঘের প্রধান সাহায্য সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ অনুমান করেছে যে, এই মাসের শুরু থেকে প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার মানুষ শহর ছেড়ে পালিয়েছে।

;

গুলিবিদ্ধ স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো

স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো

  • Font increase
  • Font Decrease

স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোকে গুলি করেছে এক বন্দুকধারী। এতে গুরুতর অবস্থায় তাকে একটি গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া যায়। এরপর হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

বুধবার (১৫ মে) প্রধানমন্ত্রীর অফিসিয়াল এবং ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশটির মধ্যাঞ্চলের হ্যান্ডলোভাতে একটি সরকারি বৈঠক শেষে বের হয়ে আসার পর সেখানে উপস্থিত জনতার মধ্য থেকে বন্দুকধারী ফিকোকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি ছোড়েন।

সর্বশেষ আপডেটে বিবিসি জানিয়েছে, ফিকোর শারীরিক অবস্থা ভালো নেই এবং তার গায়ে লাগা গুলির জখম বেশ গুরুতর। হামলার পরপরই একজনকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

এমন ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট জুজানা ক্যাপুতোভা তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানান, এমন ঘটনায় "আমি হতবাক"। এই সংকটময় মুহূর্ত থেকে রবার্ট ফিকোর দ্রুত ফিরে আসার জন্য আমি প্রার্থনা করছি। 

তবে কী কারণে ফিকোর ওপর গুলি চালানো হয়েছে তার সঠিক কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এ ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকেও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ফিকো। ওই সময় ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানান তিনি।

;