সোলাইমানি হত্যায় বিশ্বনেতাদের প্রতিক্রিয়া
ইরানের প্রভাবশালী নেতা কাসিম সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই উদ্বেগ বেড়েছে পুরো বিশ্বে। বিশ্লেষকরা ধারণা করছে এর ফলে নতুন করে আরেকটি যুদ্ধ দেখতে যাচ্ছে বিশ্ববাসী। এদিকে এই ঘটনার পর মধ্যপ্রাচ্যে আরও চার হাজার সেনা মোতায়েন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
কাসিম সোলাইমানি হত্যায় বিভিন্ন দেশ নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিন্দার মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেট দলের নেতারা এই হত্যাকাণ্ডকে ট্রাম্পের বোকামি বলে ‘আখ্যা’ দিয়েছেন। আর মার্কিন সিনেটররা দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধের নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা প্রত্যাহার করে নিতে মার্কিন কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কখন ইরানে পৌঁছাবে সোলাইমানির মরদেহ?
ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ডেমোক্রেট নেতা জো বাইডেন এক টুইট বার্তায় বলেন, হামলার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে আমরা বড় ধরনের সংঘাতে পড়ে যেতে পারি।
তবে এই হত্যা করার জন্য ট্রাম্পের প্রশংসা করছেন অনেক রিপাবলিকান নেতা। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পে এক টুইট বার্তায় জানান, সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর বাগদাদে নাচানাচি করছে মানুষ।
এদিকে সোলাইমানি হত্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে এক ফোনালাপে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ সময় ম্যাক্রোঁও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: ইরানের হামলার আশঙ্কায় মধ্যপ্রাচ্যে ৪ হাজার সেনা মোতায়েন
ফ্রান্স এক বিবৃতিতে জানায়, এ হামলা পৃথিবীকে আরও বিপজ্জনক স্থানে নিয়ে যাচ্ছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক বিবৃতির মাধ্যমে জানায়, মধ্যপ্রাচ্যে আর কোনো যুদ্ধ হলে সামলাতে পারবো না। তিনি বিশ্বনেতাদের সংযমী হতে আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে সোলাইমানিকে হত্যা করার জন্য ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ইসরায়েলের যেমন আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে তেমনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও একই অধিকার রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইরাকে ফের মার্কিন হামলা, নিহত ৬
সোলেইমানি হত্যার ফলে ভয়াবহ যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদুল-মাহদি। আর চীন ও ব্রিটেন দুই দেশকেই সংযম থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, এই হত্যাকাণ্ডের কঠিন প্রতিশোধ নেওয়া হবে।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ইরাকের বাগদাদে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত হয় ইরানের কুদস বাহিনীর প্রধান জেনারেল কাসিম সোলাইমানি। হত্যার কিছুক্ষণ পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দফতর পেন্টাগন হামলার দায় স্বীকার করে।
আরও পড়ুন: সোলাইমানিকে হত্যা করে পথের কাঁটা সরাল যুক্তরাষ্ট্র