মুখোমুখি ইরান-যুক্তরাষ্ট্র: বছরের সূচনালগ্নেই যুদ্ধের ঘণ্টা?



ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
বছরের সূচনালগ্নেই যুদ্ধের ঘণ্টা?

বছরের সূচনালগ্নেই যুদ্ধের ঘণ্টা?

  • Font increase
  • Font Decrease

অনেক আশাবাদের আলোয় নতুন বছর ২০২০ এলেও বছরের সূচনালগ্নেই বাজলো যুদ্ধের ঘণ্টা। মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংঘাতময় ও যুদ্ধংদেহী পরিস্থিতিতে যেন আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধের দামামা শোনা যাচ্ছে। ইরানি জেনারেল কাসিম সোলাইমানিকে হত্যা এবং তারপর আরেক দফা হামলার মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তেমনই বার্তা জানিয়েছে।

ইরান-মার্কিন সম্পর্ক বৈরীতার মধ্য দিয়ে চলছে সেই ১৯৭৯ সাল থেকে। সে বছর রেজা শাহকে হটিয়ে ইমাম খোমেনির নেতৃত্বে ইরানে ইসলামি বিপ্লব সফল হলেও মার্কিনিরা সাহায্য ও সমর্থন করে শাহকে। শাহকে নিরাপদে পালাতে ও নির্বাসনে থাকতে পূর্ণ মদদ দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

প্রতিক্রিয়ায় ইরানের বিপ্লবীরা রাজধানী তেহরানে মার্কিন দূতাবাস ঘেরাও করে সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জিম্মি করে। তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের আমল। বৈরীতা তখন থেকেই।

পরবর্তী রিগান, বুশ (সিনিয়র ও জুনিয়র), ওবামা হয়ে ট্রাম্পের আমল পর্যন্ত সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটে, যদিও আফগানিস্তানের সুন্নি তালেবান ও ইরাকের সুন্নি আইএস দমনে ইরান ছিল মার্কিনীদের সহযোগী।

ইরানের বিরুদ্ধে ইরাকের সাদ্দাম হোসেনের যুদ্ধেও যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাত্মক সাহায্য পান সাদ্দাম, যদিও পরে তিনিও প্রাণ হারান মার্কিনীদের হাতে।

ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানে ইসরায়েল সব সময়ই সঙ্গী ছিল আর এখন মার্কিনীদেরকে ইরান প্রশ্নে সমর্থন দিচ্ছে সৌদি আরব।

ইরান-মার্কিন বৈরীতার সামরিক প্রকাশ মাঝে মাঝে হরমুজ প্রণালীতে পরিলক্ষিত হলেও বাণিজ্যিক প্রভাব দেখা গেছে সর্বদাই। মার্কিনীরা ইরানের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করে চলেছে, যেমনটি তারা সময় সময় করেছে উত্তর কোরিয়া, কিউবা, ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে।

তবে ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন অবরোধ দীর্ঘস্থায়ী ও সর্বাত্মক। ইরানের সম্পদ আটক ছাড়াও আমদানি, রফতানি, বাণিজ্য সম্পর্ক বন্ধ করেছে মার্কিনীরা এবং কোনও দেশকেও করতে দিতে চাচ্ছে না। প্রায়-একঘরে হয়েও ইরান টিকে আছে আশ্চর্যজনক ঐক্য ও সংহতির কারণে।

অবরোধের কারণে ইরান তেল বিক্রিতে পিছিয়ে আছে। ন্যায্য দামও পাচ্ছে না। ইরানের উৎকৃষ্ট বাদাম, ফল, কার্পেট, উৎপাদিত পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করতে পারছে না। যতটুকু পারছে, তা-ও গোপনে, চোরাপথে ও কম দামে।

তথাপি ইরান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, এমনকি সামরিক দিক থেকে ভেঙ্গে পড়েনি। বরং অবরোধের মুখে নিজেদের সক্ষমতা ও উৎপাদন বাড়িয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, টেলিযোগাযোগ, শিল্প বিকাশ, সামরিক নির্মাণ ইত্যাদিতে ইরান উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে।     

ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক অভিযোগ হলো, দেশটি পারমাণবিক শক্তি অর্জন করছে। ইরান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, 'আত্মরক্ষার অধিকার সবারই আছে।'

যুক্তরাষ্ট্র অতীতে যেসব অভিযোগ এনে ইরাক, লিবিয়া, আফগানিস্তান ইত্যাদি দেশে আক্রমণ করেছে, তেমন সকল অভিযোগই ইরানের বিরুদ্ধে খাড়া করেছে। কিন্তু তারপরেও ইরানের ভেতরে ঢুকতে পারছেনা বা ঢুকার সাহস পাচ্ছেনা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হলো পৃথিবীর এমন এক দেশ, যে দেশ বিভিন্ন দেশে আক্রমণ ও হস্তক্ষেপ করার ক্ষেত্রে অগ্রণী। এশিয়া, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা মহাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যত আগ্রাসন চালিয়েছে, ততটা আর কেউ করেনি। তথাপি সেই ১৯৭৯ সাল থেকে হুঙ্কার দিয়ে ইরানকে বাইরে বাইরে ক্ষতি করলেও ভেতরে পা ফেলতে পারছেনা। এর কারণ কি?

ইরানকে সরাসরি আক্রান্ত করতে না পারার পেছনে অনেকগুলো কারণ আছে। প্রথমত ইরান শিয়া ইসলামের ভিত্তিতে ইমামের নেতৃত্বে প্রচণ্ডভাবে ঐক্যবদ্ধ। শিয়ারা খলিফার শাসন মানে না, মানে ইমামের শাসন এবং ইমামকে মনে করে ঐশ্বরিক পদ। তার নির্দেশে জান বাজি রাখতেও প্রস্তুত ইরানিরা। ফলে ইরানের ভেতরে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংহতিতে কোনও ফাটল ধরিয়ে সেখানে প্রবেশ করা কারও পক্ষেই অসম্ভব।

দ্বিতীয়ত, ইরান ভেতরের ঐক্যের পাশাপাশি আঞ্চলিক-আন্তর্জাতিক ভাবেও কৌশলজনক অবস্থান নিয়ে চলে। পাশের সিরিয়া, ইরাক ছাড়াও দূরের রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেনের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক চমৎকার। বিশেষ করে, মার্কিন বিরোধিতার মুখে ইরান কাছে নিয়েছে রাশিয়াকে। ফলে, আন্তর্জাতিকভাবে ইরানবিরোধী মোর্চা গঠন করাও কষ্টকর।

তৃতীয়ত, ইরান আর্থিক ও সামরিক দিয়ে অন্য মুসলিম দেশের মতো ভঙ্গুর নয়। তাদের নিজস্ব সামরিক উৎপাদন, সুদক্ষ বাহিনী ও অত্যাধুনিক অস্ত্র সম্ভার রয়েছে। বিশ্বের যেকোনও শক্তিকে জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে পাল্লা দিতে সক্ষম ইরান।

ফলে ইরান প্রসঙ্গে সামাজিক অনৈক্য, রাজনৈতিক বিভেদ, আর্থিক দুর্বলতা, আঞ্চলিক বা আন্তর্জাতিক সুবিধা ও সামরিক অদক্ষতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে আফগানিস্তান, ইরাক বা লিবিয়া বানাতে পারবেনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যা পারবে, তাহলো বাইরে থেকে আক্রমণ করে ইরানকে দুর্বল করা। জেনারেল কাসিম সোলাইমানি হত্যা তেমনই একটি পদক্ষেপ। মার্কিনীরা চাইবে ইরাক ও সৌদি আরবকে ভর করে ইরানকে ধরতে। কারণ, এ দুটি দেশেই তাদের সামরিক ঘাঁটি ও সমর্থন আছে।

ইরান এমন পরিস্থিতিতে কি করবে? জেনারেল সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ ও মার্কিন আগ্রাসনের মোকাবেলা ইরান কেমন করে করবে? এসব প্রশ্ন গত চব্বিশ ঘণ্টার পুরোটা সময়ই পৃথিবীর সর্বত্র আলোচিত হয়েছে।

সিএনএন, বিবিসি, আল জাজিরা, নিউজ ফোর ইত্যাদি নেতৃস্থানীয় মিডিয়া এসব প্রশ্নে জোরালো আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা কথা বলেছেন। তাদের মতে, ইরানের প্রতিশোধ হবে কৌশলী। সাধারণত ইরান 'সফট টার্গেট'-এ আক্রমণ করে। অতীতের সেই ধারা ইরান আরও বাড়িয়ে দেবে।

'সফট টার্গেট' বলতে মার্কিন ও তার মিত্রদের স্পর্শকাতর, কৌশলগত ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও স্থাপনাকে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও সৌদি আরবের কোনও কোনও ব্যক্তি বা বিষয় ইরানের টার্গেট হবে। ফিলিস্তিনের হামাস, লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের যোদ্ধা ও সিরিয়ার আসাদের বাহিনীকে মার্কিন ও তার মিত্রদের বিপদগ্রস্ত করতে কাজে লাগাবে ইরান। 

মোদ্দা কথায়, ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীন বৈরীতা জেনারেল সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে আরও নাজুক হওয়ায় তার মারাত্মক প্রভাব পড়বে। মধ্যপ্রাচ্য ও পারস্য উপসাগরীয় এলাকায় স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধাবস্থারও সৃষ্টি হতে পারে এর ফলে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিচক্ষণ পূর্বসূরিরা ইরানের সঙ্গে বৈরীতা সত্ত্বেও দেশটিকে সরাসরি ঘাটাতে সাহস পায়নি। ট্রাম্প আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজের রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা ও সমর্থনের পারদ বাড়াতে এক পা আগে বেড়ে ইরানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক লড়াইয়ের ঢঙ্কা বাজিয়ে ফেলেছেন। এতে সফল হলে ট্রাম্পের জন্য ভালো। নইলে নিজের বারোটা বেজে যাওয়ারও আশঙ্কা আছে একগুঁয়ে ট্রাম্পের। বছরের শুরুতেই যুদ্ধের ঘণ্টা বাজিয়ে তিনি ইরানকে শায়েস্তা করতে পারবেন, নাকি নিজেরই বিদায় ঘণ্টা বাজাবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

   

চলমান যুদ্ধের মধ্যেই রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী আটক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘুষ নেয়ার অভিযোগে রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী তৈমুর ইভানভ কে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার একজন উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে ঘুষ নেওয়ার সন্দেহে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির শীর্ষ তদন্তকারী সংস্থা। তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার বলেছে, তৈমুর ইভানভকে আটক করা হচ্ছে এবং তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ, রুশ সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে বলেছেন, ইভানভকে আটকের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া তাকে আটকের বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে আগেই জানানো হয়েছে।

দেশটির সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৪৮ বছর বয়সী ইভানভের ১৫ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

বিবিসি বলছে, ২০১৬ সালে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত হওয়া ৪৭ বছর বয়সী তৈমুর ইভানভ দেশটির সামরিক অবকাঠামো প্রকল্পের দায়িত্বে ছিলেন। মূলত অ্যাক্টিভিস্টরা দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ায় কথিত ব্যাপক মাত্রার দুর্নীতির সমালোচনা করে আসছেন।

তৈমুর ইভানভ পূর্বে মস্কো অঞ্চলের উপ-প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আর এখানেই বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য গভর্নর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি শোইগুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন বলে জানা যায়।

উল্লেখ্য, ইভানভের ওপর যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরাপের পাশাপাশি তার সম্পদও জব্দ করেছে।

;

জিবুতিতে নৌকাডুবি, ৩৫ অভিবাসীর মৃত্যু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বিবিসি

ছবি: বিবিসি

  • Font increase
  • Font Decrease

লোহিত সাগরের জিবুতি উপকূলে অভিবাসী বহনকারী একটি নৌকা ডুবে অন্তত ৩৫ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃত এসব অভিবাসীর মধ্যে শিশুও রয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিশিয়ায় ১৯ অভিসানপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে জিবুতি উপকূলে একটি নৌকাডুবে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নিখোঁজ রয়েছেন আরও ২৮ জন।

তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ড জানিয়েছে, এরই মধ্যে ১৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা ইউরোপের দেশ ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

উদ্ধারের পর জিবুতির উপকূলে গডোরিয়া শহরে নিয়ে আসা জীবিতদের চেহারায় বিপর্যয় এবং ভয় স্পষ্ট ছিল। পরে সেখানে চিকিৎসার জন্য তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা আইওএম তাদের ইথিওপিয়ায় প্রত্যাবাসন করে।

জিবুতি কোস্টগার্ডের সিনিয়র কর্মকর্তা ইস ইইয়াহ বলেছেন, যারা ডুবে যাওয়া নৌকায় ছিলেন তারা ইয়েমেন ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিলেন। কারণ তাদের নিজের দেশের তুলনায় সেখানে জীবন আরও বেশি সংগ্রামের ছিল।

এ ঘটনায় জিবুতিতে নিযুক্ত ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রদূত বারহানু সেগায়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে অভিবাসীদের মৃত্যুর জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘জিবুতি থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অবৈধপন্থায় ভ্রমণ অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং এতে করে ক্রমাগত আমাদের নাগরিকরা তাদের জীবন হারাচ্ছেন।’

প্রসঙ্গত, যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও উন্নত জীবনের আশায় প্রতি বছর হাজার হাজার আফ্রিকান অভিবাসনপ্রাত্যাশী লোহিত সাগরের ওপারে সৌদি আরবে যাওয়ার চেষ্টা করেন। নৌকাডুবে মারা যান অনেকে।

;

ফের বৃষ্টির শঙ্কা দুবাইয়ে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আমিরশাহির আবহাওয়া অফিস ‘দ্য ন্যাশনাল সেন্টার অব মেটেরিয়োলজি’ (এনসিএম) দুবাইয়ে ফের বৃষ্টির সতর্কবার্তা দিয়েছে।

তবে সংস্থাটি জানিয়েছে, ফের বৃষ্টি হলেও তা গত সপ্তাহের মতো ভয়াবহ অবস্থা হবে না। বুধবার (২৪ এপ্রিল) নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তবে তাপমাত্রা ৫-৭ ডিগ্রি কমতে পারে।

গত সপ্তাহে এক দিনে ৭৫ বছরের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে দেশটিতে। রেকর্ড গড়া বৃষ্টিতে চার দিন ধরে পানিতে ডুবে ছিল দুবাই বিমানবন্দর। আবু ধাবি, শারজার অবস্থাও শোচনীয় হয়েছিল।

এনসিএম-এর জলবায়ু বিশেষজ্ঞ আহমেদ হাবিব বলেন, ‘‘চিন্তার কিছু নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে আর যাই হোক, ভারী বৃষ্টি হবে না। গত সপ্তাহের সঙ্গে তুলনার প্রশ্নই নেই। মাঝারি বৃষ্টি হবে। মেঘ পশ্চিম উপকূল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে ঢুকছে।’’

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রায় গোটা পৃথিবী জুড়েই স্পষ্ট। মরুভূমির দেশের বৃষ্টি হচ্ছে, মেরু অঞ্চলে হিমবাহ গলছে। সম্প্রতি ওমানে প্রবল ঝড় হয়। ২০ জনের মৃত্যু হয় সে দেশে। তার পরে সেই ঝড়-বৃষ্টি ধেয়ে যায় সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে।

;

মধ্যস্থতার জন্য ইতিবাচক হলে দোহায় থাকবে হামাস নেতারা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাতার মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জানিয়েছে, হামাসের রাজনৈতিক নেতারা ততক্ষণ দোহায় থাকবেন, যতক্ষণ তাদের উপস্থিতি গাজা যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার জন্য ইতিবাচক হবে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা সবসময় বলেছি, ততক্ষণ তারা দোহায় থাকবেন, যতক্ষণ তাদের উপস্থিতি মধ্যস্থতা প্রচেষ্টায় কার্যকর এবং ইতিবাচক হবে।’

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরসহ মধ্যস্থতাকারীরা রমজান মাসে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে ব্যর্থ হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানি গত সপ্তাহে বলেছেন, ‘কাতার তার ভূমিকা পুনর্মূল্যায়ন করছে।’

এই ঘোষণার ফলে হামাস নেতাদের গ্যাসসমৃদ্ধ উপসাগরীয় রাষ্ট্রটি ছেড়ে দিতে বলা হতে পারে বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল।

সেই গুঞ্জন অবসানে আনসারি নিশ্চিত করে বলেন, ‘কাতার তার মধ্যস্থতা ভূমিকার পুনর্মূল্যায়ন চালিয়ে যাচ্ছে এবং দোহাতে হামাস সদস্যদের উপস্থিতির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।’

রয়টার্স জানিয়েছে, এই অঞ্চলের বৃহত্তম মার্কিন সামরিক ঘাঁটি পরিচালনাকারী কাতারের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুসহ ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টার সকল সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

আনসারি মঙ্গলবার বলেন, ‘সবাই জানে যে, মধ্যস্থতা প্রচেষ্টায় কাতারের ভূমিকা কী।’

প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে সফলভাবে গাজা যুদ্ধের একমাত্র বিরতির মধ্যস্থতা করেছে কাতার।

;