চীনে ‘রহস্যময় ভাইরাস’ আক্রান্তে তিন জনের মৃত্যু
চীনের জনবহুল উহান প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছে রহস্যময় ভাইরাস। রহস্যময় সার্স প্রকৃতির এই ভাইরাসে এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদেমাধ্যম জানায়, চীনে ছড়িয়ে পড়া রহস্যময় ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে।
দেশটির সোশ্যাল মিডিয়ায় এ খবর রীতিমতো আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে ইতোমধ্যে এ ভাইরাসের আক্রান্ত ১ হাজার ৭২৩ জন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।
তবে উহান প্রদেশের স্বাস্থ্য দফতর দাবি করছে, শনিবার (১৮ জানুয়ারি) একজনের মৃত্যু হয়, তখন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ৫৯ জন। গত দুইদিনে এর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৮ জন এবং তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
ইতোমধ্যে চীনের বাইরে থাইল্যান্ড ও জাপানে এই ভাইরাসে তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন। এ ভাইরাসের আক্রান্ত রোগীর ঠান্ডাজনিত নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। কাশি বা জ্বরের ভাইরাসের মতোই উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। এমনকি ভাইরাসটি একইভাবে শরীরে প্রভাব বিস্তার করছে এবং শ্বসনতন্ত্র সিন্ড্রোম জাতীয় ভাইরাসে রূপ নিচ্ছে।
এদিকে নতুন এ ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। মানুষ থেকে সংক্রমিত হয়ে চীনের বাইরেও ছড়িয়ে যেতে পারে এ ভাইরাস বলে সতর্ক করা হয়েছে। এ ভাইরাস সংক্রমণে জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট থেকে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রোগীর মৃত্যু হচ্ছে।
এক্ষেত্রেও চীন দ্বিমত পোষণ করে এক বিবৃতিতে জানায়, মানুষ থেকে মানুষ নয় বরং প্রাণী থেকে মানুষে সংক্রমিত হচ্ছে এই ভাইরাস।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এক টুইট বার্তায় জানায়, প্রাথমিকভাবে প্রাণী থেকেই এই ভাইরাসটি ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে মানুষে মানুষে ঘনিষ্ট সম্পৃক্ততা থেকেও এ ভাইরাসে সক্রামক হচ্ছে।
পূর্বসতর্কতা স্বরূপ উহান বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে আসা যুক্তরাষ্ট্রগামী ফ্লাইটের যাত্রীদের শরীরে ভাইরাস শনাক্তকরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যদিও চীনে আগত পর্যটকদের ওপর এখনও পর্যন্ত কোনো বিধি নিষেধ জারি করা হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে চীনে এক মরণঘাতী ভাইরাসে আট হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়ে ৭৭৪ জনের মৃত্যু হয়।