বিশ্বে প্রথম বিনামূল্যে স্যানিটারি পণ্য দেবে স্কটল্যান্ড
একজন নারীকে প্রতি মাসেই পিরিয়ডকালীন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এই সময়টি শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রভাব বিস্তার করার সাথে প্রভাব রাখে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও।
সাধারণ গড় হিসাব অনুযায়ী, পিরিয়ডের স্থায়িত্বকাল ধরা যাক ৫ দিন। রক্তপাতের ধরণ অনুযায়ী প্রতিদিন একজন নারীর প্রয়োজন হয় ৩-৫টি স্যানিটারি ন্যাপকিন। যা পাঁচ দিনের হিসেবে দাঁড়ায় ১৫-২৫টি স্যানিটারি ন্যাপকিন। বাজারে সহজলভ্য বিভিন্ন ধরনের স্যানিটারি ন্যাপকিনের দাম অনুযায়ী যার খরচ পড়ে ৩০০-৬০০ টাকা পর্যন্ত।
এখানে শুধুমাত্র বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে স্যানিটারি ন্যাপকিনের খরচ তুলে আনা হয়েছে। স্যানিটারি ন্যাপকিনের পাশাপাশি অন্যান্য স্যানিটারি পণ্যও রয়েছে এই তালিকায় এবং এই একই হিসাব অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন নারীকে প্রতি মাসে গুণতে হয় ১৪৪ মার্কিন ডলার।
প্রতিটি দেশেই স্যানিটারি পণ্যের মূল্য বেশ চড়া। যার জন্য প্রতি মাসের খরচের বেশ বড় একটি অংশ এ খাতেই খরচ করতে হয় একজন নারীকে।
পরিসংখ্যান ও পরীক্ষার ফলাফল থেকে দেখা গেছে নারীদের পিরিয়ডকালীন দারিদ্রতা ও সংকোচবোধের সমস্যাটি বেশ গুরুতর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বে প্রথম দেশ হিসেবে স্কটল্যান্ড দেশটির সকল নারীদের জন্য বিনামূল্যে স্যানিটারি পণ্য দেওয়ার বিল পাশ করেছে গেলো মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি)।
পিরিয়ড প্রডাক্টস (ফ্রি প্রভিসন) বিলটি সামনে নিয়ে আসেন স্কটিশ আইন প্রণেতা মনিকা লেলন, যা ইতোমধ্যেই প্রথম ধাপ অতিক্রম করেছে এবং নতুন আইন অনুযায়ী দেশটির সরকার প্রতিটি নারীর জন্য সকল ধরনের পিরিয়ড পণ্য সহজলভ্য করে দিচ্ছে।
বিনামূল্যে স্যানিটারি পণ্য দেওয়ার বিল পাশ করার মাধ্যমে রেকর্ড হিসেবে বিশ্বে স্কটল্যান্ড প্রথম দেশ হিসেবে নিজেদের নাম লেখাল।
‘মাসিককালীন পণ্য কোন বিলাসিতা নয়, এগুলো হলো প্রয়োজনীয়তা এবং স্কটল্যান্ডের কোন নারীর এইসকল পণ্য ছাড়া থাকা উচিত নয়’, এমনটাই বলেন মনিকা।
এর আগে ২০১৮ সকলে স্কটল্যান্ডই বিশ্বে প্রথম দেশ হিসেবে স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে বিনামূল্যে স্যানিটারি পণ্য দেওয়ার পদক্ষেপ নেয় এবং দেশটির সরকার ৫.২ মিলিয়ন পাউন্ডে ফান্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। এমনকি এই সিদ্ধান্তের সাথে সম্মতি জ্ঞাপন করে দেশটির স্থানীয় ব্যবসায়িক ক্ষেত্র তথা রেস্টুরেন্টগুলোতেও বিনামূল্যে স্যানিটারি পণ্য দেওয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করে।