তুরস্কে বাংলাদেশি কমিউনিটির ঈদ যেমন



কাওসার আহমেদ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তুরস্ক,ইজমির থেকে: ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে সতস্ফুত কোলাকুলি, এ যেন আনন্দের এক বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ার। যে আনন্দ নির্মল, যে আনন্দ ধরিত্রীর কোন কিছুর সাথেই তুলনা হয় না, অন্যের খুশি বা আনন্দে নিজের মনের গহীন কোণে শুভ্র শান্তির শীতল স্পর্শ অনুভূত হওয়া; এটাইতো স্বর্গীয় অনুভূতি, এটাইতো ঈদ।

ঈদ মানে আত্মার পরিশুদ্ধি, দোস্ত-দুশমন,ধনী-গরিব, ছোট-বড়,সাদা-কালো,দেশি-বিদেশি সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি প্রকাশের এক উদার উৎসব।দিনটি যেন সৃষ্টিকর্তার এক মাহান উপহার। কালের গহবরে কত দিন, কত ঈদ চলে যায়। কিন্তু এ দিন কোনো সময়েই যেন বদলায় না। ঈদ মানেই তো ঈদ, এর আর কি কুনো মানে হয়।

সবার মত বিদেশে বসবাসরত বাঙ্গালীরা ঈদ উদযাপন করেন কিন্তু কোথায় যেন একটা কমতি থেকে যায়। জন্মভূমির মায়া যেন কিছুতেই পূরণীয় নয়।জেনে নেই তুরস্কে বসবাসরত কয়েক জন বাঙ্গালী কমিউনিটির সদস্য এর কাছ থেকে কেমন কাটল তাদের প্রবাস জীবনের ঈদ।

ফারজানা আক্তার আঙ্কারা ইউনিভার্সিটিতে পিইচডিতে অধ্যয়ন করছেন।কথা হয় বার্তা২৪ এর সাথে।জানান তাঁর ঈদ অনুভূতির কথা। তিনি বলেন “ বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি, আত্মীয়-স্বজন ছাড়া এখানে ঈদ অবশ্যই সুখকর নয়।বিকালে যখন বাঙ্গালি কমিউনিটির সবাই একত্রিত হলাম, সবাই বাংলায় কথা বললাম, এ এক ব্যতিক্রম ধর্মী অনুভূতি, মনে হল এ যেনো টার্কির বুকে এক খন্ড বাংলাদেশ। তাছাড়া এখানে মহিলারা ঈদের নামাযের জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারে সেটা একটা ভাল দিক। এখানে কুরবানি করাহয় স্লাটার হাউসে সেটা যদিও পরিবেশের জন্য ভাল কিন্তু বাংলাদেশে বাড়িতে কুরবানি করাটা এনজয় করতাম, মনে হয়ছে এটা অনেক মিস করছি”।

ডকুজ এইলুল ইউনিভার্সিটিতে পিইচডি গভেষক মাহমুদুল হাসান খাঁন বলেন “ফ্যামিলি ছাড়া আর ঈদ, ফ্যামিলিকে অনেক মিস করি, তারপর ও যেহেতু আমরা এখানে একটা কমিউনিটি আছি, সাবাই পড়া-লেখায় ব্যস্ত থাকি তবু ও ঈদ একটা গেট টু গেদার এর সুযেগ করে দেয় । আমরা পিকনিক এর মত করে উদযাপন করেছি। মোটামুটি ভালই কেটেছে”।

মারমারা ইউনিভার্সিটিতে পিইচডিতে গভেষণারত সালাহ উদ্দিন ।ঈদের নাময আদায় করেছেন ইস্তানবুল এর বিখ্যাত ব্লু মস্ককে উনার অনুভূতি হল “ঈদ মানেই ত হল; ভাই-বোন, পরিবার, পাড়া-প্রতিবেশী আত্মীয়-স্বজনের সাবাইকে নিয়ে আনন্দ উদযাপন, কুরবানি করা, গোশত ভাগা ভাগি করা, কিন্তু এখানে এটা একটা বিশাল শূন্যতা। বিকালে বাংলাদেশি কমিউনিটি এর সবার সাথে দেখা হল ভাল লাগল, সর্বপরি তুরস্কে দেশের মত ঈদের আমেজ নাই”।

ওমর ফারুক হেলালী মারমারা ইউনিভার্সিটিতে থিওলজিতে পড়েন। ঈদের নাময পড়েছেন ইস্তানবুল ব্লু মস্ককে তিনি বলেন “ দেখেন এখানে প্রায় ৫ বছর হয়ে গেল, এখানে একটা কমিউনিটি হয়েগেছে দেন বাংলাদেশে আমার সাথের সবাই বাহিরে থাকে তাই ঈদ উদযপন আমার এখানেই ভাল লাগে”।

মঈন উদ্দিন ইস্তানবুলে ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা করেন। “ তিনি বলেন সকালে ফাতিহ মসজিদে ঈদের নামায আদায় করি।আমার পরিবারের সাবাই বাংলাদেশে থাকেন, যদি ও আমি তুরস্কের নাগরিকত্ব পেয়ে গেছি, কিন্তু নাড়ির টান যে, মন তো পড়ে আছে সেখানে,পরিবার ছাড়া ঈদ খুবই আনন্দহীন,আমি যেহেতু আমার স্ত্রী ও বাচ্চা নিয়ে থাকি তাই বাঙালি কমিউনিটির সাথে ঈদ উপলক্ষে দেখা সাক্ষাৎ হল সর্বপরি একটা ভাল উদযাপন হয়েছে”।

   

আরাকান আর্মির দখলে মিয়ানমারের বুথিডং শহর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারে লড়াইরত একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) দাবি করেছে, জান্তা বাহিনীর কাছ থেকে তারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বুথিডং শহর  দখল করে নিয়েছে।

রোববার (১৯ মে) যুক্তরাজ্যের বার্তাসংস্থা রয়টার্সের কাছে আরাকান আর্মি (এএ) এ দাবি করে বলেছে, কয়েক সপ্তাহ লড়াইয়ের পর শনিবার রাতে তারা শহরটির দখল নিতে সক্ষম হয়।

এদিকে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, আরাকান আর্মি শহর থেকে তাদের বিতাড়িত করছে। তবে এএ অভিযোগের সত্যতা অস্বীকার করেছে।

শহর দখল বিষয়ে আরাকান আর্মির এক মুখপাত্র খিন থু খা রয়টার্সকে জানান, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহর বুথিডং শহর কয়েক সপ্তাহের লড়াইয়ের পর জান্তা বাহিনীর কাছ থেকে দখল নিতে সক্ষম হয়েছে।

এক টেলিফোন বার্তায় তিনি রয়টার্সের প্রতিনিধিকে জানান, শনিবার রাতে সামরিক জান্তার কাছ থেকে বুথিডং শহরের সেনা ঘাটি আরাকান আর্মি পুরোপুরি দখল করে নিয়েছে এবং সেইসঙ্গে পুরো শহরটি তারা নিয়ন্ত্রণ করছে।

অপরদিকে, সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, আরাকান আর্মি তাদেরকে জোর করে বুথিডং ও এর আশপাশের এলাকা থেকে বিতাড়িত করছে।

এ বিষয়ে ‘ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশন অ্যাডভোকেসি' গ্রুপের সহপ্রতিষ্ঠাতা নে সান লুউন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে জানিয়েছেন, শহরতলির কয়েকটি এলাকায় আরাকান আর্মির সদস্যরা রোহিঙ্গাদের পালিয়ে যেতে বাধ্য করে এবং এসময় কারো কারো বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।

আরাকান আর্মির বুথিডং শহরের দখলের বিষয়ে জান্তা বাহিনীর কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেনি রয়টার্স।

;

পাকিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ১৪ জন নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৮ জন।

রোববার (১৯ মে) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল'র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশের নওশেরায় শনিবার ব্রেক ফেল করে একটি মিনি-ট্রাক গভীর খাদে পড়ে গেলে পুরুষ, নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের ১৪ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরও আটজন আহত হয়েছেন।

পুলিশ ও উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য এবং তারা বান্নু থেকে খুশাবের ওয়াদি সুনের দিকে যাচ্ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাড়িটির গতি ছিল অনেক। যখন ওই গতিতে গাড়িটি বাঁক নেয়, তখনই রাস্তা থেকে ছিটকে খাদে পড়ে যায়। এতে পাঁচ নিষ্পাপ শিশুসহ ১৪ জনের হৃদয়বিদারক প্রাণহানি ঘটে।

মর্মান্তিক ঘটনার পর উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুঁটে যায়। পরে মৃতদের ও আহতদের টিএইচকিউ হাসপাতাল ও জোহরাবাদের ডিএইচকিউ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশ বলছে, গাড়িটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাওয়ার ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।  

খুশাবের রেসকিউ ১১২২ ইমার্জেন্সি অফিসার ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ জানান, একই পরিবারের অন্তত ২৬ জন সদস্য বানু থেকে নওশেরা (খুশাব) যাওয়ার সময় ট্রাকটি ২০ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়। এতে আবদুল্লাহ, আসগর, ইব্রাহিম, মুহাম্মাদুল্লাহ, রিফাতুল্লাহ, কিফায়াতুল্লাহ, সুমেরা, আব্দুল রেহমান, আব্দুল এহসান, শাফকাতুল্লা, তাবরাইজ খান, শামস জাই, তাবরেজ, কুবলা খান এবং কাকিম খানসহ ওই পরিবারের ১৪ জন সদস্য নিহত হয়।

এছাড়া আব্দুল রশিদ, রাবিয়াসহ আরও ছয়জন আহত হয়। তাদের মধ্যে তিন জন শিশু।

রেসকিউ ১১২২ সূত্র জানায়, দুই পুরুষ ও দুই নারীসহ চারজন সদস্য সামান্য আহত হয়েছেন এবং তাদের ঘটনাস্থলেই চিকিৎসা করা হয়েছে।

;

ব্রিটিশ রাজার চেয়েও ধনী ঋষি-অক্ষতা দম্পতি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও তার স্ত্রী অক্ষতা মূর্তির ব্যক্তিগত সম্পদ দেশটির রাজা চার্লসের চেয়েও বেশি। গত বছর এই দম্পতির সম্পদ ১২২ মিলিয়ন পাউন্ড বেড়ে ৬৫১ মিলিয়ন পাউন্ডে পৌঁছেছে। এর আগের বছর তাঁদের সম্পদ ছিল ৫২৯ মিলিয়ন পাউন্ড।

সানডে টাইমস প্রকাশিত শীর্ষ ধনীদের তালিকার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ঋষি সুনাকের স্ত্রী অক্ষতা মূর্তি ভারতীয়। তার বাবা নারায়ণ মূর্তি ভারতের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা। গত বছর নারায়ণ মূর্তি তাঁর নাতিকে ইনফোসিসের তিন কোটি ডলার মূল্যের শেয়ার উপহার দিয়েছেন। ওই শেয়ারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণেই ঋষি–অক্ষতা দম্পতির সম্পদ বেড়েছে বলে গণমাধ্যমডগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এদিকে ব্রিটিশ রাজা চার্লসের সম্পদ ৬১০ মিলিয়ন পাউন্ড। গত বছর এটি ঋষি সুনাক দম্পতির চেয়ে বেশি ছিল। এ বছর ঋষিদের সম্পদ ৬৫১ মিলিয়ন পাউন্ড হওয়ার শীর্ষ ধনীর তালিকায় পিছিয়ে পড়লেন রাজা চার্লস।

তবে ব্রিটিশ রাজ পরিবারের হাতে কত সম্পদ রয়েছে, তা প্রকাশ্য নয় বলে জানিয়েছে বিবিসি। ফলে রাজা চার্লসের প্রকৃত সম্পদ অনুমান করাও কঠিন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত হিসাবমতে, রাজপরিবারের অধীনে থাকা একাধিক প্রাসাদ ও জায়গার দাম মিলিয়ে ১২ বিলিয়ন পাউন্ডের বেশি।

প্রতি বছর যুক্তরাজ্যের শীর্ষ ধনীর তালিকা প্রকাশ করে থাকে সানডে টাইমস। এবারের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে গোপী হিন্দুজা অ্যান্ড ফ্যামিলি (৩৭ দশমিক ২ বিলিয়ন পাউন্ড)। এরপর ধারাবাহিকভাবে স্যার লিওনার্দ ব্লাভাতনিক (২৯ দশমিক ২৫ বিলিয়ন পাউন্ড), ডেভিড অ্যান্ড সাইমন রুবেন অ্যান্ড ফ্যামিলি (২৪ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন পাউন্ড), স্যার জিম র‌্যাটক্লিফ (২৩ দশমিক ৫২ বিলিয়ন পাউন্ড), স্যার জেমস ডাইসন অ্যান্ড ফ্যামিলি (২০ দশমিক ৮ বিলিয়ন পাউন্ড), বারনাবি অ্যান্ড মার্লিন সুয়্যার অ্যান্ড ফ্যামিলি (১৭ দশমিক ২ বিলিয়ন পাউন্ড), ইডান অফার (১৪ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন পাউন্ড), লক্ষী মিত্তাল অ্যান্ড ফ্যামিলি (১৪ দশমিক ৯২ বিলিয়ন পাউন্ড), গাই জর্জ অ্যাল্যান্নাহ অ্যান্ড গ্যালেন ওয়েস্টন অ্যান্ড ফ্যামিলি (১৪ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন পাউন্ড) ও জন ফ্রেডরিকসেন অ্যান্ড ফ্যামিলি (১২ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন পাউন্ড)।

রাজনীতিতে প্রবেশেরও আগে থেকে যুক্তরাজ্যের ধনী হিসেবে পরিচিত ঋষি সুনাক। তিনি হেজ ফান্ড ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করতেন। গত বছর তার দেওয়া আয়কর তথ্য থেকে জানা যায়, ঋষির মোট সম্পদের পরিমাণ ২ দশমিক ২ মিলিয়ন পাউন্ড।

ঋষি সুনাক যুক্তরাজ্যের শীর্ষ ধনীর তালিকায় এসেছেন মূলত তার স্ত্রীর ইনফোসিসের শেয়ারের কারণে। বর্তমানে তাদের শেয়ারের দাম ৫৯০ মিলিয়ন পাউন্ড।

বিবিসি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রি ঋষি সুনাকের সম্পদের ব্যাপারে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের কোনও জানায়নি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ডাউনিং স্ট্রিট।

;

ফের আসছে অরোরা বোরিয়ালিস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শক্তিশালী সৌরঝড়ের কারণে গত ১০ মে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নর্দান লাইটস বা অরোরা বোরিয়ালিস দেখার সুবর্ণ সুযোগ হয়েছিল। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই আবারো পৃথিবীর দিকে শক্তিশালী সৌরঝড় আসবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। 

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশানিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনওএএ) বিজ্ঞানীদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই এই সৌরঝড়ের দেখা মিলতে পারে। বাংলায় এ ঝড়কে বলা হয় মেরুজ্যোতি। 

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশানিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) এ ঝড়কে ‘অতি প্রচণ্ড’ ভূ-চৌম্বকীয় (জিওম্যাগনেটিক) ঝড় হিসেবে উল্লেখ করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই দশকের মধ্যে পৃথিবীতে আঘাত হানা এটি সবচেয়ে শক্তিশালী সৌরঝড় ছিল।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, আসন্ন সৌরঝড়টি আগেরটির চেয়ে বড় ও জটিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রে আঘাত হানবে। ফলে আগের চেয়ে আরও বেশি অরোরা বা মেরুজ্যেতি তৈরি হতে পারে।

স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার জানিয়েছে, সূর্য যখন প্রচুর পরিমাণ শক্তি উগরে দেয় বা নির্গত করে ঠিক সেই সময়ে এই রকম ভূচৌম্বকীয় ঝড়ের সৃষ্টি হয়। সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডল থেকে চুম্বকীয় প্লাজমার বড় অগ্ন্যুৎপাত এটি। পরে এটি জিওম্যাগনেটিক স্টর্মে পরিণত হয়।

আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার রিপোর্ট অনুযায়ী, সূর্য তার ১১ বছরের দীর্ঘ সৌরচক্র অতিক্রম করছে। এই কারণে, করোনাল ম্যাস ইজেকশন (সিএমই) এবং সোলার ফ্লেয়ার সূর্যের মধ্যে ঘটছে, যা ২০২৫ সাল পর্যন্ত চলতে থাকবে। সেপ্টেম্বর ২০১৭-এর পর এখন পর্যন্ত সূর্যের মধ্যে সবচেয়ে বড় সৌর শিখা দেখা গেছে।

;