ফিলিস্তিনি মসজিদে আগুন ও ইসরাইল কর্তৃক দুই এমপি গ্রেফতার
ফিলিস্তিনের আল বিরেহ শহরের একটি মসজিদে চরমপন্থি ইহুদিরা আগুন দিয়েছে। শহরটি জেরুজালেমের আল কুদস শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। মসজিদে আগুন দেওয়ার আগে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীরা আরব ও ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী স্লোগান দেয়। মসজিদে আগুন দেখে স্থানীয় লোকজন ছুটে যান এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সোমবার (২৭ জুলাই) মধ্যরাতের পর এ ঘটনা ঘটে।
ফিলিস্তিনের ধর্ম বিষয়ক উপমন্ত্রী হুসাম আবু আল-রুব বলেছেন, মধ্যরাতের পর ইসরাইলিরা মসজিদে হামলা চালায়। এ সময় তারা হিব্রু ভাষায় ফিলিস্তিনবিরোধী স্লোগান দেয় ও মসজিদের ভেতরে বোমা নিক্ষেপ করে। এতে বাথরুমের কিছু অংশ পুড়ে যায়।
তিনি বলেন, বোমাটি যদি মসজিদের ভেতরে পৌঁছত তবে মসজিদটিতে আগুন ধরে যেত। ইসরাইল সরকার এই হামলার জন্য দায়ী। কারণ তারা আমাদের ভূমি দখল করতে ও আমাদের জনগণের ওপর আক্রমণ করার পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
মসজিদটি ইসরাইলি জনবসতির সম্মূখ পাহাড় চূড়ায় অবস্থিত। হামলার সময় সন্ত্রাসীরা মসজিদের দেয়ালে ‘ইহুদিদের ওপর নয়, আরবদের ওপর অবরোধ ঘেরাও চলবে’ স্লোগান লিখে রাখে।
মসজিদে আগুন দেওয়ার বিষয়ে ইসরাইলি পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কট্টরপন্থী জাতীয়তাবাদী ইসরাইলি কর্তৃক আরবদের বিরুদ্ধে হামলার এটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা বলে মনে হচ্ছে।
এদিকে ফিলিস্তিনের দুই এমপিকে আটক করেছে ইসরাইল। এর আগে আরও কয়েকজন আইন প্রণেতাকে আটক করেছিল ইহুদি সেনারা।
লেবাননভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল আহাদ জানিয়েছে, রোববার (২৬ জুলাই) পশ্চিম তীরের আল খলিল (হেবরন) শহরে একদল ইসরাইলি সেনা হানা দেয়। এ সময় ফিলিস্তিনের দুই এমপিকে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃত ফিলিস্তিনি এমপিরা হলেন- হাতাম কাফিশা ও নায়েফ রাজুব।
তারা ইসরাইলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। বর্তমানে ইসরাইলের কারাগারে ফিলিস্তিনের ৯ জন এমপি আটক রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ইসরাইলি বাহিনী প্রায় প্রতিদিনই ফিলিস্তিনের বিভিন্ন অঞ্চলে হানা দিয়ে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের আটক করছে।
-আরব নিউজ অবলম্বনে