প্রকাশ পেল প্রস্তাবিত অযোধ্য মসজিদের নজরকাড়া নকশা
প্রকাশ করা হয়েছে অযোধ্যার প্রস্তাবিত মসজিদের নকশা। প্রস্তাবিত মসজিদটি তৈরি হচ্ছে পুরোপুরি পাশ্চাত্য স্থাপত্যের আদলে। মূল ভবনে থাকছে আধুনিকতার ছোঁয়া। মসজিদের মাথায় ঐতিহ্য মেনে গম্বুজ থাকলেও তার ধরণ একেবারেই আলাদা। এছাড়া প্রস্তাবিত মাল্টি স্পেশাল হাসপাতালের জন্য যে ভবন তৈরি হবে, তা গড়ে উঠবে রীতিমতো ঝাঁ চকচকে ভাবে।
বাবরি মসজিদ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এরই মাঝে করোনা মাথায় নিয়ে ধুমধাম করে রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এ বার অযোধ্যার প্রস্তাবিত মসজিদের ‘ব্লু-প্রিন্ট’ প্রকাশ্যে এল। তাতে মসজিদের পাশাপাশি প্রস্তাবিত মাল্টি স্পেশাল হাসপাতালের নকশাও তুলে ধরা হয়েছে। আর এক ঝলকেই তা নজর কেড়েছে সবার।
অযোধ্যার ওই মসজিদের এখনও নাম ঠিক করা হয়নি। তবে ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন জানিয়েছেন- কোনও রাজা-বাদশাহর নামে এই মসজিদের নামকরণ করা হবে না।
অযোধ্যা মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দির নির্মাণে রায় দেওয়ার পাশাপাশি মসজিদ নির্মাণের জন্য মুসলমানদের অন্যত্র পাঁচ একর জমির দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
কোর্টের নির্দেশ মেনে অযোধ্যার ধন্নিপুরে মসজিদ নির্মাণের জন্য পাঁচ একর জমি বরাদ্দ করে উত্তর প্রদেশ সরকার। জায়গাটি অযোধ্যা শহর থেকে বেশ দূরে।
ভারতের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড অযোধ্যার পরিকল্পনাধীন মসজিদ নির্মাণ করতে ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন (আইআইসিএফ) প্রতিষ্ঠা করে। এই ফাউন্ডেশন মসজিদ নির্মাণের যাবতীয় কিছু দেখভাল করছে।
প্রস্তাবিত নকশায় মুসলিম ঐতিহ্য মেনে মসজিদের জন্য বিশালাকার গম্বুজ থাকলেও- তা আদ্যোপান্ত পাশ্চাত্য স্থাপত্যের আদলে তৈরি হবে। মসজিদের মূল ভবনটিও আধুনিক স্থাপত্যেরই নিদর্শন। মসজিদ চত্বরে থাকবে পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও।
প্রস্তাবিত হাসপাতালটির নকশা, শহরের ঝাঁ চকচকে বিল্ডিংগুলোকে হার মানাতে বাধ্য।
মসজিদ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা প্রধান স্থপতি এসএম আখতার জানিয়েছেন, ‘হাসপাতালটি হবে ৩০০ শয্যার। নিয়োগ দেওয়া হবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের। আর মসজিদে একসঙ্গে ২ হাজার মানুষ নামাজ পড়তে পারবেন। গোটা মসজিদটি সৌরশক্তিচালিত হবে। থাকবে মসজিদের ভেতরে তাপমাত্রা বাড়ানো-কমানোর ব্যবস্থা থাকবে।’
এ ছাড়া মসজিদের জন্য বরাদ্দ পাঁচ একর জমিতে কমিউনিটি কিচেন ও গ্রন্থাগার নির্মাণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
আগামী বছরের ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রস্তাবিত মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হবে বলে। সাত দশক আগে ওই দিন দেশের সংবিধান কার্যকর হয়েছিল। তাই ২৬ জানুয়ারিকে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। এ দিন মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হলেও হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরু হবে দ্বিতীয় পর্যায়ে।
আরও পড়ুন