মালয়েশিয়ার রাজা ফয়সাল বিল্লাহ মসজিদ
মালয়েশিয়ায় অনেকগুলো পুরোনো ঐতিহ্যবাহী মসজিদ রয়েছে। পরবর্তী সময়ে আধুনিক স্থাপত্যরীতি ও উন্নত নকশায় আরও বেশ কিছু মসজিদ নির্মিত হয়েছে। এর অন্যতম হলো- রাজা ফয়সাল বিল্লাহ মসজিদ।
মালয়েশিয়ার এই মসজিদ সাবেক ক্রাউন প্রিন্স হাজি ফয়সাল বিল্লাহর নামে প্রতিষ্ঠিত। মালয়েশিয়ার সিলানগার সাইবারজয়া এলাকায় ১০০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বের অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘মালয়েশিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়।’ আর এই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় স্থাপিত হয়েছে রাজা ফয়সাল বিল্লাহ সাইবারজয়া মসজিদ। অত্যাধুনিক ও পরিবেশবান্ধব এই মসজিদ ১১ হাজার ১৬৮ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে। দ্বিতল এই মসজিদে আট হাজার ৩০০ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। ২০১৫ সালে মসজিদের নির্মাণকাজ শেষ হয়।
মসজিদের নামাজের প্রধান স্থান বরাবর নির্মিত গম্বুজটি দুই স্তরবিশিষ্ট গ্লাসের প্যানেল দিয়ে তৈরি। ফলে দিনের আলো সহজেই মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে। এতে দিনের বেলায় বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালানোর প্রয়োজন হয় না। বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের জন্য মসজিদে সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে। মসজিদের ছাদও এমনভাবে তৈরি হয়েছে, যাতে তা তাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং মসজিদের ভেতর ঠাণ্ডা থাকে। ফলে বিদ্যুতের ব্যবহারও এতে অনেকটা কমেছে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য লাগানো হয়েছে বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এলইডি বাতি। পানির চাহিদা মেটানোর জন্য বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ এবং তা পুনর্ব্যবহারের প্রযুক্তি মসজিদে স্থাপন করা হয়েছে।
মসজিদে প্রাকৃতিকভাবে বায়ু চলাচলব্যবস্থাকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে বৈদ্যুতিক পাখা এবং শীতাতপ মেশিনের খুব একটা প্রয়োজন না পড়ে। আধুনিকতার ছোঁয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে বসানো আছে ‘লাইট সেন্সর।’ ফলে প্রয়োজন ছাড়া বাতিগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
বয়স্ক মুসল্লিদের ব্যবহারের জন্য মসজিদে একটি অ্যালাভেটর স্থাপন করা হয়েছে। আর অক্ষম শিশুদের জন্য রয়েছে খেলার মাঠ। মালয়েশিয়ার পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ এই মসজিদ।