বিশ্বের বিখ্যাত চার মসজিদ



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বিশ্বের বিখ্যাত চার মসজিদ

বিশ্বের বিখ্যাত চার মসজিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

মসজিদ আল্লাহর ঘর। ‘বায়তুল্লাহ’ তথা আল্লাহর পবিত্র ঘর হিসেবে যাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, তা পৃথিবীতে মানবেতিহাসের প্রথম গৃহ হিসেবে পরিচিত। মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘নিঃসন্দেহে বিশ্বমানবতার জন্য নির্মিত প্রথম গৃহ যেটি পবিত্র মক্কা নগরীতে অবস্থিত এবং এই গৃহ হচ্ছে সমগ্র পৃথিবীর জন্য বরকতমণ্ডিত ও সঠিক পথনির্দেশনার অনন্য নিদর্শন।’ সেই পবিত্র গৃহটির নামই হচ্ছে- কাবা শরিফ। পবিত্র কাবার অবস্থান ও মর্যাদা সম্বন্ধে নাজিলকৃত এ আয়াতে কারিমায় মহিমান্বিত এ গৃহের তাৎপর্য ও কার্যকারিতা স্পষ্টভাবেই বিবৃত হয়েছে; যাতে কাবা শরিফ নির্মাণের মূল উদ্দেশ্য ও কর্মপরিধি বিষয়ে আমরা সম্যক অবহিত হতে পারি।

পৃথিবীর সব মসজিদই পবিত্র কাবার অনুসরণে ও একই কার্যপ্রণালির আওতায় প্রতিষ্ঠা করা হয়। অর্থাৎ মহামহিম প্রভুর ইবাদতের জন্যই মসজিদের সৃষ্টি; পরম স্রষ্টার সুনির্ধারিত অন্যতম হুকুম নামাজ আদায়সহ নানাবিধ ইবাদতের মাধ্যমে আবাদ করাটাই বান্দার কাছে মসজিদের চাওয়া।

‘মসজিদ’ মানে সেজদার জায়গা; যেখানে মহান রবের উদ্দেশে তারই সন্তুষ্টি বিধানের জন্য তাকে ভক্তিভরে সেজদা করা হয় সেটিই মসজিদ। সে অর্থে উম্মতে মোহাম্মদির জন্য গোটা জমিনটাকেই মহান আল্লাহ মসজিদরূপে ছাড়পত্র দিয়েছেন; আর এটি নিঃসন্দেহে তারই প্রেরিত রাসুল (সা.)-এর বরকত! কবির ভাষায়, ‘বিশ্বমানবতার করুণার মূর্তপ্রতীক মহানবী (সা.)-এর শুভাগমনের ফলে মহান আল্লাহ সমগ্র ভূমণ্ডলকেই মসজিদে পরিণত করেছেন।’

দুনিয়ার মুসলমানরা যখনই নামাজের সময় হবে পবিত্র জমিন দেখে সেখানেই নামাজ আদায় করে নিতে পারবে। তার পরেও সুনির্দিষ্ট স্থাপত্য-কাঠামোর আঙ্গিকে মসজিদ নির্মাণ করা হয়। আর সেই নির্মিত স্থাপনা শুধু নামাজ আদায়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না; বরং মসজিদ থেকেই সমাজ সংস্কারের নানা কর্মসূচি প্রণীত ও বাস্তবায়িত হয়। বিশ্বের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে অসংখ্য মসজিদ। আজ এমনই তিনটি মসজিদ নিয়ে আলোচনা করা হলো-

খলিফা আল তাজির মসজিদ, দুবাই

 

খলিফা আল তাজির মসজিদ, দুবাই
এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দেইরাতে অবস্থিত মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম পরিবেশবান্ধব মসজিদ। দুবাইয়ের বন্দর সাঈদ এলাকায় স্থাপিত এই মসজিদ ২০১৪ সালে নামমাজের জন্য খুলে দেওয়া হয়। খলিফা আল তাজির এই মসজিদ নির্মাণের জন্য ২০ মিলিয়ন দিনার দান করেন। তার নামানুসারেই মসজিদটির নামকরণ করা হয়। ৪৫ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে নির্মিত এই মসজিদে তিন হাজার ৫০০ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন।

দ্বিতলবিশিষ্ট মসজিদটিতে নারীদেরসহ তিনটি নামাজের স্থান আছে। এখানে ৬০০ নারী একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন। তা ছাড়া মসজিদ এলাকায় ইমাম, মোয়াজ্জিন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য আলাদা আবাসন ব্যবস্থাও করা হয়েছে। মসজিদের বাইরে বিশাল কার পার্কিং ও উন্মুক্ত সবুজ চত্বর মসজিদের শোভাকে বৃদ্ধি করেছে। আল তাজির মসজিদের দু’টি মিনারের প্রতিটির উচ্চতা ২৫ মিটার। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এখানে পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহার যথাক্রমে ২০ ও ২৫ শতাংশ কমিয়ে আনা হয়েছে। এ জন্য মসজিদে লাগানো হয়েছে বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এলইডি বাতি ও সোলার প্যানেল। দিনে স্বাভাবিক আলোর সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য মসজিদের সব জায়গায় ‘ডেলাইট সেন্সর’ বসানো হয়েছে। সব মিলে এটি একটি সর্বাধুনিক আদর্শ মসজিদ।

মসজিদ আল জিকরা, ইন্দোনেশিয়া

 

মসজিদ আল জিকরা, ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা প্রদেশের পাহাড়ি শহর সেনটুলে আল জিকরা মসজিদ অবস্থিত। এই মসজিদের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা, পানি সংরক্ষণ, নির্মাণসামগ্রী, ভবনের অভ্যন্তরস্থ স্বাস্থ্য পরিবেশ সবই পরিবেশবান্ধব কৌশলে স্থাপিত হয়েছে। মসজিদটির উচ্চতা ও বায়ুচলাচল ব্যবস্থার কারণে সতেজ বায়ু সহজে ভেতরে প্রবেশ করে এবং আলো ও শীতাতপের জন্য বিদ্যুৎ খরচ কম হয়। মসজিদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো- পানির পুনর্ব্যবহারোপযোগী ব্যবস্থা। এতে পানির অপচয় যেমন কমেছে, ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহারও হ্রাস পেয়েছে।

মসজিদের বাইরে ৪০ শতাংশ এলাকা উন্মুক্ত এবং সবুজ ঘাসে ঢাকা। এতে মসজিদের শোভা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি পরিবেশ দূষণ কমেছে অনেকাংশে। পরিবেশবান্ধব এই মসজিদের উদ্যোক্তা হাইউ প্রাভোউ। মসজিদটি নির্মাণের পর ২০১৭ সালে নামাজের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এর উদ্বোধনকালে ইন্দোনেশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট দেশে ২০২০ সালের মধ্যে আরও এক হাজার পরিবেশবান্ধব মসজিদ নির্মাণের আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন এবং সেগুলো ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

ডিজনি বড় মসজিদ, মালি

 

ডিজনি বড় মসজিদ, মালি
মালির ডিজনি মসজিদ আফ্রিকার একটি বিস্ময়। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর বৃহত্তম মাটির তৈরি মসজিদ। মসজিদটি মাটি ও গাছের ডাল দিয়ে নির্মিত। এটি হাতে তৈরি মাটির মসজিদ হওয়ায় পরিবেশ দূষণের পরিমাণ এখানে প্রায় শূন্য। স্বল্প ব্যয়ে নির্মিত ১০ ফুট উচ্চতার এই মসজিদের ভিত্তি মাটির তৈরি। মসজিদের দেয়াল মাটি, বালু, ধানের তুষ এবং পানির মিশ্রণে তৈরি ইট দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এরপর এতে সেঁটে দেওয়া হয়েছে কাঠ। মসজিদে তিনটি মিনার আছে।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, ডিজনি বড় মসজিদটি তিনবারে নির্মিত হয়ে বর্তমান অবস্থায় এসেছে। ডিজনির ২৬তম মুসলিম শাসক কওই কুনবরো ১৩ শতকে প্রথমবার এই মসজিদ নির্মাণ করেন। মসজিদটি একটি নদীর তীরে অবস্থিত। ষোলো শতকে এক প্রলয়ঙ্করী বন্যায় ডিজনি শহরসহ বড় মসজিদের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। তখন মসজিদটি দ্বিতীয়বারের মতো পুনর্নির্মাণ করা হয়। তৃতীয়বার বর্তমান মসজিদটির নির্মাণকাজ শেষ হয় ১৯০৭ সালে।

কেমব্রিজ কেন্দ্রীয় মসজিদ, যুক্তরাজ্য

 

কেমব্রিজ কেন্দ্রীয় মসজিদ, যুক্তরাজ্য
এটি যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় পরিবেশবান্ধব মসজিদ। কেমব্রিজ শহরের রোমসি এলাকার মিল রোডে স্থাপিত এই মসজিদ ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল জনসাধারণের নামাজের জন্য খুলে দেওয়া হয়। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজের লেকচারার ড. টিমোথি উন্টার ২০০৮ সালে এই মসজিদ প্রকল্পের উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং এর জন্য তহবিল জোগাড় করার চেষ্টা চালান। ২০০৯ সালে চার মিলিয়ন ইউরো খরচ করে মসজিদের জন্য এক একর জায়গা ক্রয় করা হয়।

স্থাপত্য প্রকৌশলী মার্কস বারফিল্ড, প্রফেসর কেইথ ক্রিটিচলো এবং প্রখ্যাত ইসলামিক গার্ডেন ডিজাইনার ইমমা ক্লার্ক মিলে মসজিদের ডিজাইন তৈরি করেন। অপূর্ব সুন্দর এই মসজিদে এক হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন। তা ছাড়া মসজিদে শিক্ষা-প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের জন্য আলাদা একটি জায়গা আছে। রয়েছে শিশুদের খেলাধুলার ব্যবস্থা। মসজিদে স্থাপন করা হয়েছে বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এবং অন্যান্য শক্তি ক্ষয়রোধক ব্যবস্থা। এলইডি বাতিসহ মসজিদের ছাদে বৃষ্টির পানির জলাধার এবং পানির পুনর্ব্যবহারোপযোগী প্রযুক্তিও এতে সংযুক্ত হয়েছে। এর অনবদ্য নির্মাণশৈলীর কারণে বছরজুড়ে সূর্যের আলো মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে। সব মিলিয়ে এটি ইউরোপের একটি বিরল পরিবেশবান্ধব মসজিদ। প্রতিনিয়ত অনেক পর্যটক এই অসাধারণ মসজিদটি দেখার জন্য ভিড় করেন।

ফের বাড়ল হজ নিবন্ধনের সময়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত সময় অনুযায়ী আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।

সোমবার (২৭ মার্চ) নিবন্ধনের সময় বাড়িয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ৩৩৯ জন। কোটা পূরণে এখনো নিবন্ধন বাকি রয়েছে ৯ হাজার ৮৫৯। এর মধ্যে সরকারিতে ফাঁকা ৫ হাজার ১০৮, বেসরকারিতে ৪ হাজার ৭৫১।

হজ অনুবিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে কতজন হজ করতে যাবেন তা সৌদি সরকারকে জানানোর শেষ তারিখ আগামী ৯ মে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এবার হজের খরচ বেশি হওয়ায় শুরু থেকেই নিবন্ধনে ভাটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু তারা তো কাউকে ডেকে এনে নিবন্ধন করাতে পারেন না।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন এবং অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।

;

১৮ এপ্রিল পবিত্র লাইলাতুল কদর



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুক্রবার থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতে তারাবির নামাজ আদায় করেন। শেষ রাতে প্রথম সেহরি খাওয়া হবে।

এই হিসেবে আগামী ১৮ এপ্রিল (২৬ রমজান) মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, মুসলমানদের জন্য রমজান মাস রহমত, বরকত ও মাগফেরাতের বার্তা বয়ে আনে। সংযমের এ মাসে মুসলিমরা আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ইবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।

;

রোজার পুরস্কার মিলবে যেসব আমলে



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র মাহে রমজানে কোনোভাবেই আল্লাহতায়ালার অসন্তুষ্টিমূলক কোনো কাজে লিপ্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সর্বোপরি মাহে রমজান ও রোজা মহান মালিককে সন্তুষ্ট করার সুবর্ণ অবসর। এ জন্য আমাদের মাহে রমজান ও রোজা হওয়া চাই হারাম, কবিরা গোনাহ ও নাফরমানি মুক্ত। মিথ্যা, প্রতারণা, অন্যায়, অত্যাচার, পাপাচার, সুদ, ঘুষ ও দুর্নীতি মুক্ত হওয়া। তবেই আমরা রমজান ও রোজার পূর্ণাঙ্গ পুরস্কার গ্রহণ করতে পারব।

আল্লাহ পাককে সন্তুষ্ট করার, মুত্তাকি হওয়ার লক্ষ্য অর্জন করতে পারব। এ লক্ষে রমজান মাসে কিছু বিষয়ের প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখা দরকার। এর অন্যতম হলো-

সময়ের অপচয়রোধ

জীবন সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টার সমষ্টি। এই ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র সময়ই আমার জীবন। জীবনের একটি মুহূর্ত বেখেয়াল, অবহেলায় কাটিয়ে দেওয়া মানে এই সময়টা নষ্ট করে ফেলা। সে আর কখনও ফেরত আসবে না। এক একটি মুহূর্ত জীবনে একবারই আসে। প্রত্যেকটি দিন আগমন করে আমাকে আহবান করে তাকে ভালোভাবে ব্যবহার করার জন্য। সে এও বলে দেয়, হিসাবের দিনেই কেবল সে আবার আমার সামনে হাজির হবে। যে ব্যক্তি সময়ের সদ্ব্যবহার করে, দুনিয়ার জীবনে সে সফলতা পায়। আমার রমজান ৩০ দিনের হলে ২৫,৯২,০০০ সেকেন্ডের সমষ্টি। রমজানের চাঁদ উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে শুরু করে। আমার কাছে রমজানের প্রতিটি সেকেন্ড মূল্যবান। আমি, আপনি যদি হিসাব করে এই সেকেন্ডগুলো কাজে লাগাতে পারি, তবে আমি আপনি অবশ্যই সফল হতে পারব। একজন পরীক্ষার্থী যেমন প্রত্যেকটি সেকেন্ডের হিসাব রেখে উত্তর লিখতে থাকে। তেমনি আমার আপনারও এই মূল্যবান সময়ের যথাযথ কদর করে রোজা পালন করলে, এই বছরের রমজান আমার আপনার জীবনে এক ব্যতিক্রম রমজান মনে হবে এবং এক ব্যতিক্রম ফল বয়ে আনবে। তাই গল্পগুজব, আড্ডা, টিভি দেখা, ফেসবুক অনলাইনে সময় ব্যয়, অবসরে শুধু ঘুমানো, এখানে সেখানে ঘুরাফেরা করা ইত্যাদি কাজগুলো বর্জন করি। তবে আমার রমজান হবে প্রাণবন্ত।

কথা হোক কম

যখন আপনি আমি কথা কম বলব, তখন অনেক অনর্থক এমন কি ফাহেশা কথা থেকে বেঁচে যাব। জীবনের অনেক সময়ও বেঁচে যাবে। বেশি কথা বললে, গীবত, পরনিন্দা, মিথ্যা এ ধরণের অনেক কথা মুখ ফঁসকে বেরিয়ে যেতে পারে। যে সময় আমি অযথা গল্প কথায় লিপ্ত হব, এই সময়টাকে আমি কোরআন তেলাওয়াত, তাফসির অধ্যয়ন, হাদিস পাঠ, বিভিন্ন মাসনুন দোয়া, ইস্তেগফার, দরুদ শরিফ পাঠ, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো বিভিন্ন জিকিরে মশগুল হতে পারি। অনায়াসে অনেক বরকতের ভাগিদার হতে পারি।

কাজে গতিময়তা

কাজ ছাড়া জীবন অচল, আমরা কেউ চাকুরি করি, কেউ ব্যবসা, কেউ কৃষিকাজ ইত্যাদি। এই রমজানে আমার কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। কাজের গতি বাড়িয়ে দেই। কাজের গতি বাড়িয়ে কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। এই বেঁচে যাওয়া সময়টিকে আমি ইবাদত-বন্দেগি, কোরআন তেলাওয়াত, দরুদ, ইস্তেগফার পাঠে ব্যয় করি। তাহলে দেখা যাবে কাজের এই গতিময়তা পুরো বছর আমাকে বরকত দেবে। আমার অনেক সময় হাতে থাকবে, বিশেষভাবে মাওলাকে ডাকার জন্য আমার সময়ের অভাব হবে না।

সোশ্যাল মিডিয়া বর্জন

রমজান মাস আমার জন্য আমার মহান রবের এক মহান উপহার। এই মাস সওয়াব কামাইয়ের মাস। এই মাস সোশ্যাল নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকার মাস নয়। আপনার বিশেষ কোনো প্রয়োজনে আপনি নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকতে পারেন। কিন্তু ফেসবুক, টুইটার, ইনস্ট্রাগ্রাম, ইউটিউভ ইত্যাদি মাধ্যমগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। আপনি হয়তো ভালো কিছু দেখতে চান, ভালো কিছু শুনতে চান। এই ভালো দেখার সঙ্গে, ভালো শোনার সঙ্গে কিছু খারাপও আপনার নজরে এসে যাবে। এই সময় আমি আপনি নেটওয়ার্কহীন অন্য ইবাদতে মশগুল হই। যার নেটওয়ার্ক আমার আর আমার রবের সঙ্গে সংযোগ করে দেবে- ইনশাআল্লাহ।

;

শুক্রবার থেকে রোজা শুরু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ বুধবার দেশের কোথাও চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামী শুক্রবার থেকে রোজা শুরু হচ্ছে।

বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠক করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এ কথা জানায়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী ও কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।

বৈঠক শেষে জানানো হয়, বাংলাদেশের কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হবে রমজান মাস গণনা। সে ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার দেশের মসজিদগুলোতে বাদ এশা তারাবির নামাজের মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র রমজানের কার্যক্রম শুরু করবেন। এরপর ওই দিন দিবাগত ভোররাতে সাহ্‌রি খেয়ে প্রথম রোজা রাখতে হবে।

;