আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক হেরাত গ্র্যান্ড মসজিদ



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক হেরাত গ্র্যান্ড মসজিদ

আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক হেরাত গ্র্যান্ড মসজিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ হেরাতে অবস্থিত বিখ্যাত হেরাত গ্র্যান্ড মসজিদ। এই মসজিদকে আফগানিস্তানের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও শিল্প তুলে ধরার এক অনন্য নজির হিসেবে উল্লেখ করা যায়। ইতিহাসে এসেছে, এই মসজিদের স্থানে অতীতে অ্যারিয়ানদের উপাসনালয় ছিল। জরাস্ট্রিয়ানরা এখানে অগ্নিমন্দির নির্মাণ করে আগুনের উপাসনা করত। হেরাতের জনগণ ইসলাম গ্রহণের পর ২৯ হিজরিতে অগ্নিমন্দিরকে মসজিদে রূপান্তর করা হয়।

হেরাত জামে মসজিদে আফগান কারুকার্যময় শিল্পের চমৎকার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। একসঙ্গে এক লাখ মুসল্লি এখানে জামাতে নামাজ আদায় করতে পারেন। বিশাল এলাকাজুড়ে নির্মিত এই মসজিদে রয়েছে ৪৬০টি গম্বুজ, ১২টি মিনার, ৪৪৪টি স্তম্ভ, ১৩০টি ছোটবড় ছাদযুক্ত বারান্দা এবং কোরআনে কারিমের আয়াতখচিত চারটি বিশাল শিলালিপি।

আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক হেরাত গ্র্যান্ড মসজিদ

 

মসজিদের মিম্বরটি একখণ্ড বড় পাথর খোদাই করে তৈরি করা হয়েছে। হেরাত জামে মসজিদে রয়েছে একটি বিশাল অজুখানা, চার হাজার বইসমৃদ্ধ একটি পাঠাগার এবং একটি মাদরাসা। এই মসজিদ নির্মাণে ইট, চুনাপাথর ও টাইলসসহ ঐতিহাসিক স্থাপনা নির্মাণের সমস্ত উপাদান ও কলাকৌশল প্রয়োগ করা হয়েছে। মসজিদটির সৌন্দর্য চোখে না দেখলে বর্ণনা করে বোঝানো কঠিন।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, একটি নির্দিষ্ট সময়ে পুরো মসজিদ তৈরি না হয়ে যুগে যুগে এর এক একটি অংশ নির্মিত হয়েছে বলে নানা যুগের স্থাপত্যশৈলী এখানে চোখে পড়ে। ঘোরী শাসনামল থেকে শুরু করে তৈমুরি শাসন হয়ে পরবর্তী নানা শাসকের শিল্পকর্ম ও স্থাপত্যশৈলী এই মসজিদে দেখতে পাওয়া যায়। শত শত বছর আগে নির্মিত মসজিদটি প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা কারণে ধ্বংসপ্রাপ্ত ও পুনর্নির্মিত হয়েছে।

আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক হেরাত গ্র্যান্ড মসজিদ

 

৪১৪ হিজরিতে তখনকার কাঠনির্মিত মসজিদটির অর্ধেকটা আগুনে পুড়ে গিয়েছিল। জনগণের সহযোগিতা নিয়ে খাজা মোহাম্মাদ তাকি তখনকার মতো মসজিদটি মেরামত করেন। ওই ঘটনার প্রায় দুইশ’ বছর পর ফখরুদ্দিন রাজির প্রস্তাবনায় সুলতান গিয়াসুদ্দিন ঘোরী মসজিদটির পুনর্নিমাণের নির্দেশ দেন। তৎকালীন যুগের শ্রেষ্ঠ স্থাপত্যবিদ ও নির্মাণশিল্পীদের দিয়ে হেরাত জামে মসজিদ তৈরি হয়।

পরবর্তীতে হেরাতে চেঙ্গিস খানের হামলায় মসজিদটির অপূরণীয় ক্ষতি হয়। ৭০৭ হিজরিতে তৎকালীন সুলতান গিয়াসুদ্দিন কুর্তের নির্দেশে মসজিদটি পুনর্নির্মাণ করা হয় এবং এরসঙ্গে ‘গিয়াসিয়াহ’ নামে একটি মাদরাসা স্থাপন করা হয়। পাশাপাশি মসজিদে স্থাপন করা হয় ব্রোঞ্জ-নির্মিত একটি বিশাল পাত্র। চমৎকার কারুকার্যখচিত এই পাত্রে অতীতে ধর্মীয় উৎসবের দিনগুলোতে শরবত তৈরি করে হাজার হাজার মানুষের মাঝে বিতরণ করা হতো। চার দশমিক ছয় মিটার ব্যাসের পাত্রটির গভীরতা প্রায় দেড় মিটার।

মসজিদের কারুকাজ

 

হেরাত জামে মসজিদের আশপাশের মুসল্লিদের কানে আজান পৌঁছে দেওয়ার জন্য মসজিদটিতে যেসব মিনার সংযোজন করা হয় সেগুলোর উচ্চতা ১৭ থেকে ৩৬ মিটার পর্যন্ত। এসব মিনারের ব্যাস ৭ থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত এবং এগুলোর প্রত্যেকটির ভেতর দিয়ে মিনারের শীর্ষে ওঠার সিঁড়ি রয়েছে। দশম হিজরিতে সুলতান হোসেইন বাইকারার শাসনামলে হেরাত জামে মসজিদ আরেকবার সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করা হয়।

১৯৪৩ সালে আফগানিস্তানের শেষ বাদশাহ মোহাম্মাদ জহির খানের নির্দেশে তৎকালীন সেরা স্থাপত্যবিদ আব্দুল্লাহ খান মেলকিয়ারের তত্ত্বাবধানে সর্বশেষবারের মতো এই মসজিদের সার্বিক সংস্কার করা হয়। মেলকিয়ার এমন একদল স্থাপত্যশিল্পীকে এই কাজে নিয়োজিত করেন যাদের ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যশৈলীতে দখল রয়েছে। এসব শিল্পী নিপুণ হাতে মসজিদের অতীত স্থাপত্যরীতি অক্ষুণ্ন রেখে এটির আধুনিকায়ন করেন।

মসজিদের প্রবেশদ্বার

 

বিস্ময়ের কথা হলো, ঐতিহাসিক এই মসজিদটির সংস্কার ও মেরামত কাজ এখনও অব্যাহত রয়েছে। হেরাতের মানুষের মধ্যে জনশ্রুতি রয়েছে, এই মসজিদের নির্মাণ কাজ কোনোদিন শেষ হবে না; যদি কোনোদিন শেষ হয়ে যায় সেদিন কেয়ামত সংঘটিত হবে।

মসজিদটিকে ইউনেসকোর বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে ঔপনিবেশিক শাসনের পর ঐতিহাসিক কোনো মসজিদ অক্ষত ছিল না। ১৯৪৫ সালে বিধ্বস্ত স্থাপনাগুলো পুনর্নির্মাণের একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। তখন মসজিদের উত্তর-পশ্চিমাংশ ১০১-১২১ মিটার পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়।

শুক্রবার থেকে রোজা শুরু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ বুধবার দেশের কোথাও চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামী শুক্রবার থেকে রোজা শুরু হচ্ছে।

বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠক করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এ কথা জানায়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী ও কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।

বৈঠক শেষে জানানো হয়, বাংলাদেশের কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হবে রমজান মাস গণনা। সে ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার দেশের মসজিদগুলোতে বাদ এশা তারাবির নামাজের মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র রমজানের কার্যক্রম শুরু করবেন। এরপর ওই দিন দিবাগত ভোররাতে সাহ্‌রি খেয়ে প্রথম রোজা রাখতে হবে।

;

রোজা শুরু কবে, জানা যাবে সন্ধ্যায়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে পবিত্র রমজান মাস কবে থেকে শুরু হবে এবং কোন রাতে খেতে হবে সেহেরি- তা জানা যাবে আজ সন্ধ্যায়।

বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় রমজান মাসের চাঁদ দেখার খবর পর্যালোচনা করে রোজা শুরুর তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি মো. ফরিদুল হক খান ওই সভায় সভাপতিত্ব করবেন বলে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বুধবার বাংলাদেশের আকাশে কোথাও নতুন চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ নম্বরে ফোন করে কিংবা ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে ফ্যাক্স করে জানাতে অনুরোধ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

এছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসি অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে চাঁদ দেখার তথ্য জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।

বুধবার চাঁদ দেখা গেলে বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থেকে রমজান মাস গণনা শুরু হবে। মুসলমানরা বুধবার রাতে তারাবি নামাজ পড়ে শেষ রাতে সেহরি খেয়ে রোজা রাখবেন।

আর বুধবার চাঁদ দেখা না গেলে বৃহস্পতিবার শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। রমজান মাস গণনা শুরু হবে শুক্রবার থেকে এবং বৃহস্পতিবার রাতে হবে প্রথম তারাবি, শেষ রাতে সেহেরি খেতে হবে।

;

সৌদি আরবে বৃহস্পতিবার রোজা শুরু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরবে আজ মঙ্গলবার পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তাই দেশটিতে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে রোজা শুরু হচ্ছে। খবর সৌদি আরবভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সৌদি গেজেটের।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সৌদি গেজেটের খবরে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটি সন্ধ্যায় দেশটির কোথাও রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ওমান, মিসর, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং সিঙ্গাপুরেও বৃহস্পতিবার থেকে রোজা শুরু হবে।

সাধারণত সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর একদিন পর বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা যায়। ফলে বাংলাদেশে রোজা ও ঈদ পালন হয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর পরদিনই।

খালিজ টাইমস বলছে, খালি চোখে চাঁদ দেখার জন্য মঙ্গলবার সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠকে বসেছিল। চাঁদ দেখা না যাওয়ায় চাঁদ দেখা কমিটি বৃহস্পতিবার থেকে রোজা শুরুর ঘোষণা দিয়েছে।

;

সব মসজিদে একই পদ্ধতিতে তারাবি পড়ার আহ্বান



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান মাসে খতমে তারাবি পড়ার সময় সারা দেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

রমজান মাসে দেশের প্রায় সব মসজিদে খতমে তারাবি নামাজে পবিত্র কোরআনের নির্দিষ্ট পরিমাণ পারা তিলাওয়াত করার রেওয়াজ চালু আছে। তবে কোনও কোনও মসজিদে এর ভিন্নতা থাকে। এতে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী মুসলমানদের মধ্যে পবিত্র কোরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। এ অবস্থায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে একটি অতৃপ্তি ও মানসিক চাপ অনুভূত হয়। কোরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকেও তারা বঞ্চিত হন।

এ পরিস্থিতি নিরসনে পবিত্র রমজান মাসের প্রথম ছয় দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা এবং বাকি ২১ দিনে এক পারা করে ২১ পারা তিলাওয়াত করলে ২৬ রমজান দিবাগত রাতে অর্থাৎ পবিত্র শবে কদরে পবিত্র কোরআন খতম করা সম্ভব হবে। এমতাবস্থায় দেশের সব মসজিদে খতমে তারাবির নামাজে প্রথম ছয় দিনে দেড় পারা করে ও পরবর্তী ২১ দিনে এক পারা করে তিলাওয়াতের অনুরোধ জানানো হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সারা দেশের সব মসজিদের খতিব, ইমাম, মসজিদ কমিটি, মুসল্লি ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে এই অনুরোধ করা হয়েছে।

;