পদ্মনগরের দৃষ্টিনন্দন আধুনিক মসজিদ
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম পদ্মনগরে ব্যক্তি উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে নান্দনিক ডিজাইনের আধুনিক মসজিদ কমপ্লেক্স। আধুনিক স্থাপত্যের সঙ্গে মুসলিম ঐতিহ্যের সংমিশ্রণে তৈরি এক গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদের চোখ জুড়ানো সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ সবাই। পদ্মনগর গ্রামের ব্যবসায়ী সরদার জাহিদুল ইসলামের অর্থায়নে ইজারা পদ্মনগর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ নামের এই মসজিদটি নির্মিত হয়েছে।
১ এপ্রিল, শুক্রবার মসজিদটি উদ্বোধন করা হয়েছে। মজলিশে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশের নায়েবে আমির শায়খুল হাদিস মুফতি মনসুরুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মসজিদের উদ্বোধন করেন। এ সময় বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নকিব নজিবুল হক নজু, বাগেরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি লিয়াকত হোসেন লিটন, কচুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফিরোজ শিকদার, ইজারা পদ্মনগর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সভাপতি সরদার বজলুর রহমান, সভাপতির ছেলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সরদার জাহিদুল ইসলাম, খাদেমুল ইসলাম পদ্মনগর মাদ্রাসা ও এতিমখানার মুহতামিম মুফতি ইমরান হোসাইন, ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম খোকনসহ স্থানীয় দুই সহস্রাধিক মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন।
উদ্যোক্তাদের সূত্রে জানা গেছে, ইজারা ও পদ্মনগর দুই গ্রামের প্রধান মসজিদ ছিল এটি। ২০১৮ সালে মসজিদের জমিদাতা সরদার বজলুর রহমানের ছেলে ব্যবসায়ী সরদার জাহিদুল ইসলাম সবার সম্মতিতে এখানে একটি আধুনিক মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেন। অর্ধশতাধিক শ্রমিকের তিন বছরের চেষ্টায় মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। দুইতলা বিশিষ্ট এই মসজিদটির নকশা করেছেন বিল্ডিং ডিজাইনকারী প্রতিষ্ঠান রাশেদুল হাসান অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের স্বত্বাধিকারী স্থপতি রাশেদুল হাসান।
মসজিদটির সামনে রয়েছে প্রশস্ত জায়গা, প্রাকৃতিক আলো-বাতাস প্রবেশের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে। মেঝে নির্মাণ করা হয়েছে মার্বেল পাথর দিয়ে। মসজিদের দুই পাশে রাস্তা ও দুই পাশে স্কুলের মাঠ। এছাড়া মসজিদের সামনে ইসলামি পাঠাগার ও অজুখানা রয়েছে। মসজিদের অদূরে করা হয়েছে খাদেমুল ইসলাম পদ্মনগর মাদ্রাসা ও এতিমখানা। যেখানে হেফজ, কেরাত ও কওমি শিক্ষা চালু রয়েছে। বর্তমানে মাদ্রাসাটিতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে।
খাদেমুল ইসলাম পদ্মনগর মাদ্রাসা ও এতিমখানার মুহতামিম মুফতি ইমরান হোসাইন বলেন, মসজিদটি অনেক পুরানো। পুরানো মসজিদকে ভেঙে নতুনভাবে তৈরি করা হয়েছে। মসজিদের জমিদাতা বজলুর রহমান সরদারের ছেলে সরদার জাহিদুল ইসলাম নিজস্ব অর্থায়নে এই মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণ করেছেন। এখানে গরিব ও এতিম শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে লেখাপড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া মসজিদকে কেন্দ্র করে এখানে ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। তবে মসজিদ নির্মাণে কি পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে এসব বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি ব্যবসায়ী সরদার জাহিদুল ইসলাম।