দখলদার ইসরায়েলের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে হবে

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়

ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়

স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন আল-আকসা মুসলমানের প্রথম কেবলা। আল-আকসা মুসলমানের পূণ্যভূমি। এটি মুসলিম উম্মাহর সম্পদ। এ সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব শুধু ফিলিস্তিনিদের নয়, গোটা মুসলিম উম্মাহর। দীর্ঘ আট দশক ধরে দখলদার ইসরায়েল গাজা দখল করে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে। ইসরাইলকে নগ্নভাবে সহায়তা করছে পশ্চিমাগোষ্ঠী। পশ্চিমারা ইসরায়েলকে দিয়ে পুরো মধ্যপ্রাচ্য অশান্ত করে রেখেছে। স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ফিলিস্তিন সমস্যার কোনো সমাধান হবে না। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দখলদার ও মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়াখ্যাত ইসরায়েলের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানী ঢাকার বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার আশরফুল আলম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ডা. শহিদুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মাকসদুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, হাফেজ শাহাদাত হোসাইন প্রধানিয়া, মাওলানা মুহাম্মাদ আল-আমিন সোহাগ, মুফতি হাফিজুল হক ফাইয়াজ, ইউসুফ পিয়াস, আব্দুর রহমান, মাইদুল হাসান সিয়াম।

সমাবেশ পরিচালনা করেন কেএম শরীয়াতুল্লাহ ও মুফতি ফরিদুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অবৈধ দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলায় হাজার হাজার মুক্তিকামী জনতার ওপর হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে দলের আমির বলেন, স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা নৃশংস, নির্দয়, নির্মম ও চরম অমানবিক। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সন্ত্রাসী ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার ধিক্কার জানিয়ে তিনি আরও বলেন, চলমান হামলা হামলা ও সহিংসতার জন্য ইসরায়েল দায়ী। অবিলম্বে এ আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সাহায্য দেওয়ার জন্য জাতিসংঘসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপগ্রহণের আহ্বান জানান।

চরমোনাই পীর আরও বলেন, বিশ্ববাসীর কাছে এ কথা স্পষ্ট যে, ‘স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ফিলিস্তিন সমস্যার কোনো সমাধান হবে না। তাই অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।’

মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা পালন করার জন্য ওআইসি, জাতিসঙ্ঘ, শান্তিকামী বিশ্ববাসী ও মুসলিম দেশগুলোর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকার অর্জন, সম্মানজনক জীবনলাভের সংগ্রামে, তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে এবং ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে অতীতে ছিলাম ভবিষ্যতেও থাকবো- ইনশাআল্লাহ।

সমাবেশ শেষে দলের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীমের নেতৃত্বে একটি বিশাল মিছিল বায়তুল মোকাররম, পল্টন মোড়, বিজয়নগর নাইটাইঙ্গেল মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।