আল-আকসা মসজিদ বন্ধ করল ইসরায়েল
দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত পবিত্র আল-আকসা মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি পুলিশ। কোনো মুসল্লিকে মসজিদ প্রাঙ্গণে ঢুকতে দিচ্ছে না তারা। পবিত্র স্থানটির দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ওয়াক্ফ বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কয়েক মাসের মধ্যে এই প্রথম মসজিদ মুসলিমদের জন্য বন্ধ রাখা হলো।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে শুধু ইহুদিরা প্রবেশ করছেন। সেখানে ইহুদিদের প্রার্থনা করার সুযোগ দিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ।
ফিলিস্তিনির বার্তা সংস্থা ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের কাছে পবিত্র একটি স্থান। সেখানে শুধু তারাই নামাজ আদায় করেন। কিন্তু নিয়ম ভঙ্গ করে সেখানে ইহুদিরা প্রার্থনা করেছেন। এটি মসজিদের স্থিতিবস্থার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে নজিরবিহীন সংঘর্ষ শুরু হয়। এর পর থেকে টানা দুই সপ্তাহ ধরে আল-আকসা মসজিদে জুমার নামাজও আদায় করতে পারছেন না ফিলিস্তিনিরা।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, সীমিত সংখ্যক ফিলিস্তিনিকে মসজিদ প্রাঙ্গণে নামাজ আদায়ের অনুমতি দেওয়া হয়। অন্যরা বাধ্য হয়ে আল আকসার আশপাশের রাস্তায়, ফাঁকা মাঠে যে যেখানে জায়গা পেয়েছেন সেখানেই জুমার নামাজ আদায় করেছেন।
শুধু আল আকসা বন্ধ নয়, ফিলিস্তিনজুড়ে ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অন্তত ৩১ মসজিদ ধ্বংস হয়েছে ইসরায়েলের নৃশংস রকেট ও বিমান হামলায়। গাজা অঞ্চলের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে।
মসজিদ ছাড়াও কয়েকদিন আগে আল-আহলি নামের একটি হাসপাতালেও হামলা করেছে ইসরায়েল।
গাজায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলার প্রথম দিন থেকে এ পর্যন্ত গাজায় মোট মসজিদ ধ্বংসের সংখ্যা ৩১টি। যুদ্ধের সময় ধর্মীয় স্থান ও হাসপাতাল যুদ্ধমুক্ত এলাকা হলেও ইসরায়েলের বর্বরতা সব সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। মসজিদ বন্ধ, ধ্বংস ও হাসপাতালে বোমা হামলা এটাই প্রমাণ করে।