৬৫ বছর বয়সী ভ্যানচালকের উমরার স্বপ্নপূরণ



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ভ্যানচালক মো. ফরিদ বেপারী, ছবি: সংগৃহীত

ভ্যানচালক মো. ফরিদ বেপারী, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ দিনের ইচ্ছে ছিল সৃষ্টিকর্তা দয়াময় আল্লাহতায়ালার ঘর তওয়াফ ও মদিনা শরিফে হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওজা মোবরক জিয়ারত করার, রাসুলের রওজায় সালাম পেশ করার। অবশেষে লালিত সেই স্বপ্ন ২০২৪ সালের ২ মে পূরণ করেছেন ভ্যানচালক মো. ফরিদ বেপারী। ৬৫ বছর বয়সী এই ভ্যানচালক বরিশালের মুলাদী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড বড়চর মাধবপুরের মো. আ. রব বেপারীর ছেলে।

পবিত্র উমরার স্বপ্নপূরণ প্রসঙ্গে ফরিদ বেপারী বলেন, ‘ভালো কাজের নিয়ত করলে আল্লাহতায়ালা তার ব্যবস্থা করে দেন। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতেই আমার উমরা পালন করা সম্ভব হয়েছে।’

জানা গেছে, ভ্যান চালিয়ে মাসে দুই থেকে তিন হাজার টাকা আয় করেন। সংসারের খরচ চালানোর পরে হাতে কিছুই থাকে না। তার পাঁচ ছেলে সন্তান রয়েছে। ছোট ছেলে তার সঙ্গে থাকে। বাকি ছেলেরা আলাদা সংসার করে। নিজের আয় দিয়েই উমরা পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ জন্য তিনি দিন-রাত ভ্যান চালিয়ে টাকা সংগ্রহ করেন।

গত ৩০ বছর ধরে তিনি ভ্যান চালিয়ে যাচ্ছেন। স্ত্রীর শরীরের অবস্থা ভালো না থাকায় উমরা পালনে সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেননি বলে মনে অনেক দুঃখ তার। উমরা পালন করতে তার খরচ হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। উমরা পালন করতে কোনো ঋণ করেননি তিনি। কষ্ট করে ভ্যান চালিয়ে টাকা উপার্জন করে উমরা পালন করেছেন তিনি।

ফরিদ বেপারী আবারও উমরা পালন করার আশা করছেন। এ জন্য সবার দোয়াও কামনা করেন তিনি।

   

হাজিদের কেনাকাটায় ‘সাবধানী’ হতে বলল সৌদি আরব



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হাজিরা কেনাকাটা করছেন মক্কায়, ছবি: সংগৃহীত

হাজিরা কেনাকাটা করছেন মক্কায়, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শেষ হয়েছে চলতি বছরের পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা। এবার দেশ-বিদেশের ১৮ লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ হজ পালন করেছেন। এই বিপুল সংখ্যক হজযাত্রীর মধ্যে ১৬ লাখই এসেছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে।

বিদেশ থেকে আসা হাজিরা নিজ নিজ দেশে ফিরতে শুরু করেছেন। এমতাবস্থায় বিদায়ী হজযাত্রীদের ‘যৌক্তিক পরিমাণে’ কেনাকাটার আহ্বান জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (২৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পবিত্র হজের আনুষ্ঠনিকতা শেষ করে আরও বেশি সংখ্যক বিদেশি মুসল্লি সৌদি আরব ছেড়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। এমন অবস্থায় নিজেদের ফিরে যাওয়ার ফ্লাইটে অনুমোদিত লাগেজের ওজন মেনে চলতে ‘যুক্তিসঙ্গতভাবে’ কেনাকাটা করতে বিদায়ী হজযাত্রীদের পরামর্শ দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

সৌদি আরবের হজ মন্ত্রণালয় কেনাকাটার বিষয়ে নির্দেশনাও ঘোষণা করেছে এবং হজযাত্রীদের সেগুলো অনুসরণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন

দেড় মাসে চৌদ্দ লাখ জিয়ারতকারী রাসুলের রওজায়

বিদায়ী হজযাত্রীদের উদ্দেশে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক ইনফোগ্রাফে সৌদির হজ মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার পরে আপনারা আধ্যাত্মিক এই যাত্রার স্মৃতি হিসেবে স্যুভেনির কেনাকাটা করতে পারেন।’

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সৌদি আরবের পবিত্র শহর মক্কা ও মদিনায় এমন সব দোকান রয়েছে যেখানে হজযাত্রীরা বিভিন্ন জিনিস কেনাকাটা করতে পারেন।

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘কেনাকাটার পর আপনারা ক্রয়ের রসিদ হাতে পাওয়া নিশ্চিত করুন। তবে মনে রাখবেন, ক্রয়কৃত জিনিস ও উপহারগুলো ভ্রমণের জন্য অনুমোদিত লাগেজের ওজনের বেশি হতে দেবেন না।’

এদিকে হজ ফ্লাইটের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দরের কর্তৃপক্ষ বিদায়ী হজযাত্রীদের বিমানবন্দরে নির্ধারিত বিক্রয় কেন্দ্রে জমজমের পানির প্যাকেট অর্ডার করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে।

মূলত সৌদি আরব থেকে হজযাত্রা শেষে ফেরার পথে বিদেশি মুসল্লিরা ঐতিহ্যগতভাবে জমজমের পানি সঙ্গে করে নিজ নিজ বাড়িতে নিয়ে যান।

জমজমের পানি তথা বরকতময় এই পানির প্যাকেট কিনে বাড়ি ফেরার পর নিজেদের আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুদের উপহার হিসেবে দিয়ে থাকেন তারা।

;

দেড় মাসে চৌদ্দ লাখ জিয়ারতকারী রাসুলের রওজায়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রিয়াজুল জান্নাতে নামাজ আদায় করছেন জিয়ারতকারীরা, ছবি: সংগৃহীত

রিয়াজুল জান্নাতে নামাজ আদায় করছেন জিয়ারতকারীরা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি হজ মৌসুমে গত ছয় সপ্তাহে বিশ্বের ১৪ লাখেরও বেশি মুসলিম হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর রওজা মোবারকে সালাম ও রিয়াজুল জান্নাতে নামাজ আদায় করেছেন।

রোববার (২৩ জুন) সরকারি পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা এসপিএর প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ১ জিলকদ থেকে ১৪ জিলহজ অর্থাৎ দেড় মাসে ৭ লাখ ৬২ হাজার ১০১ জন পুরুষ এবং ৬ লাখ ৪১ হাজার ৫৩৯ জন নারী (মোট ১৪ লাখ ৩ হাজার ৬৪০ জন) রাসুলের রওজায় সালাম ও রিয়াজুল জান্নাতে নামাজ আদায় করেছেন।

রিয়াজুল জান্নাতের আয়তন ৩৩০ বর্গমিটার, এখানে প্রতি ঘন্টায় ৮০০ মানুষ নামাজ আদায় করতে পারেন। একজন দর্শনার্থী মাত্র ১০ মিনিট থাকার সুযোগ পান।

মসজিদে নববির মিম্বর থেকে শুরু করে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর রওজার (যেখানে নবী কারিম সা.-এর ঘর ছিল) মধ্যবর্তী স্থানটুকুকে রিয়াজুল জান্নাত বা বেহেশতের বাগিচা বলা হয়। হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার ঘর ও আমার মিম্বরের মধ্যবর্তী স্থানে বেহেশতের একটি বাগিচা বিদ্যমান।

হজ ও উমরাকারীরা নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা জিয়ারত এবং রিয়াজুল জান্নাতে নামাজ আদায়ের জন্য মদিনা সফর করেন। তবে রিয়াজুল জান্নাতে নামাজ আদায়ে ইচ্ছুকদের নির্দিষ্ট অ্যাপে আবেদন করে আগে থেকেই অনুমতি নিতে হয়।

গত বছরের ডিসেম্বরে রওজা শরিফ পরিদর্শনের নতুন নিয়ম জারি করে সৌদি আরব। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে বিশ্বের মুসলিমরা বছরে কেবল একবারের জন্য রিয়াজুল জান্নাত পরিদর্শন করতে পারবেন।

আরও পড়ুন

রওজা, কবর ও মাজারের পার্থক্য

মদিনার সেরা ৪ দর্শনীয় স্থান

নবী কারিম (সা.)-এর রওজা জিয়ারতের গুরুত্ব

সৌদি আরবের হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্রতম স্থানটি ৩৬৫ দিনই পরিদর্শন করতে পারবেন মুসলিমরা। এমনকি রওজা শরিফে সালামও পেশ করতে পারবেন। তবে একজন মুসলিম বছরে মাত্র একবার রিয়াজুল জান্নাত পরিদর্শনের অনুমতি পাবেন।

মন্ত্রণালয় বলেছে, একজন মুসলিম তার সর্বশেষ পরিদর্শনের অনুমতির ৩৬৫ দিন পর রিয়াজুল জান্নাত পরিদর্শনের জন্য নুসুক বা তাওয়াক্কালনা অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

চলতি বছর বিশ্বের প্রায় ১৮ লাখ মুসলিম হজ পালন করেছেন। এছাড়া বছরজুড়ে ওমরাযাত্রীরা মসজিদে নববিতে গমন করেন।

সৌদির সরকারি এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (রমজান মাসসহ) রওজা মোবারক জিয়ারত করেছেন ৭ কোটি ৪৫ লাখের বেশি মুসলিম। গত বছর ২৮ কোটিরও বেশি মুসলিম রওজা মোবারক জিয়ারত করেন।

;

এবার হজে তীব্র গরমে ১৩০১ জনের মৃত্যু: সৌদি আরব



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
গরম থেকে বাঁচতে মাথায় পানি দিচ্ছেন এক হাজি, ছবি: সংগৃহীত

গরম থেকে বাঁচতে মাথায় পানি দিচ্ছেন এক হাজি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র হজ পালন করতে প্রতি বছর লাখ লাখ মুসলমান সৌদি আরবে যান। তবে বহু মুসল্লির মৃত্যুর প্রেক্ষাপটে চলতি বছর বাড়তি শোকাবহ হয়ে উঠেছে। সৌদি আরব বলছে, এবার হজ চলাকালীন ১ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন।

রোববার (২৩ জুন) রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিভিশনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহাদ বিন আবদুর রাহমান আল-জালাজেল বলেন, মৃতদের ৮৩ শতাংশ ছিলেন অননুমোদিত, যারা তীব্র গরমের মধ্যে অনেক দূর পথ হেঁটেছেন।

তবে সৌদি আরব রোববারের আগ পর্যন্ত মৃত্যুর বিষয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেনি বা মৃত্যুর সংখ্যা সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও তথ্য প্রদান করেনি।

ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহাদ আল-জালাজেল বলেন, হজের সময় হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য অবকাঠামোগুলোতে প্রায় ৫ লাখ হজযাত্রীর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ১ লাখ ৪০ হাজারের বেশি হজযাত্রীর হজ করার অনুমোদন ছিল না।

ফাহাদ আল-জালাজেল বলেন, অনিবন্ধিত হজযাত্রীদের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তাঁবু এবং অফিসিয়াল হজ পরিবহনের মতো সুবিধা ব্যবহারের সুযোগ নেই। আল্লাহ ক্ষমা করুন এবং মৃতদের প্রতি রহম করুন। তাদের পরিবারের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা জানাই।

এর আগে, কায়রোর দুই কর্মকর্তা জানান, মৃতদের অর্ধেকেরও বেশি মিসর থেকে এসেছিলেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অননুমোদিত হজযাত্রীদের সৌদি আরব ভ্রমণ করার সুযোগ করে দেওয়ায় ইতোমধ্যে মিসর ১৬ ট্র্যাভেল এজেন্সির নিবন্ধন বাতিল করেছে।

গত শুক্রবার জর্ডান বলেছে, তারা বেশ কয়েকজন ট্রাভেল এজেন্টকে আটক করেছে যারা পারমিটবিহীন হজযাত্রীদের মক্কায় ভ্রমণে সহায়তা করেছিল। এদিকে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ দেশটির ধর্মমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছেন।

হজের সময় মৃত্যুর ঘটনা বিরল নয়। পাঁচ দিনের হজযাত্রায় অংশ নিতে কখনও কখনও বিশ লাখেরও বেশি মানুষ সৌদি আরবে ভ্রমণ করেছেন। অতীতে অসংখ্য মানুষ হজ করতে এসে পদদলিত হয়ে ও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

মক্কা ও শহরটির আশেপাশের পবিত্র অবস্থানগুলোতে এ বছরের হজের সময় দৈনিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৬ থেকে ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল বলে জানিয়েছে সৌদি আরবের জলবায়ু বিভাগ।

তবে সৌদি আরবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বাহিনীর সমন্বিত প্রচেষ্টায় হজ মৌসুম সফলভাবে শেষ হয়েছে। কোনো মহামারি বা ব্যাপক রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়নি। আর মৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বয়স্ক এবং দীর্ঘস্থায়ীভাবে অসুস্থ ব্যক্তি ছিলেন।

আরও পড়ুন

২০২৫ সালের হজের কোটা ঘোষণা

তিনি যোগ করেন, ‘আমাদের আন্তরিক সমবেদনা তাদের পরিবারের প্রতি। অননুমোদিত হওয়ায় প্রাথমিকভাবে মৃতদের শনাক্ত করা যায়নি। পরে প্রযুক্তির সহায়তায় লাশ শনাক্ত শেষে মৃতের পরিবারকে অবহিত করা হয়েছে। তাদের দাফন হয়েছে যথাযথ প্রক্রিয়ায় এমনকি মৃত্যুর শংসাপত্রও প্রদান করা হয়েছে।

এ সময় তিনি লাশ শনাক্ত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করেন। তিনি যোগ করেন, এখনও কিছু অসুস্থ ব্যক্তি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সৌদি মন্ত্রী আরও বলেন, হজযাত্রীদের জন্য আমাদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবার চালু আছে। আমাদের প্রদত্ত স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ওপেন হার্ট সার্জারি, কার্ডিয়াক ক্যাথেটারাইজেশন, ডায়ালাইসিস এবং জরুরি চিকিৎসা। হজের সময় ৩০ হাজার রোগী অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা পেয়েছে এবং ৯৫ জনকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের সেবা দেওয়া হয়েছে।

;

দেশে ফিরলেন ১১ হাজার ৬৪০ হাজি, মৃত্যু ৪৪



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৬৪০ হাজি দেশে ফিরেছেন। হজে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৪৪ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে পুুরুষ ৩৫ এবং মহিলা নয়জন।

রোববার (২৩ মে) দিনগত রাতে হজ পোর্টালের সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

সৌদি থেকে ৩০টি ফ্লাইটে এসব হাজি বাংলাদেশে এসেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৮টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ১০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ১২টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।

হজ শেষে গত ২০ জুন থেকে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হয়। ওইদিন বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ৪১৭ হাজি নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে।

এবার বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন। 

এদিকে, আগামী বছর (২০২৫) বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা দিয়েছে সৌদি আরব।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম জানান, নির্ধারিত সংখ্যার মধ্যে কতজন সরকারি ব্যবস্থাপনায় আর কতজন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাবেন তা বাংলাদেশ সরকার পরে নির্ধারণ করে দেবে।

;