এবার হজে প্রথম শিশুর জন্ম দিলেন নাইজেরিয়ান নারী

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র মক্কা, ছবি : সংগৃহীত

পবিত্র মক্কা, ছবি : সংগৃহীত

চলতি হজ মৌসুমে প্রথমবারের মতো এক নারী হজযাত্রী সন্তান জন্ম দিয়েছেন। নবজাতক শিশুর নাম ‘মোহাম্মদ’ রাখা হয়েছে। ৩০ বছর বয়সী এক নাইজেরিয়ান নারী মক্কার একটি হাসপাতালে এ শিশুর জন্ম দেন।

সোমবার (১০ জুন) সৌদি বার্তা সংস্থার সূত্রে আরব নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়, পবিত্র হজ করতে আসা এক নাইজেরিয়ান নারীর গর্ভাবস্থার ৩১তম সপ্তাহে ছিলেন। এরপর তিনি প্রসব বেদনা অনুভব হলে তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে তাকে প্রসূতি ওয়ার্ডে স্থানান্তর করেন। অতঃপর সেখানে তার স্বাভাবিক প্রসব হয়। মা ও শিশু উভয়ই সুস্থ আছে। নবজাতককে বিশেষ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

হজযাত্রীদের জরুরি সেবা দিতে মক্কায় বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশেষত গর্ভবতী নারীদের জন্য মক্কা হেলথ ক্লাস্টারের তত্ত্বাবধানে রয়েছে বিশেষায়িত ম্যাটারনিটি অ্যান্ড চিলড্রেনস হাসপাতাল।

তা প্রসূতি নারী, নবজাতক ও শিশুদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিখ্যাত। প্রতিবছর হজ মৌসুমে এখানে প্রসূতি নারীদের সেবা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

এদিকে চলতি হজ মৌসুমে হজযাত্রীদের সর্বোত্তম স্বাস্থ্যসেবা দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছে সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এরই অংশ হিসেবে মক্কা, মদিনাসহ হজের পবিত্র স্থানগুলোতে ছয় হাজার চার শর বেশি শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। এসব স্থানে পাঁচ হাজারের বেশি চিকিৎসকসহ ৩২ হাজারের বেশি চিকিৎসাকর্মী নিয়োজিত রয়েছেন।

এর মধ্যে পেশাদার চিকিৎসকরা ৩২টি হাসপাতাল, ১৫১টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ৬টি সর্বাধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকে চিকিৎসাসেবা দেবেন।

এদিকে সৌদি রেড ক্রিসেন্ট অথরিটি (এসআরসিএ)-এর তত্ত্বাবধানে হজযাত্রীদের জরুরি সেবায় বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়। সংস্থাটির তত্ত্বাবধানে ৯৮টি জরুরি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ২৫৪০ জনের বেশি চিকিৎসাকর্মী নিয়োজিত রয়েছেন। এ ছাড়া রয়েছে ৬৯৪টির বেশি অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা এবং সাতটি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স বিমান।

সৌদি আরবে আগামী ১৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে এবং পরদিন ১৬ জুন ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশের ১৩ লাখের বেশি হজযাত্রী দেশটিতে পৌঁছেছেন। এ বছর বিশ্বের ২০ লাখের বেশি মুসলিম হজ পালন করবেন বলে আশা করছে সৌদি আরব।