পবিত্র হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৬৪০ হাজি দেশে ফিরেছেন। হজে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৪৪ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে পুুরুষ ৩৫ এবং মহিলা নয়জন।
রোববার (২৩ মে) দিনগত রাতে হজ পোর্টালের সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
সৌদি থেকে ৩০টি ফ্লাইটে এসব হাজি বাংলাদেশে এসেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৮টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ১০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ১২টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।
হজ শেষে গত ২০ জুন থেকে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হয়। ওইদিন বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ৪১৭ হাজি নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে।
এবার বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন।
এদিকে, আগামী বছর (২০২৫) বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা দিয়েছে সৌদি আরব।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম জানান, নির্ধারিত সংখ্যার মধ্যে কতজন সরকারি ব্যবস্থাপনায় আর কতজন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাবেন তা বাংলাদেশ সরকার পরে নির্ধারণ করে দেবে।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের বইমেলায় হিজরি প্রথম শতাব্দীতে লিখিত পবিত্র কোরআনের একটি পাণ্ডুলিপিসহ অন্যান্য দুর্লভ পাণ্ডুলিপি দেখতে ভিড় জমিয়েছেন দর্শনার্থীরা। রিয়াদ আন্তর্জাতিক বইমেলায় কিং ফাহাদ ন্যাশনাল লাইব্রেরির প্যাভিলিয়নের ছয়টি দুর্লভ ঐতিহাসিক পাণ্ডুলিপিই যেন এবারের মেলার মূল আকর্ষণে পরিণত হয়েছে।
সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, প্রদর্শনীতে থাকা পুরোনো সংগ্রহের অন্যতম হলো- ১০০৯ হিজরিতে লিখিত কোরআন মাজিদের পাণ্ডুলিপি। ওই পাণ্ডুলিপির মার্জিনে ফার্সি ব্যাখ্যা রয়েছে।
অন্য দুর্লভ সংগ্রহগুলো হলো, হিব্রু ভাষায় রচিত ১২৭৪ হিজরির ইবনে আল-কাইয়িম আল-জাওজিয়ার ‘আল-কাফিয়াহ আশ-শাফিয়াহ’র একটি পাণ্ডুলিপি।
১৯৮৩ সালে কিং ফাহাদ ন্যাশনাল লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে গ্রন্থাগারটি পুরোনো পাণ্ডুলিপি সংগ্রহ সংরক্ষণ এবং তা প্রচারে মনোনিবেশ করেছে। বর্তমানে এটি একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে, যেখানে ৬ হাজারের বেশি বিরল মূল পাণ্ডুলিপি রয়েছে।
বিপুলসংখ্যক পাঠক-দর্শকের উপস্থিতি ও নানা বৈচিত্র্যের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য রিয়াদ বইমেলার বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। এখানে আরবি ভাষাভাষী ছাড়াও আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অনেক প্রকাশনা সংস্থা অংশগ্রহণ করে থাকে।
সৌদি আরবের কিং সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে, চলবে আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত। এবারের মেলায় ৩০টিরও বেশি দেশ থেকে ২ হাজারের বেশি প্রকাশনা সংস্থা অংশগ্রহণ করছে। পুরো মেলায় রয়েছে ৮০০টিরও বেশি প্যাভিলিয়ন।
রিয়াদ আন্তর্জাতিক বইমেলা সাহিত্য, প্রকাশনা ও অনুবাদের সঙ্গে যুক্ত পেশাজীবীদের জন্য একটি সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে এখানে এসে নিজেদের চিন্তাভাবনা ও সংস্কৃতির বিনিময় করেন গুণীজনেরা, সমর্থন জানান প্রকাশনাশিল্পের প্রতি, উৎসাহ জোগান পাঠাভ্যাসে। পাঠক ও উৎসুকজনের মধ্যে সাম্প্রতিকতম সাহিত্যকর্ম ও বইয়ের পরিচিতি তুলে ধরারও এক সুযোগ এ বইমেলা।
এ বছর বইমেলার ‘সম্মানীয় অতিথি’ দেশ কাতার। সৌদি সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় বলেছে, কাতারকে এ বইমেলার ‘সম্মানীয় অতিথি’ রাষ্ট্র করার বিষয়টি বন্ধুপ্রতিম এ দুই দেশের মধ্যকার শক্তিশালী ভ্রাতৃত্বের বন্ধনেরই প্রতিফলন। এটি সৌদি আরব ও কাতারের মধ্যে ঐতিহাসিক যোগাযোগ এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সহযোগিতার ওপরও গুরুত্বারোপ করছে।
মুসলিম বান্ধবীদের আচরণে মুগ্ধ কলম্বিয়ান তরুণী মারিয়া মেডিনার ইসলাম গ্রহণ তুরস্কে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। ২০২২ সালের অক্টোবরে মারিয়া মেডিনা ইসলাম গ্রহণের পর জায়নাব নাম গ্রহণ করেন। এভাবে প্রায়ই দেশে-বিদেশে কলম্বিয়ার নাগরিকরা ইসলাম গ্রহণ করে থাকেন।
কলম্বিয়া প্রজাতন্ত্র দক্ষিণ আমেরিকার দেশ। যার একদিকে রয়েছে ক্যারিবীয় সাগর এবং অন্যদিকে প্রশান্ত মহাসাগর। দেশটির পূর্বে ভেনিজুয়েলা ও ব্রাজিল, দক্ষিণে ইকুয়েডর ও পেরু এবং উত্তর-পশ্চিমে পানামা অবস্থিত। বোগোটা কলম্বিয়ার সর্ববৃহৎ শহর ও রাজধানী।
চির সবুজের দেশ কলম্বিয়ার অর্থনীতি অনেকটাই কৃষিনির্ভর। কফি, অ্যাবোকাডো, পামঅয়েল, আখ, কলা ও আনারস উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি কলম্বিয়া। তবে কয়লা ও খনিজ তেল রপ্তানি করেও দেশটি উল্লেখযোগ্য অর্থ উপার্জন করে থাকে। কলম্বিয়ার মোট আয়তন ১১ লাখ ৪১ হাজার ৭৪৮ বর্গকিলোমিটার।
২০২৪ সালের পরিসংখ্যান অনুসারে মোট জনসংখ্যা পাঁচ কোটি ২৬ লাখ ৯৫ হাজার ৯৫২ জন, যাদের বেশির ভাগ খ্রিস্টধর্মের অনুসারী। ধারণা করা হয়, কলম্বিয়ায় মুসলমানের সংখ্যা ৮০ হাজার থেকে এক লাখ। তবে সরকারি পরিসংখ্যানে মুসলমানের সংখ্যা দেখানো হয় ১০ থেকে ১৫ হাজার মাত্র।
গবেষকদের দাবি, খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০০-১২০০০ অব্দে কলম্বিয়ায় মানুষের বসবাস শুরু হয়। কেননা সেখানে খ্রিস্টপূর্ব ৮০০০ অব্দের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া গেছে। খ্রিস্টীয় ১৬ শতকে কলম্বিয়ায় ইউরোপিয়ানদের আগমন ঘটে। ১৬ থেকে ১৯ শতক পর্যন্ত কলম্বিয়া স্পেনের একটি উপনিবেশ ছিল। ১৮১৯ সালে কলম্বিয়া স্বাধীনতা লাভ করে।
কলম্বিয়ার মানুষ স্প্যানিশ উপনিবেশের মাধ্যমের ইসলামের সঙ্গে পরিচিত হয়। স্পেন থেকে বাধ্যতামূলক নির্বাসনে পাঠানো মুসলিমদের কারো কারো কলম্বিয়ায় ঠাঁই হয়েছিল। এ ছাড়া দীর্ঘকাল মুসলিম শাসনাধীন থাকার কারণে স্পেনের সমাজ ও সংস্কৃতির সঙ্গে ইসলাম ওতপ্রোতভাবে মিশে ছিল।
মুসলিম সংস্কৃতির প্রতি কলম্বিয়ানদের বিশেষ আগ্রহ ছিল। লেখক, কবি ও সাহিত্যিকদের কেউ কেউ ইসলামি সংস্কৃতির প্রতি নিজেদের আগ্রহও প্রকাশ করেন। যেমন ডন অ্যাজুকিয়াল ও অ্যারিকোশা। স্প্যানিশ উপনিবেশ শেষ হলে সমাজ ও রাষ্ট্রের ওপর চার্চের প্রভাব কমে। তখন লেখক, কবি ও সাহিত্যিকদের অনেকেই ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতির উচ্চ প্রশংসাও করেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আরবিতে কথাও বলতেন। যেমন ডন অ্যাজুকিয়াল, ফিনো, জোসে কারভো প্রমুখ।
তবে ধর্ম হিসেবে ইসলামের বিস্তার ঘটে গত শতাব্দীর মধ্যভাগে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর বাস্তুচ্যুত বহু আরব লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশের মতো কলম্বিয়ায়ও আশ্রয় নেয়। তাদের বেশির ভাগ ছিল সিরিয়ার অধিবাসী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৫১ সালে সিরিয়া, লিবিয়া ও ফিলিস্তিনের আরো একদল মুসলিম কলম্বিয়ায় আশ্রয় নেয়। আবার কলম্বিয়ানদের অনেকেও ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হয়েছে।
কলম্বিয়ান মুসলিমদের বেশির ভাগ রাজধানী বোগোটা, মাইকাও, বানকিনা, কালি, সান অ্যান্ড্রিস দ্বীপ ও সান্তামারতায় বসবাস করে। রাজধানী বোগোটার পর সবচেয়ে বেশি মুসলিম বসবাস করে মাইকাও শহরে। এখানে এক হাজারেরও বেশি মুসলিম বসবাস করে।
কলম্বিয়ান মুসলিমদের একদল আফ্রিকান বংশোদ্ভূত। তাদেরকে স্পেন কাজের জন্য দাস হিসেবে এ দেশে নিয়ে এসেছিল। তাদের বেশির ভাগ বুবোনা বন্দরে বসবাস করে। কলম্বিয়ায় ইসলাম প্রচারে এসব আফ্রিকান দাসের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। কলম্বিয়ান মুসলিমদের বেশির ভাগ ব্যবসা ও হালকা শিল্পের সঙ্গে জড়িত। তাই তাদের আর্থিক অবস্থাও ভালো।
কলম্বিয়ায় ইসলাম আগমনের প্রায় ১০০ বছর অতিবাহিত হলেও সেখানে খুব বেশিদিন ইসলামি সংস্থা, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। গত শতকের আশির দশকে কলম্বিয়ায় আরব বিশ্বসহ মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন মিশনারি দল, রাষ্ট্রদূত ও আলেমদের আগমন শুরু হয়। তাদের অনুপ্রেরণায় কলম্বিয়ান মুসলিমরা সংঘবদ্ধ হতে আরম্ভ করে। তারই ধারাবাহিকতায় মাইকাও শহরে ১৯৯০ সালে একটি মসজিদ ও মডেল স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়।
দারুল আরকাম নামের এই স্কুলে বর্তমানে এক হাজার ২০০ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। মুসলিম শিক্ষকের অভাবে সেখানে অমুসলিম শিক্ষকও নিয়োগ দিতে হয়েছে। সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো, সেখানে আরবি ভাষা এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি শিক্ষা দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত লোক নেই।
ইসলামিক ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন নামক ইসলামি সেবা সংস্থার সদর দপ্তর মাইকাও শহরেই অবস্থিত। সংস্থাটি ১৪১০ হিজরি থেকে রমজানে একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠান পরিচালনা করে আসছে। শহরে একটি মুসলিম কবরস্থানও আছে। মাইকাওয়ে অবস্থিত ওমর বিন খাত্তাব (রা.) মসজিদ লাতিন আমেরিকার তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ।
কলম্বিয়ায় মুসলিমরা স্বাধীনভাবে ধর্মচর্চা করে থাকে। রাজধানীর বাইরেও শহরে মসজিদ ও পৃথক মুসলিম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।
দেশের বিভিন্ন মেডিকেলে অধ্যয়নরত ৭৭ জন কোরআনের হাফেজকে সংবর্ধনা দিয়েছে মেডিকেল দাওয়াহ সোসাইটি অব বাংলাদেশ। একইসঙ্গে তাদের মধ্য থেকে সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদেরও পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকদের কাছে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা তুলে ধরার পাশাপাশি মানসম্মত চিকিৎসা প্রদানে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর বৈশিষ্ট্যগুলো পূর্ণ অনুসরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন বিশিষ্ট ধর্মীয় আলোচক মাওলানা আব্দুল হাই মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
তিনি বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনের প্রতিটি পদচারণা, তার প্রতিটি বাণী হেদায়েতের স্নিগ্ধ কিরণ হয়ে আমাদের আলোকিত করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাই সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বেশি করে ছড়িয়ে দিতে হবে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শকে।
ডা. এ বি এম আল আমিনের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রফেসর ডা. সাজেদ আবদুল খালেক, ডা. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, ডা. নুরুল্লাহ, ডা. হাফেজ রেজুয়ানুল হক ও ডা. হাফেজ মাহমুদুল বাশার।
অনুষ্ঠানে মেডিকেল ফিকহের গুরুত্ব, ডাক্তারদের কাছে জনগণের প্রত্যাশা-বাস্তবতা এবং হাসপাতালে মুসলিম রোগীদের ইসলামি কনসেপ্টসহ নানা বিষয়ে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের সাবেক ডিন ও মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সাধারণত সমাজে খুব সাধারণ একটি বিষয়, কিন্তু ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে একজন মৃত্যু পথযাত্রী মুসলিম রোগীকে তালকিন (পাশে বসে তাকে শুনিয়ে শুনিয়ে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠ) করা। অথচ আইসিইউ বা সিসিইউ বা জেনারেল বেডের কোনো রোগীকে কেউ তালকিন করার নেই। এসব বিষয়ে ডাক্তার নার্স বা ব্রাদারদের কোনো প্রশিক্ষণ বা কোনো হাসপাতালে ধর্মীয় প্রতিনিধি কী আছেন? নেই।
তারা বলেন, ক্যাপসুলে জেলোটিন ব্যবহার হয় এমনকি নানা ধরনের হালাল-হারামের মিশ্রণ হয়। এসব বিষয়ে কি আমাদের কোনো ধারণা আছে? আমরা এই বিষয়গুলো কতটুকু গুরুত্ব দেই? আমার মনে হয় আমাদের কাজ করার অসংখ্য জায়গা এবং প্রয়োজনীয়তা আছে।
অনুষ্ঠানে চিকিৎসকরা বলেন, কোরআন ও চিকিৎসা বিজ্ঞান অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। কোরআন মাজিদ যথাযথভাবে অনুসরণ করলে এখানে নির্দেশনা পাওয়া যাবে।
অনুষ্ঠানে ইসলামি অনুশাসন অনুসরণে চিকিৎসা প্রদানের একটি রূপরেখাও তুলে ধরা হয়। এসময় একজন কোরআনের হাফেজ হিসেবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের অধ্যয়নের পাশাপাশি কোরআনের সার্বজনীন শিক্ষা সবার পৌঁছে দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।
পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধানের প্রবর্তক হিসেবে নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর শিক্ষা মেডিকেল পড়াশোনায় চির প্রাসঙ্গিক উল্লেখ করে এ ধরনের আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন মেডিকেলে অধ্যয়নরত ৭৭ জন হাফেজে কোরআন সংবর্ধনা ও সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের নগদ অর্থ ও উপহার তুলে দেওয়া হয়।
হজের খরচ কমানোর জন্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর নতুন সভাপতি ও মহাসচিব ছিলেন।
হাবের কার্যনির্বাহী পরিষদ পুনর্গঠন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ তারা নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। হাব নেতারা জানান, উড়োজাহাজ ভাড়া কমানো হলে হজের খরচ কমে আসবে। হজের খরচ কমলে হজযাত্রীর সংখ্যাও বাড়বে। অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলমান ইচ্ছা থাকা সত্তেও বেশি খরচের জন্য হজে যেতে পারেন না। আমরা চাই হজের খরচ কমানো হোক। এ সময় তারা সিভিল এভিয়েশনের অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করে যৌক্তিক উড়োজাহাজ ভাড়া নির্ধারণের দাবি জানান।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) হাবের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুফতি জুনায়েদ গুলজারের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার হাব কার্যনির্বাহী পরিষদের দশম সভায় উপস্থিত সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে কার্যনির্বাহী পরিষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। কার্যনির্বাহী পরিষদ পুনর্গঠনে হাবের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ফারুক আহমদ সরদার। তিনি আগে মহাসচিব ছিলেন। ফরিদ আহমেদ মজুমদারকে মহাসচিব করা হয়েছে। আর ইসি সদস্য হয়েছেন মেজবাহ উদ্দিন সাঈদ।
হাব কার্যনির্বাহী পরিষদের ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচনে নির্বাচিত সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম অসুস্থতার কারণে গত ২২ আগস্ট পদত্যাগ করায় সভাপতির পদটি শূন্য হয়।
হজযাত্রীদের সেবায় নিয়োজিত সরকারের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এবং রাজকীয় সৌদি সরকারের অনুমোদিত হজ এজেন্সিগুলোর মালিকদের সংস্থা হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।
বর্তমানে হাবের সদস্য সংখ্যা এক হাজার ১১৭২ জন। এ প্রতিষ্ঠানটি একটি প্রথম শ্রেণির বাণিজ্যিক সংগঠন যা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে নিবন্ধিত। বাণিজ্য সংগঠনের টিও রুল অনুযায়ী পরিচালিত হাব শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই-এর অন্তর্ভুক্ত একটি অন্যতম প্রথম শ্রেণির অলাভজনক সেবামূলক সংস্থা, যা হজ ও উমরা যাত্রীদের কল্যাণে দেশে-বিদেশে সুনাম সুখ্যাতির সঙ্গে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনা কাজে নিয়োজিত।
নবনির্বাচিত সভাপতি ফারুক আহমদ সরদার ও মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার নতুন দায়িত্ব পেয়ে সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আল্লাহর মেহমানদের খেদমতের মাধ্যমে হয়রানিমুক্ত সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনা উপহার দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য। হজ ব্যবস্থাপনায় কোনো প্রকার অনিয়ম দুর্নীতির সুযোগ নাই। হাজিদের হয়রানি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।