যে ক্যালিগ্রাফারের নাম রয়েছে কাবার গিলাফে

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ক্যালিগ্রাফার আবদুর রহিম আমিন বোখারি ও কাবার গিলাফে অঙ্কিত তার নাম, ছবি: সংগৃহীত

ক্যালিগ্রাফার আবদুর রহিম আমিন বোখারি ও কাবার গিলাফে অঙ্কিত তার নাম, ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র কাবাঘরের গিলাফে সোনালি সুতায় অঙ্কিত ক্যালিগ্রাফি সব মুসলমানেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করে, মন কেড়ে নেয়। কাবাঘরের গিলাফের চার দিকে মূলত কোরআনের একটি সুরা, ১৯টি আয়াত, তিনটি জিকির ও একটি ঘোষণা লেখা রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে ক্যালিগ্রাফার আবদুর রহিম আমিন বোখারি নাম।

ঘোষণাটি হলো- এই গিলাফ পবিত্র মক্কায় তৈরি হয়েছে। কাবাঘরকে এটি উপহার দিয়েছেন মক্কা-মদিনার সেবক সালমান বিন আবদুল আজিজ আলে-সৌদ। আল্লাহ তার পক্ষ থেকে কবুল করে নিন।

বিজ্ঞাপন

কাবার গিলাফে উৎকীর্ণ কোরআন মাজিদের আয়াতগুলো ক্যালিগ্রাফিতে অঙ্কন করা হয়। এ জন্য আরবি সুলুস-শৈলীর ক্যালিগ্রাফি অনুসরণ করা হয়। যা কাবার গিলাফে প্রথম প্রয়োগ করেন ক্যালিগ্রাফার আবদুর রহিম আমিন বোখারি। তাই সম্মানার্থে তার নামও পবিত্র কাবার গিলাফে লেখা থাকে।

আবদুর রহিম আমিন বোখারি হলেন প্রথম ক্যালিগ্রাফারদের একজন, যিনি কাবার দরজা এবং গিলাফ অঙ্কনে একসঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি তার ক্যালিগ্রাফি দক্ষতা দিয়ে কাবার গিলাফ ও কাবার দরজা সাজিয়েছেন।

বিখ্যাত এই ক্যালিগ্রাফার ১৩৩৫ হিজরি মোতাবেক ১৯১৭ সালে মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি ক্যালিগ্রাফির প্রতি অনুরাগী ছিলেন।

আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবদুর রহিম আমিন বোখারি ১৫ বছর বয়সে কিসওয়া তৈরির কারখানায় যোগদান করেন এবং কাজের পারদর্শীতার জন্য প্রধান ডিজাইনার হিসেবে নিযুক্ত হন।

১৩৮২ হিজরি (১৯৬২) সালে, তিনি মক্কার উম্মুল জুদে অবস্থিত কিসওয়া তৈরির কারখানার তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে নিয়োগ পান।

১৩৬৩ হিজরি মোতাবেক ১৯৪৩ সালে সালে তিনি প্রথমবারের মতো পবিত্র কাবার দরজায় ক্যালিগ্রাফি করেন এবং এর নকশা প্রণয়নে অংশ নেন।

১৩৯৯ হিজরি মোতাবেক ১৯৭৮ সালে বাদশাহ খালিদ আলে সৌদের আদেশে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো ক্যালিগ্রাফি দিয়ে কাবার দরজা সজ্জিত করেন।

আবদুর রহিম আমিন ক্যালিগ্রাফিতে অত্যন্ত পারদর্শী ছিলেন। তিনি কাবার দরজায় অত্যন্ত পরিশীলিত ও সুন্দরভাবে তার শিল্প উপস্থাপন করেন। এ কারণে বাদশাহ ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ তার শাসনামলে কাবার গিলাফে ক্যালিগ্রাফার আবদুর রহিম আমিনের নাম লেখার নির্দেশ দেন, যা আজও চালু রয়েছে।