হালাল ফুড মার্কেট শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
হালাল প্রোডাক্ট রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে শীর্ষ দশটি দেশের ৮টিই অমুসলিম দেশ। অপরদিকে আমদানিকারক দেশ হিসেবে শীর্ষ থাকা ১০টি দেশের ৮ম বাংলাদেশ। আর ভোক্তাদের চাহিদা হিসেবে বাংলাদেশে হালাল কনজ্যুমারের চাহিদা বেশ তুঙ্গে। এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, হালাল কনজ্যুমারের দেশ হিসাবে শীর্ষ ৩ দেশের একটি বাংলাদেশ। বাংলাদেশে হালাল একটি বড় মার্কেট। সুতরাং আমাদের এমনভাবে বিজনেস কৌশল তৈরি করতে হবে, যেন আমরা অদূর ভবিষ্যতে হালাল রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে পরিণত হতে পারি। এজন্য দরকার হালাল সার্টিফিকেশন।
শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আইএফএ কনসালটেন্সির উদ্যোগে ‘হালাল ফুড মার্কেট: বৈশ্বিক বাজার এবং শরিয়াহ পর্যালোচনা’ শীর্ষক বিশেষ কর্মশালায় এসব কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর এবং বিএসটিআই হালাল ইন্সপেকশন টিমের সদস্য মো. আরিফুল ইসলাম।
দেশের আলোচিত শরিয়াহ কনসালটেন্সি ফার্ম আইএফএ কনসালটেন্সির অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই কর্মশালায় ছাত্র, ব্যবসায়ী ও আলেমসহ নানা পেশার মানুষজন উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় হালাল ফুড, হালাল ট্যুরিজম, হালাল লাইফস্টাইলসহ হালাল অর্থনীতির নানা সেক্টর নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মো. আরিফুল ইসলাম বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে হালাল ফুডের সার্টিফিকেশন মার্কেটের ব্যাপ্তি এবং প্রসার নিয়ে বিশদ তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে হালাল ফুডের মার্কেট ভলিয়ম হলো- ২৪৬৭ বিলিয়ন ডলারের অধিক। এর গ্রোথ রেট ৯%-এর অধিক।
কর্মশালায় অন্যতম আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইএফএ কনসালটেন্সির প্রতিষ্ঠাতা ডিরেক্টর মুফতি আব্দুল্লাহ মাসুম, সিএসএএ।
তিনি বলেন, আমরা হোটেল-রেস্টুরেন্টে যেসব গোশত খাই, সেগুলো হালাল সার্টিফিকেশনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত। শুধু তাই নয়, আমাদের দেশে রপ্তানিকৃত বহু খাদ্য এমন আছে, যাতে হারাম উপাদান নিহিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এর অন্যতম হলো- চকোলেট ও আইসক্রিম।
মুফতি আব্দুল্লাহ মাসুম এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার এবং অন্যকে সচেতন করার আহবান জানিয়ে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে হালাল গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এটাকে কার্যকর করার জন্য বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি। বাংলাদেশে হালাল মার্কেটকে এগিয়ে নিতে এবং মানুষকে সচেতন করতে আইএফএ কনসালটেন্সি নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে যাচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আমরা যেকোনোভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।