হাবে নতুন নেতৃত্ব, হজের খরচ কমানোর দাবি
হজের খরচ কমানোর জন্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর নতুন সভাপতি ও মহাসচিব ছিলেন।
হাবের কার্যনির্বাহী পরিষদ পুনর্গঠন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ তারা নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। হাব নেতারা জানান, উড়োজাহাজ ভাড়া কমানো হলে হজের খরচ কমে আসবে। হজের খরচ কমলে হজযাত্রীর সংখ্যাও বাড়বে। অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলমান ইচ্ছা থাকা সত্তেও বেশি খরচের জন্য হজে যেতে পারেন না। আমরা চাই হজের খরচ কমানো হোক। এ সময় তারা সিভিল এভিয়েশনের অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করে যৌক্তিক উড়োজাহাজ ভাড়া নির্ধারণের দাবি জানান।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) হাবের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুফতি জুনায়েদ গুলজারের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার হাব কার্যনির্বাহী পরিষদের দশম সভায় উপস্থিত সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে কার্যনির্বাহী পরিষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। কার্যনির্বাহী পরিষদ পুনর্গঠনে হাবের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ফারুক আহমদ সরদার। তিনি আগে মহাসচিব ছিলেন। ফরিদ আহমেদ মজুমদারকে মহাসচিব করা হয়েছে। আর ইসি সদস্য হয়েছেন মেজবাহ উদ্দিন সাঈদ।
হাব কার্যনির্বাহী পরিষদের ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচনে নির্বাচিত সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম অসুস্থতার কারণে গত ২২ আগস্ট পদত্যাগ করায় সভাপতির পদটি শূন্য হয়।
হজযাত্রীদের সেবায় নিয়োজিত সরকারের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এবং রাজকীয় সৌদি সরকারের অনুমোদিত হজ এজেন্সিগুলোর মালিকদের সংস্থা হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।
বর্তমানে হাবের সদস্য সংখ্যা এক হাজার ১১৭২ জন। এ প্রতিষ্ঠানটি একটি প্রথম শ্রেণির বাণিজ্যিক সংগঠন যা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে নিবন্ধিত। বাণিজ্য সংগঠনের টিও রুল অনুযায়ী পরিচালিত হাব শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই-এর অন্তর্ভুক্ত একটি অন্যতম প্রথম শ্রেণির অলাভজনক সেবামূলক সংস্থা, যা হজ ও উমরা যাত্রীদের কল্যাণে দেশে-বিদেশে সুনাম সুখ্যাতির সঙ্গে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনা কাজে নিয়োজিত।
নবনির্বাচিত সভাপতি ফারুক আহমদ সরদার ও মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার নতুন দায়িত্ব পেয়ে সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আল্লাহর মেহমানদের খেদমতের মাধ্যমে হয়রানিমুক্ত সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনা উপহার দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য। হজ ব্যবস্থাপনায় কোনো প্রকার অনিয়ম দুর্নীতির সুযোগ নাই। হাজিদের হয়রানি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।