গত ১৪ বছরে ১৪ লাখ ১৬ হাজার ২৩৪ বাংলাদেশির হজপালন

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র কাবা, ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র কাবা, ছবি: সংগৃহীত

গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ থেকে ১৪ লাখ ১৬ হাজার ২৩৪ বাংলাদেশি পবিত্র হজপালন করেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ হজ করেছেন ২০১৭ সালে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন।

অন্যদিকে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে কম হজযাত্রী সৌদি আরব গেছেন, সংখ্যা ৫৮ হাজার ৬২৮। এর পরের বছর হজযাত্রীর সংখ্যা ৩২ হাজার বেড়ে যায়, সেবার হজে যান ৯১ হাজার ৩৮৪ জন।

বিজ্ঞাপন

২০০৯ সাল থেকে চলতি বছর (২০২৪) পর্যন্ত বাংলাদেশের হজযাত্রীর কোটা ও হজে গমনকারী হজযাত্রীর সংখ্যা প্রকাশ করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তবে এরমধ্যে ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিদেশিদের জন্য হজ বন্ধ ছিল।

হজযাত্রীর সংখ্যা হিসেবে দেখা গেছে, বেসরকারি মাধ্যমে হজপালন করেছেন ১৩ লাখ ৪৪ হাজার ২৭০ জন। আর সরকারি মাধ্যমে হজপালনকারীর সংখ্যা ৬৯ হাজার ৬৮৯ জন।

২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে সর্বোচ্চ এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজপালন করেন। ওই বছর হজযাত্রীর কোটাও ছিল এটি। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ থেকে হজপালন করেন ৫৮ হাজার ৬২৮ জন, গত ১৫ বছরে এটি ছিল সবচেয়ে কম বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা। ২০০৯ সালে বাংলাদেশি হজযাত্রীর কোটা ছিল ৬৫ হাজার।

বিজ্ঞাপন

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০১০ সালে ৭৫ হাজার কোটার বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে হজ পালন করেন ৯১ হাজার ৩৮৪ জন। ২০১১ সালে এক লাখ ২০ হাজার কোটার বিপরীতে এক লাখ ৭ হাজার ৩৭২ জন বাংলাদেশি হজ করেন। ২০১২ সালে কোটা একই থাকলেও হজপালন করেন এক লাখ ১২ হাজার ৬৮০ জন।

২০১৩ সালে বাংলাদেশের কোটা বেড়ে হয় এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। ওই বছর বাংলাদেশ থেকে ৮৯ হাজার ১৯০ জন হজপালন করেন। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৪ সালে কোটা কিছুটা কমে হয় এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন। কিন্তু হজপালন করেন ৯৮ হাজার ৬৮৩ জন।

২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে হজপালন করেন এক লাখ ৬ হাজার ২৩৮ জন। ওই বছর বাংলাদেশের কোটা ছিল এক লাখ ৬ হাজার ৭৫৮ জন। ২০১৬ সালের হজে বাংলাদেশের কোটা ছিল এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন। ওই বছর হজযাত্রীর কোটা পূরণ হয়, অর্থাৎ এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জনই বাংলাদেশ থেকে হজ করেন।

২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজ করার সুযোগ ছিল। ওই বছর বাংলাদেশ থেকে কোটার চেয়ে ৪০৯ জন কম হজপালন করেন। ২০১৯ সালেও কোটা আগের বছরের মতো ছিল। ওই বছর এক লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ জন হজপালন করেন। কোটার চেয়ে হজযাত্রী কম ছিল ২৭৫ জন।

করোনার কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে বিদেশিদের জন্য হজ বন্ধ ছিল। করোনা মহামারির পর ২০২২ সালে সীমিত পরিসরের হজে বাংলাদেশের কোটা ছিল ৬০ হাজার জন। এর বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে ৫৯ হাজার ৯১৬ জন হজপালন করেন।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ২০২৩ সালের হজে বাংলাদেশের কোটা আগের মতো এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হয়। ওই বছর বাংলাদেশ থেকে হজপালন করেন এক লাখ ২৩ হাজার ২১৮ জন। কোটার চেয়ে ৩ হাজার ৯৮০ জন কম হজপালন করেন।

চলতি বছরও বাংলাদেশের হজের কোটা ছিল এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে এ বছর কোটার চেয়ে ৪১ হাজার ৯৪১ জন কম হজপালন করেন। এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে হজপালন করেন ৮৫ হাজার ২৫৭ জন।

গত ১৪ বছরে চলতি বছরের মতো কোটার চেয়ে এত কম হজযাত্রী আর হয়নি। আগামী বছরের হজেও বাংলাদেশের কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বহাল থাকছে বলে এরই মধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।