এথেন্সের প্রথম মসজিদ, নামাজ শুরু হবে এপ্রিলে

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নির্মাণাধীন এথেন্সের প্রথম মসজিদ, ছবি: সংগৃহীত

নির্মাণাধীন এথেন্সের প্রথম মসজিদ, ছবি: সংগৃহীত

এথেন্সের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। গ্রিসের ঐতিহ্যবাহী শহর এথেন্স পাশ্চাত্য সভ্যতা আর গণতন্ত্রের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে এই শহরে কোনো মসজিদ ছিলো না। সে হিসেবে বলা হয়, এথেন্স হচ্ছে ইউরোপের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ শহর যেখানে কোনো মসজিদ তৈরি করতে দেওয়া হয়নি। এথেন্সে কোনো মসজিদ না থাকার সমালোচনা করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

৫৫ লাখ জনসংখ্যার এথেন্সে অন্তত ৪ লাখ মুসলমানের বসবাস। তারা বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে নামাজ আদায় করতেন। দীর্ঘ এথেন্সে একটি মসজিদের দাবি তোলার পর ২০১১ সালের গ্রিসের পার্লামেন্ট শহরটিতে একটি মসজিদ তৈরির পরিকল্পনা অনুমোদন করে। ২০১৪ সালে মসজিদের জন্য জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর পর শুরু হয় নির্মাণ কাজ।

বিজ্ঞাপন

সেই উদ্যোগও নানা কারণে বিলম্বিত হচ্ছে। অবশেষে দীর্ঘ প্রতিক্ষা শেষে গ্রিকের রাজধানী এথেন্সে আগামী এপ্রিল মাসে নামাজের জন্য খুলে দেওযা হবে নির্মিত মসজিদটি। এথেন্সের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় অবস্থিত পুরোনো নৌবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে।

উদ্বোধনের জন্য এর আগে বেশ কয়েকবার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। অবশেষে গ্রিক কর্তৃপক্ষ মসজিদ উদ্বোধনের এ তারিখ ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

গ্রিকের ধর্ম মন্ত্রী জর্জ ক্যালান্টজিস স্থানীয় সংবাদপত্রের সঙ্গে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, মসজিদটি নামাজের জন্য খুলে দেওয়া হলেও প্রতিদিন এখানে নামাজ আদায় করা যাবে না। আপাতত শুক্রবারে জুমার নামাজ আদায় করতে পারবে। এ ছাড়া প্রতি রোববার ও বুধবার জামাতে নামাজ আদায়ের সুযোগ পাবেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যে নামাজের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে মসজিদটি।

মন্ত্রী আরও বলেন মুসলমান হিসেবে যাদের পরিচিতি রয়েছে অথবা মুসলিম হওয়ার বৈধ দলিল রয়েছে, শুধুমাত্র তারাই এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারবেন। মুসলমানরা এখানে ইংরেজি অথবা গ্রিক ভাষায় ওয়াজ মাহফিলের ব্যবস্থা করতে পারবে। যেন মানুষ সত্যিকারার্থে শান্তির শিক্ষা পায়।

গ্রিসের বিভিন্ন শহরে উসমানীয় আমলের বহু মসজিদ ছিল কিন্তু কালের পরিক্রমায় সেগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। মুসলিমদের ধর্মকর্ম পালনে এথেন্সে একাধিক মসজিদ দরকার। এমনিতে গ্রিসের অন্য এলাকায় সাড়ে ৩শ’ মতো নামাজের জায়গা রয়েছে।