এ বছর সরকারি অর্থে কেউ হজে যাবে না: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
হজের খরচ কমানোর চেষ্টা চলছে, এ বছর সরকারি অর্থে কেউ হজে যাবে না বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।
- আশানুরূপ সাড়া নেই হজ নিবন্ধনে
- ৩০ অক্টোবর হজ প্যাকেজ ঘোষণা, কমছে খরচ
- হাজিদের সঙ্গে হজ এজেন্সির প্রতারণার নানা রূপ
- অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে হজ প্যাকেজ ৪ লাখ টাকা করার দাবি
- হজ প্যাকেজ ঘোষণা এ মাসেই
- হজ গাইড নিয়োগ দিচ্ছে ধর্ম মন্ত্রণালয়
- জাহাজপথে হজযাত্রা: কমবে খরচ, আছে চ্যালেঞ্জও
- হজ ও উমরায় আলেম গাইড কেন দরকার
- হজের প্রস্তুতিতে এজেন্সি ও প্যাকেজ নির্বাচন কেন জরুরি
- হজের টাকা ফেরতের আশ্বাসের বিষয়ে সতর্ক করল মন্ত্রণালয়
সরকারি খরচে হজপালন নিয়ে প্রচুর সমালোচনা থাকলেও অনেকেই এ জন্য রীতিমতো তদবরি পর্যন্ত করেন।
প্রতিবছর সরকারি অর্থে অবসরপ্রাপ্ত সচিব থেকে শুরু করে বিচারপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেই হজে যান।
চলতি বছর (২০২৪) ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭১ জনকে হজ পালনের জন্য সৌদি আরব পাঠায় আওয়ামী লীগ সরকার। এর আগের বছর সরকারি খরচে হজে যান ২৩ জন।
এর আগে ২০২৩ সালের ২২ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান জানিয়েছিলেন, সরকারি খরচে ২০২২ সালে ২৫৪ জনকে হজে পাঠানো হয়েছে।
সংসদে তিনি আরও জানান, ২০১৪ সাল থেকে সরকার নির্দিষ্টসংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে সরকারি খরচে হজপালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে পাঠানোর কার্যক্রম চালু করে। এর মধ্যে ২০২০ ও ২০২১ সালে মহামারি করোনার কারণে কাউকে হজে পাঠানো হয়নি। এই দুই বছর ছাড়া গত সাত বছরে ১ হাজার ৯১৮ জনকে সরকারি খরচে হজে পাঠানো হয়েছে।
এর মধ্যে ২০১৪ সালে ১২৫ জন, ২০১৫ সালে ২৬৮ জন, ২০১৬ সালে ২৮৩, ২০১৭ সালে ৩৩৪, ২০১৮ সালে ৩৪০ জন, ২০১৯ সালে ৩১৪ এবং ২০২২ সালে ২৫৪ জনকে সরকারি খরচে হজে পাঠানো হয়।