কিরগিজস্তানে মসজিদে নববির ইমাম পেলেন সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

শায়খ সালাহ আল বুদাইর ও আবদুশ শাকুর বিন ইসলাম নারমাতোভ, ছবি: সংগৃহীত

শায়খ সালাহ আল বুদাইর ও আবদুশ শাকুর বিন ইসলাম নারমাতোভ, ছবি: সংগৃহীত

ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব কিরগিজস্তান ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি তার ক্রমাগত সেবার স্বীকৃতিস্বরূপ মদিনার মসজিদে নববির ইমাম শায়খ ড. সালাহ বিন মুহাম্মাদ আল বুদাইরকে সম্মানসূচক ডক্টরেট প্রদান ডিগ্রি প্রদান করেছে।

মসজিদের নববির খতিবকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা ও সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদান অনুষ্ঠানে কিরগিজ প্রজাতন্ত্রে সৌদি রাষ্ট্রদূত ইবরাহিম বিন রাদি আল রাদি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি এবং কাউন্সিল অফ স্কলারস সদস্য আবদুশ শাকুর বিন ইসলাম নারমাতোভসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর নারমাতোভ সৌদি বাদশাহ সালমান এবং ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ইসলাম, মুসলিম ও দুই পবিত্র মসজিদ এবং অন্যান্য পবিত্র স্থানের প্রতি তাদের সেবার জন্য।

মসজিদে নববির খতিব সম্মান প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে দেওয়া বক্তৃতায় ইসলামি বৃত্তি ও শিক্ষায় আন্তরিকতা, সততা ও ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বর্তমানে কিরগিজস্তান সফরে রয়েছে মায়খ সালাহ আল বুদাইর। সফরে তিনি দেশটির বিখ্যাত আল সুরাহি মসজিদে জুমার নামাজে ইমামতি করেন। মসজিদে নববির ইমামের পেছনে নামাজে অংশ নিতে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হন।

সফরে কিরগিজস্তানের গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আবদুল আজিজ জাকিরভের সঙ্গে রাজধানী বিশকেকের ধর্ম বিষয়ক সদর দফতরে সাক্ষাত করেন। এ সময় গ্র্যান্ড মুফতি বিশ্বব্যাপী ইসলাম ও মুসলমানদের সেবার পাশাপাশি হজ এবং উমরা যাত্রীদের জন্য নানাবিধ সুবিধা নিশ্চিতের জন্য সৌদি নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক বাড়ানোর পাশাপাশি তাদের সেবাগুলো তুলে ধরার জন্য মক্কা-মদিনার ইমামরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সফর করছেন।

মধ্য এশিয়ার মুসলিম প্রধান দেশ কিরগিজস্তান। ঊনিশ শতকের শেষের দিকে দেশটি রুশ সাম্রাজ্যের অন্তর্গত হয়। ১৯২৪ সালে এটি সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা পায়। ১৯৩৬ সালে এটিকে একটি সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের মর্যাদা দেওয়া হয়। কিরগিজস্তান তখন কিরগিজিয়া নামে পরিচিত ছিল। ১৯৯১ সালে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে।

৭৭ হাজার ১৮২ বর্গমাইলের দেশটিতে জনসংখ্যা প্রায় ৭০ লাখের কাছাকাছি। কিরগিজস্তানের প্রধান ধর্ম ইসলাম।