রাষ্ট্রীয়ভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মুন্সিগঞ্জে খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের জাতীয় মহাসম্মেলন, ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জে খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের জাতীয় মহাসম্মেলন, ছবি: সংগৃহীত

অনতিবিলম্বে রাষ্ট্রীয়ভাবে কাদিয়ানিদের মুসলিম ঘোষণা করতে হবে। ইসলামের আকিদা ও বিশ্বাসের অপরিহার্য অনেকগুলো বিষয় তারা অস্বীকার করে। বরং তারা তাদের মনগড়া মতবাদকে ইসলাম বলে চালিয়ে দেওয়ার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাই ওআইসি এবং রাবেতা আলমে ইসলামিসহ বিশ্বের বৃহৎ মুসলিম সংস্থা ও একাধিক মুসলিম দেশে কাদিয়ানিরা রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম। গণতান্ত্রিক দেশে নাগরিক অধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় প্রতিটি নাগরিকের ধর্মীয় পরিচয় সুস্পষ্ট থাকা অপরিহার্য। তা না হলে সংখ্যালঘু কাদিয়ানিরা যেমন তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, উপরন্তু সংখ্যাগুরু মুসলিমরাও তাদের ধর্মের সুরক্ষা পাচ্ছে না। ফলে মাঝে-মধ্যেই অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, যা কখনই কাম্য নয়।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের কুচিয়ামোড়া কলেজ ময়দানে আহমাদিয়া মুসলিম জামাত তথা কাদিয়ানি সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে আয়োজিত খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের জাতীয় মহাসম্মেলন সংগঠনের আমির আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক মাওলানা খলিল আহমদ কাসেমী আল কুরাইশী।

জাতীয় মহাসম্মেলন থেকে বক্তারা কাদিয়ানিদের প্রকাশনাসহ তাদের সব ধরনের অপতৎপরতা অবিলম্বে নিষিদ্ধের দাবি জানান।

বিজ্ঞাপন

সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- হাটহাজারী মাদরাসার মুফতি জসিম উদ্দিন, বেফাক মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, নারায়ণগঞ্জের মাওলানা আব্দুল আউয়াল, হেফাজতের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, ফুরফুরা দরবারের পীর মাওলানা আবু বকর মুহাম্মাদ আব্দুল হাই মেশকাত সিদ্দিকী শরীফ, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কেন্দ্রীয় নেতা মীর শারাফাত আলী সপু, মাওলানা রশিদ আহমদ মেরাজনগর, মুফতি জাফর আহমদ পীর সাহেব ঢালকানগর, মুফতি নূর হোসেন নূরানী, মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজী, মুফতি মোহাম্মদ ইমাদ উদ্দিন, মুফতি আব্দুল বসির সুনামগঞ্জ, মাওলানা নাজমুল হাসান উত্তরা, মুফতি মুহিউদ্দিন মাসুম, মাওলানা মুফতি সাঈদ নুর, মুফতি মোহাম্মদ আলী, মাওলানা হারুন ইজহার, মাওলানা জামিল আহমদ আনসারী মৌলভীবাজার।

মুফতি বশির আহমদ, মাওলানা আবু আম্বার আব্দুল্লাহ, মাওলানা রেজাউল করিম আবরার, মাওলানা মহিউদ্দিন আল হোসাইনী, মুফতি আব্দুল মজিদ, মাওলানা উবায়দুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা আবুল কাশেম আশরাফী, মাওলানা নেয়ামত উল্লাহ, মাওলানা আব্দুল লতিফ ফারুকী, মাওলানা আহমাদুল্লাহ খান পীর সাহেব পয়সা, মাওলানা আলী আহমদ চৌধুরী পীর সাহেব চন্ডিবর্দী, মুফতি কামরুজ্জামান খাবাসপুর ফরিদপুর, মাওলানা আমজাদ হোসেন ফরিদপুর, মাওলানা আতাউল্লাহ বুখারী পীর সাহেব পাঙ্গাশিয়া, মাওলানা এমদাদুল ইসলাম গেন্ডারিয়া, মুফতি ফয়জুল্লাহ আশরাফী, হাফেজ মাওলানা আলী আকবর কাসেমী, মুফতি মুফতি মাহবুবুর রহমান নবাবগঞ্জী, মাওলানা আমিনুল ইসলাম কাসেমী, মুফতি নাজমুল হাসান বিন নূরী, মুফতি আব্দুল্লাহ ফিরোজী।

মাওলানা হাবিবুল্লাহ আরমানী, মাওলানা ইউনুস কাসেমী, মুফতি আবুল হাসান পাথরঘাটা, মাওলানা হুসাইন আহমদ ইসহাকী, মাওলানা লেহাজ উদ্দিন গাজীপুর, মুফতি জয়নাল আবেদীন, কামরুজ্জামান, মাওলানা শিব্বির আহমদ, মাওলানা মাহমুদুল আলম, মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা আব্দুস সালাম দোহার, মুফতি আবু শাহাদাত খান, মুফতি মাহবুবুর রহমান জিয়া, হাফেজ মাওলানা আহমাদুল্লাহ, মাওলানা আবু ইউসুফ, মুফতি আবদুল গাফফার, মাওলানা আবুল হাসানাত ফরিদী, মুফতি কামাল উদ্দিন কাসেমী দোহার, মুফতি মেরাজ হুসাইন, মাওলানা বিন ইয়ামিন সাদী, মুফতি ওবায়দুর রহমান হুজাইফী, মুফতি মুনিরুজ্জামান রাহমানী, মাওলানা মিজান আল মিহাদ দোহার ও মুফতি মারজানুল বারী সিরাজী প্রমুখ।

সম্মেলন থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাত ও স্মারকলিপি প্রদান, খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের জেলাভিত্তিক কমিটি গঠন এবং জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সম্মেলন আয়োজন এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী বছর রাজধানীতে মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।