রাশিয়ার ভ্লাদিমিতে হিজাব নিষেধাজ্ঞার নিন্দায় চেচেন গ্র্যান্ড মুফতি

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চেচেন প্রজাতন্ত্রের গ্র্যান্ড মুফতি সালাহ মাগিভ, ছবি: সংগৃহীত

চেচেন প্রজাতন্ত্রের গ্র্যান্ড মুফতি সালাহ মাগিভ, ছবি: সংগৃহীত

চেচেন প্রজাতন্ত্রের গ্র্যান্ড মুফতি সালাহ মাগিভ রাশিয়ান কিছু স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধের নিন্দা জানিয়ে এমন সিদ্ধান্তকে অবৈধ বলে অভিহিত করেছেন। গ্র্যান্ড মুফতি বলেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞা ব্যক্তি এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘন করে।’

সম্প্রতি রাশিয়ার ভ্লাদিমির অঞ্চলের শিক্ষা কর্তৃপক্ষ পাবলিক স্কুলে হিজাব ও নেকাবসহ ধর্মীয় পোশাক নিষিদ্ধ করার আদেশ জারি করেছে।

বিজ্ঞাপন

এমন আদেশের প্রেক্ষিতে মুফতি সালাহ মাগিভ বলেছেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞা বিশেষভাবে এবং শুধুমাত্র ইসলামিক পর্দাকে লক্ষ্য করায় আমরা হতবাক। আমরা আশা করি, এটি মুসলমানদের বিরুদ্ধে সমন্বিত পদক্ষেপের ফলাফল নয়।’

চেচেন গ্র্যান্ড মুফতি চেচেন নেতা রমজান কাদিরভের উপদেষ্টা ও বেশ প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি রাশিয়ার ভ্লাদিমির অঞ্চলের স্থানীয় শিক্ষা কর্তৃপক্ষ স্কুলগুলোতে নতুন ড্রেস কোড ব্যবস্থার অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের হিজাব ও নিকাবসহ ধর্মীয় পোশাক পরা নিষিদ্ধ করেছে।

২৮ অক্টোবর প্রকাশিত এক নথিতে আঞ্চলিক শিক্ষা ও যুব নীতি মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে।

বিধিমালায় বলা হয়, শিক্ষার্থীর ধর্মীয় অনুষঙ্গ প্রদর্শনকারী পোশাক এবং এর উপাদানগুলো (হিজাব, নিকাব ইত্যাদিসহ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুমোদিত নয়। রাশিয়ার সংবিধানের পাশাপাশি ধর্মীয় সংগঠন ও শিক্ষা সম্পর্কিত ফেডারেল আইন অনুসারে এই বিধিমালা করা হয়েছে এবং সুনির্দিষ্টভাবে মুসলিম পোশাককে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি।

রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির খবরে বলা হয়েছে, ইসলাম ধর্মে নারীদের পরিধান করা হিজাব হলো- এক ধরণের স্কার্ফ, যা মাথা ও ঘাড় ঢেকে রাখে। অন্যদিকে নিকাব একটি পর্দা, যা সম্পূর্ণরূপে মুখ ঢেকে রাখে।

ভ্লাদিমির অঞ্চলটি মস্কো থেকে ২০০ কিলোমিটার পূর্বে এবং মূলত জাতিগতভাবে রাশিয়ানরাই জনবহুল। সেখানে ১ শতাংশেরও কম বাসিন্দা মুসলমান।

আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি রাশিয়ার আরও কয়েকটি অঞ্চল নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে মুসলমানদের ঐতিহ্যবাহী মুখ ও মাথা ঢেকে রাখার পোশাক নিষিদ্ধ করেছে। এই গ্রীষ্মে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রজাতন্ত্র কারাচায়েভো-চেরকেসিয়া এবং দাগেস্তানে নিকাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়। খ্রিস্টান ও ইহুদি সাইটগুলোকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসী হামলায় ২০ জন নিহত হওয়ার পর এটি করা হয়েছিল।

তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, মুখ ঢাকার কারণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো নির্দিষ্ট কিছু কাজ সম্পাদনে বাধার মুখে পড়েন। আমি বিশ্বাস করি, যখন এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থ কিছু প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে, তখন প্রত্যেকেরই এটিকে পূর্ণ সম্মানের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত।

এর আগে আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ ২০১৩ সালে রাশিয়ার স্ট্যাভ্রোপল অঞ্চলে এবং ২০১৫ সালে মর্দোভিয়া প্রজাতন্ত্রের স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধ করেছিল, রাশিয়ার সুপ্রিম কোর্ট উভয় সিদ্ধান্তই বহাল রেখেছিল।