হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ল ১৫ দিন
নির্ধারিত সময়ে কাঙ্খিত হজযাত্রী নিবন্ধন না করায় নিবন্ধনের সময় ১৫ দিন বাড়ানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৫ সনের হজ গমনেচ্ছু ব্যক্তি, হজ এজেন্সি, হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের হজযাত্রীদের নিবন্ধনের সময় আগামী ১৫ ডিসেম্বর বাড়ানো হলো।
এ সময়ের মধ্যে তিন লাখ টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন করা যাবে এবং একইসঙ্গে হজ প্যাকেজের সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করে চূড়ান্ত নিবন্ধন করার জন্য করা যাবে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এর পর আর সময় বাড়ানো হবে না।
২০২৫ সালের হজের জন্য গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় প্রাথমিক নিবন্ধন। নিবন্ধনের শেষ সময় ছিল ৩০ নভেম্বর। কিন্তু কাঙ্খিত সাড়া না মেলায় এক দফা সময় বাড়ানো হলো।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালে দেওয়া তথ্যমতে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত মাত্র ৪০ হাজারের মতো হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার বাংলাদেশ থেকে একলাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে ১০ হাজার ১৯৮ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং বাকি একলাখ ১৭ হাজার হজযাত্রী যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে।
২০২৪ সালের হজে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের বিপরীতে হজে গিয়েছিলেন ৮৫ হাজার ২৫৭ জন। ৪১ হাজার ৯৪১ জনের কোটা ফাঁকা ছিল।
হজ নিবন্ধনে সাড়া না মেলার কারণ সম্পর্কে বেশ কয়েকজন হজ এজেন্সির মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হজের প্রাথমিক নিবন্ধনের জন্য যে টাকাটা এবার ধরা হয়েছে, সেটা অনেক বেশি। অন্য বছর শুরুতে শুরু ফ্লাইটের ভাড়ার টাকাটা দিয়েই প্রাথমিক নিবন্ধন করা যেত। এবার এটা তিন লাখ টাকা ধার্য করার জন্য একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে।
হজ এজেন্সি মালিকদের আশঙ্কা, হজের চূড়ান্ত নিবন্ধনের জন্য নতুন কৌশল বের না করলে; এবার হজযাত্রী ৫০ হাজারের বেশি হবে না। তার বলছেন, মানুষ মনে করে নিয়েছে যে- হজ অসাধ্য বিষয়, এটা সামর্থ্যের বাইরে চলে গেছে। তবে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা প্রয়োজন। মানুষ এখন উমরা করে চলে আসে। উমরা করলে যে তার ফরজ আদায় হচ্ছে না, সেটা প্রচার-প্রচারণার বিষয় আছে।
হজযাত্রী নিবন্ধনের প্রচার-প্রসারে এবার তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। কারণ বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলোর সংগঠন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এ বর্তমানে কোনো কমিটি নেই। সেখানে প্রশাসক বসানো হয়েছে। এজেন্সি মালিকরা দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে চলছেন। নিজেদের মতো করে প্যানেল গুছানোর লক্ষে কাজ করছেন, ফলে প্রচার-প্রচারণার কাজে কেউ দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসছেন না। এমনকি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে নানা বিষয়ে দেন-দরবার ও সমন্বয়ের ক্ষেত্রেও দেখা দিয়েছে ঘাটতি।