আসছে হজে সব যাত্রীর সৌদি ইমিগ্রেশন বাংলাদেশেই

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

২০২০ সালের হজে মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ (Makkah Route Initiative)-এর আওতায় বাংলাদেশের সব হজযাত্রীর প্রি-ডিপারচার ইমিগ্রেশন (আগাম সৌদি ইমিগ্রেশন) ঢাকার আশকোনা হজ ক্যাম্পে সম্পন্ন করা হবে। এ লক্ষে আশকোনা হজ ক্যাম্পের প্রয়োজনীয় সম্প্রসারণ ও সংস্কার কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ এডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ।

রোববার (২৭ অক্টোবর) হজ ক্যাম্প সম্প্রসারণ ও সংস্কার কার্যক্রম সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্বকালে সংশ্লিষ্টদের প্রতি এই নির্দেশ প্রদান করেন।

বিজ্ঞাপন

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৯ সালে যেখানে বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল ৫৮ হাজার ৬২৮ জন, ২০১৯ সালে হজযাত্রীর সংখ্যা ১ লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ জনে বৃদ্ধি পায়। ২০১৯ সালে রাজকীয় সৌদি সরকারের মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ কর্মসূচির অধীনে প্রায় অর্ধেক হজযাত্রী সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন জেদ্দার পরিবর্তে ঢাকায় সম্পন্ন করেছেন। ২০২০ সালে সব হজযাত্রীকে এ কর্মসূচির অধীনে আনা হবে- ইনশাআল্লাহ ।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ভবিষ্যতে হজযাত্রীর সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাবে একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত কার্যক্রমও বৃদ্ধি পাবে। তাই এখন থেকে হজ ক্যাম্প সম্প্রসারণ ও সংস্কার সংক্রান্ত কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন। ২০১৯ সালে মোট ৩৬৬টি হজ ফ্লাইট পরিচালিত হয়। সৌদি এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে পরিচালিত হজযাত্রীদের মধ্যে যারা মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ কর্মসূচির অধীনে হজে গমন করেছেন তাদেরকে লাগেজ ট্যাগ গ্রহণ ও ইমগ্রেশন নিয়ে বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তাই ২০২০ সালের সব হজযাত্রীদের বাংলাদেশ অংশের ইমিগ্রেশন হজ ক্যাম্পে করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সভায় ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমান, হজ অফিস, ঢাকা, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ, পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদফতর, গণপূর্ত অধিদফতর,বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, হজ এজেন্সিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য ২০১৭ সাল থেকে মালয়েশিয়া এবং ২০১৮ সাল থেকে ইন্দোনেশিয়ার হজযাত্রীরা আগাম ইমিগ্রেশনের সুবিধা পাচ্ছেন। ২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশ তৃতীয় দেশ হিসেবে এ সুবিধা পাচ্ছেন।

হজ মৌসুম শুরুর পর বিশ্বের বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে প্রায় ২৪-২৫ লাখ মানুষ বিমানে সৌদি আরব গমন করেন। এ সময় বিমানবন্দরে একের পর এক বিমান আসতে থাকে। ফলে ইমিগ্রেশনে জট লেগে যায়। অনেক সময় হজযাত্রীদের ২ ঘণ্টা থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত ইমিগ্রেশনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এমতাবস্থায় সৌদি অংশের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে হওয়ায় হজযাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না।

সৌদি আরবের পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তারা ঢাকায় ডিপারচার ইমিগ্রেশনের সময় সৌদি প্রবেশের ইমিগ্রেশনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পাসপোর্ট ও কাগজপত্রে সিল দিয়ে দেবেন। হজযাত্রীরা বিমান থেকে নেমে সরাসরি হজ টার্মিনালে চলে যাবেন। টার্মিনাল থেকে মোয়াল্লিমের গাড়িতে মক্কায় নিয়ে যাওয়া হবে হজযাত্রীদের।