‘বাসাটা তো মৃত্যুকূপ বানিয়ে রেখেছেন’

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বাসাটা তো মৃত্যুকূপ বানিয়ে রেখেছেন

বাসাটা তো মৃত্যুকূপ বানিয়ে রেখেছেন

বাসাটা তো মৃত্যুকূপ বানিয়ে রেখেছেন, জাস্ট মৃত্যুকূপ। আপনাদের ছেলে-মেয়ের সাথেও এমনটা ঘটতে পারতো। রিপিটেডলি ঘটনা, এর দায় এড়াতে পারেন না। ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদকের জামিন শুনানিতে এমন মন্তব্য করেছেন আদালত।

গৃহকর্মীর ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু’র মামলায় বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ৩টার দিকে ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারকে ঢাকার সিএমএম আদালতে আনা হয়।

বিজ্ঞাপন

আসামিদের ৫ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ উপপরিদর্শক নাজমুল হাসান। অপরদিকে আসামিদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন বাতিল ও জামিনের আবেদন করেন তাদের আইনজীবী চৈতন্য চন্দ্র হালদার ও আশরাফুল আলম।

রিমান্ড শুনানিতে আদালতে উপস্থিত ছিলেন, তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ উপপরিদর্শক নাজমুল হাসান। তিনি আদালতকে বলেন, আসামিদের বাসায় ৯ম তলার ফ্ল্যাট থেকে পড়ে গৃহকর্মীর মৃত্যু হয়। গত বছরের ৪ আগস্ট একই বাসা থেকে আসামিদের সে সময়ের গৃহকর্মী ৭ বছরের ফেরদৌসি একইভাবে এ জানালা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিন রিমান্ডের প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী চৈতন্য চন্দ্র হালদার ও আশরাফুল আলম। তারা বলেন, গতকাল ঘটনার পর থেকে আসামিদের কোর্টে আনার আগে পর্যন্ত পুলিশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। নতুন করে জিজ্ঞাসাবাদ করার আর কিছু নাই। মামলার ধারাটি জামিনযোগ্য। গৃহকর্মী কাজ করার সময় বাসা থেকে পড়ে মারা গেছেন। এখানে আমাদের কোন দোষ ছিল না।

এ সময় বিচারক বলেন, বাসাটা তো মৃত্যকূপ বানিয়ে রেখেছেন, জাস্ট মৃত্যুকূপ। আপনাদের ছেলে-মেয়ের সাথেও এমনটা ঘটতে পারতো। রিপিটেডলি ঘটনা, এর দায় এড়াতে পারেন না।

এরপর বিচারক তাদের রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নাকচ করে ৩ দিনের মধ্যে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।

গৃহকর্মীর মৃত্যুর মামলায় নিহতের বাবা লুকেশ উড়াং ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। দণ্ডবিধির ৩০৪ক ধারায় এ মামলা দায়ের করা হয়।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবাসিক ভবনের নবম তলা থেকে পড়ে এক কিশোরী গৃহকর্মীর মৃত্যু হয়। প্রীতি উরাং নামের ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী ওই ভবনের বাসিন্দা ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় কাজ করতেন। তার বাড়ি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মিত্তিঙ্গা গ্রামে, বাবার নাম লোকেশ উরাং।