স্কুলছাত্র আদনান হত্যার প্রতিবেদন ৮ মার্চ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর উত্তরায় দুই গ্রুপের অন্তর্কোন্দলের জেরে খুন হওয়া কিশোর আদনান কবির হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৮ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু পুলিশ কোন প্রতিবেদন দাখিল না করায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ দিদার হোসেন নতুন করে এ দিন ধার্য করেন।

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নাইনস্টার গ্রুপ ও ডিসকো বয়েজ গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরে গত বছরের ৬ জানুয়ারি উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টর, ১৭ নম্বর রোডের ১৫ নম্বর বাড়ির সামনে কুপিয়ে খুন করা হয় কিশোর আদনানকে।

এ ঘটনায় নিহতের পিতা কবির হোসেন উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

   

গ্যাস সরবরাহে প্রতারণা, লিন্ডের এমডিসহ ৬ জনের বিচার শুরু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জীবনরক্ষাকারী অক্সিজেন ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্যাস সরবরাহ নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে জার্মান কোম্পানি লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুজিত পাইসহ ৬ জনের অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এ অভিযোগ গঠনের ফলে তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

বুধবার (২৬ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি হয়। এ সময় আসামিদের মামলায় দায় হতে অব্যাহতির আবেদন করা হয়। বাদীপক্ষে অভিযোগ গঠনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরা হয়।

শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের অব্যাহতির আবেদন না মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। আগামী ১৭ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আদালতে পেশকার মাসুদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অপর অভিযুক্তরা হলেন, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের উপদেষ্টা এরফান সিহাবুল মতিন, সহযোগী পরিচালক চৌধুরী নুরুর রহমান, আনিছুজ্জামান, ফাতেমা জাহাঙ্গীর ও মো. ইমাম হোসেন খান। আসামিদের মধ্যে সুজিত পাই পলাতক আছেন। অপর ৫ আসামি জামিনে রয়েছেন।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড যা আগে বাংলাদেশ অক্সিজেন কোম্পানি (বিওসি) নামে পরিচিত ছিল, কানেক্ট ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডকে দিয়ে ডিস্ট্রিবিউশন চুক্তির বাইরেও ভেন্ডর হিসাবে নিয়োগ দিয়ে সারা দেশ থেকে লিন্ডের টেস্ট ডিউ খালি সিলিন্ডার লিন্ডের ফ্যাক্টরিতে পরিবহনের কাজের জন্য পারচেজ অর্ডার দেয়। সেই হিসাবে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত কানেক্ট ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড এই কাজ করে আসছিল এবং নিয়মিত কাজের বিনিময়ে বিল সাবমিট করলেও কোনো বিল পরিশোধ করেনি।

সর্বশেষ ৪ হাজার ৯৮২টি সিলিন্ডার পরিবহন করে কানেক্ট ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড। যার পরিবহন ভাড়া বাবদ ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ৭৫৬ টাকা না দিয়ে কোম্পানিটি বাদীর সাথে প্রতারণা করে।

এমন অভিযোগে কানেক্ট ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের পক্ষে খোন্দকার এরশাদ জাহান বাদী হয়ে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

;

ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের জামিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার আলোচিত ধর্ষণ মামলায় জামিন পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক নেতা মামুনুল হক।

২৫ জুন আদালতে মামলার শুনানিতে হাজির না থাকায় নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল মামুনুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করলে আদালত এক হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।

মামুনুল হকের আইনজীবী একেএম ওমর ফারুক নয়ন জানান, ২৫ জুন মামলার শুনানিতে হাজির ছিলেন না মামুনুল হক। তিনি অসুস্থ ছিলেন। ডাক্তার তাকে ৭ দিনের ‘বেড রেস্টে’ থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু বিচারক তা আমলে না নিয়ে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। বুধবার তিনি আত্মসমর্পন করলে বিচারক এক হাজার টাকা মুচলেকায় ফের তার জামিন মঞ্জুর করেন।

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজতে ইসলাম নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।

খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক।

এ ঘটনার ১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদরাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।

এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। সব মামলায় জামিন হলে গত ৩ মে জামিনে কারামুক্ত হন মাওলানা মামুনুল হক।

;

কুমিল্লায় সমাজকর্মী হত্যা মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
হত্যা মামলার আসামিরা/ছবি: বার্তা২৪.কম

হত্যা মামলার আসামিরা/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় সমাজকর্মী নুরুল হক হত্যা মামলায় ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। এসময় দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এপিপি মোহাম্মদ জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আইনজীবী মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, নুরুল হক হত্যা মামলার এজাহারে মোট ২২ জন আসামি ছিল। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। রায় প্রদানের সময় আদালতের এজলাসে ১১ জন আসামি উপস্থিত ছিলেন। অপর ৭ আসামি পলাতক রয়েছে।

তিনি আরও জানান, মামলা বিচার চলাকালীন সময়ে ২ আসামি মৃত্যুবরণ করেন এবং ২ জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন বিচারক।

মামলার বাদী নুরুল হকের ছেলে শরিফুল ইসলাম জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সালিশের রায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মামলার ১ নম্বর আসামি মো. মাসুমসহ অন্যান্য আসামিরা মিলে ২০১১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে আমার বাবা নুরুল হককে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এবং পিটিয়ে হত্যা করে। বিজ্ঞ বিচারক আজকে এই মামলার রায় প্রদান করেছেন। আমি রায়ে সন্তুষ্ট।

;

চট্টগ্রামে ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসের মামলার রায় ১০ জুলাই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ধস। ছবি: সংগৃহীত

নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ধস। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের তিনটি গার্ডার ধসে ১৩ জন নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১০ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত এ আদেশ দিয়েছেন বলে বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ জানিয়েছেন।

মামলায় অভিযুক্ত আট আসামি জামিনে রয়েছেন। তারা হলেন- মীর আক্তার অ্যান্ড পারিশা ট্রেড সিস্টেমস (জেভি) বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. গিয়াস উদ্দীন, সুপারভিশন ইঞ্জিনিয়ার মো. মনজুরুল ইসলাম, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হাই, মো. মোশরাফ হোসেন রিয়াজ, ডাইরেক্টর (অ্যাডমিন) প্রকৌশলী মো. শাহজাহান আলী, আব্দুল জলিল, আমিনুর রহমান ও রফিকুল ইসলাম।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, কর্তব্যে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ভেঙে প্রাণহানির ঘটনায় প্রকল্প পরিচালক চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ২৬ নভেম্বর চান্দগাঁও থানার তৎকালীন উপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর আদালতে ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৮ জুন তৎকালীন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এসএম মজিবুর রহমানের আদালত ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ বলেন, বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ভেঙে ১৩ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মোট ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষে ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। আসামি পক্ষে সাফাই সাক্ষী দিয়েছেন ৭ জন। আজ (মঙ্গলবার) দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। এরপর আদালত রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১০ জুলাই দিন ঠিক করেন।

;