ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের জামিন

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার আলোচিত ধর্ষণ মামলায় জামিন পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক নেতা মামুনুল হক।

২৫ জুন আদালতে মামলার শুনানিতে হাজির না থাকায় নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল মামুনুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করলে আদালত এক হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।

মামুনুল হকের আইনজীবী একেএম ওমর ফারুক নয়ন জানান, ২৫ জুন মামলার শুনানিতে হাজির ছিলেন না মামুনুল হক। তিনি অসুস্থ ছিলেন। ডাক্তার তাকে ৭ দিনের ‘বেড রেস্টে’ থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু বিচারক তা আমলে না নিয়ে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। বুধবার তিনি আত্মসমর্পন করলে বিচারক এক হাজার টাকা মুচলেকায় ফের তার জামিন মঞ্জুর করেন।

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজতে ইসলাম নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।

খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক।

এ ঘটনার ১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদরাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।

এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। সব মামলায় জামিন হলে গত ৩ মে জামিনে কারামুক্ত হন মাওলানা মামুনুল হক।