চট্টগ্রামে ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হামলা, গুলি ছোড়া ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ এনে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও সদ্য অপসারিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীসহ ২৬৯ বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ারের আদালতে মামলার আবেদন করেন নগরীর চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকার এক বাসিন্দা মো. ফরহাদ নামে এক যুবক।
আদালত অভিযোগটি তদন্তপূর্বক থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য অভিযুক্তরা হলেন- চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস ছালাম, মহিউদ্দিন বাচ্চু, এম এ লতিফ ও এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, সাবেক যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর এবং আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া উপকমিটির সদস্য নুরুল আজিম রনি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট নগরীর চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট এলাকায় ফরহাদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিচ্ছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দুপুর দেড়টার মধ্যে ১০০ থেকে ১৫০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র, কিরিচ, লোহার রড ও লাঠিসোঁটাসহ ঘটনাস্থলে ত্রাস চালায়। তারা সবাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতিতে যুক্ত। ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ায় প্রতিশোধ নিতে অভিযুক্তরা ওই দিন ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি ছোড়েন ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালে ফরহাদ গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী আরফান উদ্দিন জানান, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীসহ ১১৯ নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। আদালত মামলাটি নগর পুলিশের চান্দগাঁও থানাকে তদন্ত করে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।