আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় হত্যা চেষ্টা মামলায় সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন সাত বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত দৈনিক যায় যায় দিন পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেহমান।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। কিছুক্ষণের মধ্যেই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

বিজ্ঞাপন

শফিক রেহমানের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ ও শাকিল আহমেদ বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন।

মেজবাহ বলেন, এ মামলায় শফিক রেহমান পলাতক দেখিয়ে তার অনুপস্থিতিতে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেয় বিচারিক আদালত। সরকার ১ বছরের জন্য তার সাজা স্থগিত করেছেন। আমরা আপিলের শর্তে তার জামিন চাইব। মামলার নকল পেলে তিনি মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন।

সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যাচেষ্টার মামলায় গত বছরের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত মাহমুদুর রহমান ও সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচ জনের পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, রিজভী আহমেদ সিজার ও মিজানুর রহমান ভুঁইয়া।

আসামিদের দণ্ডবিধির ৩৬৫ ধারায় (অপহরণ) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাদের আরও একমাসের কারাভোগ করতে হবে। এছাড়া একই আইনে ১২০-খ ধারায় (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে– আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিলেম আদালত। দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।

মামলার অভিযোগ বলা হয়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যে কোনো সময় থেকে এপর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।

ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন।