করোনা থেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেবে প্রোটোটাইপ মাল্টি মাস্ক!
মাস্ক এবং ফেসশিল্ড; এ দু’য়ের ব্যবহারে আপনি ত্যক্ত-বিরক্ত? কখনো মাস্কের স্ট্র্যাপ খুলে যাচ্ছে, আবার কখনো ফেসশিল্ডের সঙ্গে মাস্ক পরে কাজ করতে চরম অসুবিধা হচ্ছে। তবে এ সমস্যার সমাধান হতে চলেছে দ্রুতই! ভারতের গোয়ার এক ডিজাইনার বানিয়ে ফেলেছেন মাস্ক ও ফেসশিল্ডের প্রোটোটাইপ মাল্টি মাস্ক!
এই মাল্টি মাস্ক ব্যবহারেও যেমন সুবিধা, তেমনি সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেবে করোনাভাইরাস ছড়ানো থেকেও। এমনটি দাবি করেছেন মাল্টি মাস্কের ডিজাইনার ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজাইনের শিক্ষার্থী দীপক পাঠানিয়া। ভারতীয় গণমাধ্যম ‘হিন্দুস্থান টাইমস’ দীপকের উদ্ভাবিত এই মাল্টি মাস্ক নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে।
#কী রয়েছে এই মাল্টি মাস্কে:
এই ফেসশিল্ডটি মাস্কের সঙ্গে সংযুক্ত করা, সঙ্গে রয়েছে স্ট্র্যাপটিও।
প্রয়োজন মতো ফেসশিল্ডটি চাইলে খুলেও রাখা যেতে পারে।
ফেসশিল্ডটি চাইলে পরে আবার মাস্কে জুড়েও নেয়া যাবে। সেক্ষেত্রে কোনো স্ট্র্যাপের প্রয়োজন হবে না।
মাল্টি মাস্ক পরলে কথা বলার সমস্যা হবে না।
মাস্কটি ধোয়া যাবে।
পরবর্তীতে মাস্কে ইলেকট্রনিক ফিল্টারও ফিট করা যেতে পারে। ফলে অডিও-ভিডিও রেকর্ডিংয়েও সমস্যা হবে না।
#কতটুকু গ্রহণযোগ্য মাস্কটি?
ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজাইনের শিক্ষার্থী দীপক পাঠানিয়া ইতোমধ্যেই এই মাল্টি মাস্কের জন্য পেটেন্টের আবেদন জানিয়েছেন। বিশ্বের আর কোথাও এমন কাজ হয়নি বলেই দাবি করেছেন তিনি। সম্প্রতি তিনি নিজের একটি সংস্থা তৈরি করেছেন, সেটি ভারতের সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ ব্র্যাকিশওয়াটার অ্যাকুয়াকালচারের (সিআইবিএ) সঙ্গে কাজ করছে। মাস্কটির চূড়ান্ত ডিজাইন ঠিক করতে পুনের এক ডিজাইন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন দীপক।
দীপকের দাবি, বিশ্বের সবচেয়ে সেরা হিসেবে এই মাল্টি মাস্ক জায়গা করে নেবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি। তাই প্রোটোটাইপ পর্যায়ের জন্যই জনগণের থেকে তহবিল গড়ে কাজ করতে চাইছেন। ফলে এটির গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কেও ধারণা করা সহজ হবে বলে মনে করেন দীপক।
#মাল্টি মাস্ক নিয়ে যা বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা:
দীপকের মাল্টি মাস্ক নিয়ে মতামত জানিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্স-এর ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. অরিন্দম বিশ্বাস।
তিনি জানান, এই মাস্কটির গুণগত মান ভালো। তবে একজন ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে এই মাস্ক ব্যবহারের পরই এর গুরুত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবেন। এই মুহূর্তে বলা মুশকিল আদৌ এটি সফল কিনা। কারণ ভাইরাস আটকাতে কতটা সক্ষম হবে এই মাস্ক তা দেখার প্রয়োজন রয়েছে।
ভারতের জনস্বাস্থ্য চিকিৎসক ডা. সুবর্ণ গোস্বামী জানান, এই মুহূর্তে নানা রকম মাস্কই বাজারে আসছে। তবে সুরক্ষার কারণে ভালভবিহীন এন-৯৫ ও তিন স্তরের সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করতে পারলেই ভালো। দীপক পাঠানিয়ার মাস্কটি পর্যবেক্ষণ না করে ভালো বলাটা ঠিক হবে না। তবে তার প্রচেষ্টা মহৎ ও প্রশংসার দাবি রাখে।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস