স্যানিটাইজারে মিথানলের উপস্থিতি হতে পারে দৃষ্টিহীনতার কারণ
করোনাভাইরাসের প্রথম ধাক্কা কাটিয়ে বিশ্ব এখন অভ্যস্ত হচ্ছে নিউনর্মাল লাইফে। ঘরবন্দী মানুষদের বাইরে বের হতে হচ্ছে, ছুটছেন দৈনন্দিন কাজে। এসময়ে সচেতন মানুষমাত্রই সঙ্গে রাখছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। বিশেষজ্ঞরাও পরামর্শ দিচ্ছেন- ভাইরাসমুক্ত থাকতে কাজের ফাঁকে ফাঁকে ব্যবহার করুন হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
তবে গবেষকরা বলছেন- এই হ্যান্ড স্যানিটাইজারে লুকিয়ে রয়েছে মারাত্মক বিপদ। হাতে গোনা কিছু ব্যান্ডের ছাড়া প্রায় সব স্যানিটাইজারে রয়েছে বিপদজ্জনক মিথানল। স্যানিটাইজারে ৪ শতাংশের বেশি মিথানল থাকলেই তা ডেকে আনতে পারে ভয়াবহ ক্ষতি।
সম্প্রতি ভারতের ‘কনজুমার গাইডেন্স সোসাইটি অব ইন্ডিয়া’ (সিজিএসআই) তত্ববধানে এক সমীক্ষায় স্যানিটাইজারে ক্ষতিকর মিথানল থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে। এতে বাংলাদেশের বাজারে করোনাকালে নাম-বেনামে ছড়িয়ে পড়া স্যানিটাইজার নিয়েও শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। কারণ অধিকাংশ স্যানিটাইজারের লেভেলে মিথানলের উপস্থিতি আছে কিনা তা নিয়ে তথ্য নেই।
কী ক্ষতি করে মিথানল?
মিথানল রীতিমত বিষাক্ত। এটি আপনাকে প্রচন্ড অসুস্থ করে তুলতে পারে। বমি, মাথায় যন্ত্রণা, দৃষ্টিহীনতার মতো সমস্যা হতে পারে। মিথানলের উপস্থিতি থাকা স্যানিটাইজার থেকে বিষাক্ত পদার্থ আপনার ত্বকের মধ্যে দিয়ে খুব ধীরে ধীরে তা শরীরে মিশে যায়। এরপরেই শুরু হয় সমস্যা। ভারতের সিজিএসআই মন্তব্য- ‘কোনোভাবেই মিথানল মিশ্রিত স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যাবে না।’
করণীয় কী?
বাজার থেকে স্যানিটাইজার কেনার সময় লেভেল পড়ে কিনুন। লেভেল ছাড়া বাজারজাত করা স্যানিটাইজার কেনা থেকে বিরত থাকুন। বাড়িতে অবস্থানকালে স্যানিটাইজার এড়িয়ে ডিটারজেন্ট বা সাবান ব্যবহার করুন। যা অনেক বেশি নিরাপদ।