পছন্দের মেকআপ যত্নে রাখুন এই ৫ উপায়ে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা ২৪.কম
নির্ধারিত সময়ের আগে নষ্ট হতে দেবেন না আপনার সাধের প্রসাধনী দ্রব্যগুলোকে। ছবি: সংগৃহীত

নির্ধারিত সময়ের আগে নষ্ট হতে দেবেন না আপনার সাধের প্রসাধনী দ্রব্যগুলোকে। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খুব পছন্দের প্রসাধনী সামগ্রী এক্সপায়ার হয়ে গেলে সেটা ফেলে দিতে আমাদের ভীষণ কষ্ট হয়। আর তার চেয়েও বেশি কষ্ট হয় যখন এক্সপায়ারের তারিখের আগেই পছন্দের কোনও প্রসাধনী নষ্ট হয়ে যায়। প্রসাধনীর ঠিক মতো যত্ন না করলে তা খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। আজ আমরা আপনাদের জানাবো কীভাবে ৫ টা উপায়ে আপনার প্রসাধনী দ্রব্য দীর্ঘদিন ভাল রাখতে পারবেন।

যত্নে রাখুন

দোকান থেকে যেকোনও মেকআপ কেনার পর তা যত্নে রাখা খুবই জরুরি। ঠাণ্ডা, শুকনো স্থানে সঞ্চয় করা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। লিক্যুইড ফাউন্ডেশন, লিপস্টিক সোজাভাবে দাঁড় করিয়ে রাখুন। পাউডার বা জেল প্রোডাক্ট সাধারণভাবেই রাখতে পারেন। খেয়াল রাখবেন আপনার মেকআপ প্রোডাক্ট যেন আর্দ্রতার থেকে দূরে থাকে, নাহলে তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে।

ঢাকনা চেপে আটকে রাখবেন

কথাটা শুনে বোকা বোকা মনে হতে পারে, কিন্তু প্রসাধনীর কৌটের ঢাকনা চেপে আটকে রাখা খুবই জরুরি। না হলে আর্দ্রতা, ধুলো, ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে এসে আপনার পছন্দের মেকআপ প্রোডাক্ট নষ্ট হয়ে যাবে এবং তা ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বকেরও নানারকম সমস্যা দেখা যাবে। তাই সব সময় যেকোনও প্রসাধনী ব্যবহারের পর তার ঢাকনা চেপে আটকে রাখবেন।

মেকআপ ব্রাশ ব্যবহারের পর নিয়মিত ধুয়ে রাখার অভ্যাস তৈরি করুন। ছবি: সংগৃহীত

মেকআপ ব্রাশ ধুয়ে রাখবেন

মেকআপ ব্রাশ ব্যবহারের পর নিয়মিত ধুয়ে রাখার অভ্যাস তৈরি করুন। শিশুদের শ্যাম্পু এবং তেল ব্যবহার করে ব্রাশে লেগে থাকা সমস্ত মেকআপ ধুয়ে ফেলার পরেই আবার একই ব্রাশ ব্যবহার করবেন। নাহলে আপনার সমস্ত মেকআপ প্রোডাক্ট দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে।

ঝাঁকিয়ে নিন

নিয়মিত ফাউন্ডেশন এবং আইলাইনার ব্যবহার করলে ব্যবহারের আগে বোতলটা ধরে সাবধানে ভাল করে কয়েক সেকেন্ড ঝাঁকিয়ে নিন। লিক্যুইড প্রোডাক্ট দীর্ঘদিন ব্যবহার না হলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। তাই ব্যবহারের আগে ঝাঁকিয়ে নিলে আপনার পছন্দের প্রসাধনীগুলো দীর্ঘদিন ভাল থাকবে।

রেফ্রিজারেটরে রাখুন

শুনতে আজব মনে হতে পারে তবে এই পদ্ধতি অনেকেই অবলম্বন করে থাকে। রেফ্রিজারেটরের ভিতরের কম তাপমাত্রায় আপনার পছন্দের প্রসাধনীগুলো দীর্ঘদিন ভাল থাকবে। নেলপলিশ, সুগন্ধি, আইক্রিম ইত্যাদি রেফ্রিজারেটরের থেকে বের করার ১৫ মিনিট পর সবচেয়ে ভাল কাজ করে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসক্তি এবং ইন্টারনেটের ক্ষতিকর দিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, নিউজরুম ডেস্ক, বার্তা২৪
ইন্টারনেট আসক্তি / ছবি: সংগৃহীত

ইন্টারনেট আসক্তি / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনের জের ধরে দেশে একরকম অস্থিতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। চলমান এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে জানমালের। সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের প্রায় সকল ক্ষেত্রেই তার প্রভাব বেশ প্রকটভাবেই দৃশ্যমান।

বাস চলাচল, বাজারঘাট তো বন্ধ রয়েছেই, তার সাথে স্কুলকলেজ আর অফিস-আদালত কোনো কিছুই স্বাভাবিক নিয়মে চলছে না। সবচেয়ে বেশি নজরে পড়ার মতো ঘটনা হলো বেশ কয়েকদিন ধরে সারাদেশে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রয়েছে। ডেটা ভবনে আগুন লাগার ঘটনায় সারাদেশে সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ ইন্টারনেট সেবা স্থগিত রয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা সংযোগ ফিরিয়ে আনার পূর্ণ চেষ্টা করছে। তবুও, এখনো অবধি ইন্টারনেট সংযোগ করতে নানারকম প্রতিকূলতার সম্মুখীন হচ্ছে সাধারণ মানুষ। শুধু যোগাযোগ বা বিনোদন নয়. জরুরি যোগাযোগ এবং দেশের পরিস্থিতির তথ্য আদানপ্রদানের ক্ষেত্রেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে।  

তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম শিথিল হওয়ার এই ব্যাপার টায় আমাদের নেতিবাচকে নজর দেওয়ার চেয়ে ইতিবাচক দিকগুলোতে দৃষ্টিপাত করা উচিত। এই নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ফলে দুনিয়া আমাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। মুহূর্তেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের তথ্য আদান-প্রদান সম্ভব হচ্ছে। তবে অতিরিক্ত কোনোকিছুই ভালো নয়, এসবের অতিরিক্ত ব্যবহারও তাই বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করেছে। খুব সহজেই অনুমান করা যাচ্ছে, বর্তমান সময়ের অধিকাংশ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর উপর নির্ভর হয়ে পড়েছে। অনেকের ক্ষেত্রে এটা আসক্তিও বলা যেতে পারে।    

‘সিনেট’- এর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায় বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিনিয়ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার মানুষের উদ্বিগ্নতা বাড়িয়ে দেয়। এক মুহূর্তও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে মনে হতে থাকে, ‘হয়ত কোনো জরুরি খবর সময়মতো জানতে পারলাম না!’ তাই অকারণেই অনেকে জরুরি কাজ ছাড়াও সারাক্ষণ মোবাইল, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, কম্পিউটার, টিভির সামনে বসে থাকে। এর ফলে দেখা যায়, কোনো কাজে ভালোভাবে পরিপূর্ণ মনোযোগ ধরে রাখা যায় না। বারবার অবচেতন মন এইসব ডিভাইসের দিকেই ঝুঁকে পড়ে।

তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতি আমাদের নির্ভরতাকে অনুধাবন করে, এইসব অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেন আসক্তি তৈরি না হয়, সেই চেষ্টা করতে হবে। অবসর সময় কাটাতে বিকল্প অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

 

 

 

;

কারফিউর ঘরবন্দি জীবনে যা করবেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪
কারফিউ / ছবি: নূর-এ-আলম

কারফিউ / ছবি: নূর-এ-আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের চলমান পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের জনজীবনে ক্ষণিকের জন্য হলেও ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। ছোট থেকে বড় সবার দৈনন্দিন রুটিন সাধারণ দিনগুলোর চেয়ে ভিন্ন গতিতে চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রায় সবই বন্ধ। দেশের বিভিন্ন স্থানে দিন এবং রাত বেশিরভাগ সময় বা কোনো কোনো দিন প্রায় সারাদিনই কারফিউ চলছে।

দিনে দিনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও, কারফিউ চলাকালে সময় যেন আইনস্টাইনের ‘রিলেটিভিটি অব টাইম’-এর নিয়ম মেনে আপেক্ষিক হয়ে পড়ে। সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম মানুষের জীবনে এতটাই বিশাল স্থান দখল করে রেখেছে যে, বেশিরভাগ মাধ্যম বন্ধ থাকায় অবসরের সময় কাটতে চায় না। বিশেষ করে কম বয়েসি (টিন এজার)-দের এই নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হতে দেখা যায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অকার্যকরিতার এই সময়টিকে অভ্যাস পুনর্গঠনের কাজে লাগানো যেতে পারে। অবসরের সময়কে কাজে লাগাতে নিচের পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করতে পারেন:

১. আমাদের সবারই এমন কিছু শখ থাকে, যার পেছনে নিত্যব্যস্ততার কারণে সময় দেওয়া হয়ে ওঠে না। এইসময় নিজের সেই শখ পূরণের উদ্দেশ্যে কাজ করতে পারেন।

২.বাড়ির আশেপাশের কোনো স্থানে হাঁটতে যেতে পারেন। হাঁটা যে বয়েসিদের জন্যই সহজ এবং উপকারী একটি ব্যায়াম।

৩. পরিবারের লোকজন এবং আত্মীয় স্বজনের সাথে গল্প করে সময় কাটাতে পারেন। অনেকদিন কথা হয়নি এমন বন্ধুদের সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন।

৪. চলমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে উপকারী কাজ হলো বই এবং খবরের কাগজ পড়া। বইয়ের মতো উপকারী বন্ধু আর হয়না। এমনিতেই বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করেন অনেকে, তাদের জন্য এখনই সুবর্ণ সুযোগ।

৫. দেশে চলমান অশান্ত পরিবেশে অনেকেই নানারকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে থাকেন। জীবনের এই বিরল অভিজ্ঞতাগুলো দিনলিপিতে লিখে রাখতে পারেন।

৬. যারা কিছুটা অবস্থাসম্পন্ন তারা তুলনামূলকভাবে বিপদগ্রস্ত এবং সাহায্যপ্রার্থীদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করতে পারেন।

৭. কথায় বলে, সুস্থ দেহে সুন্দর মন। যেকোনো পরিস্থিতিতেই দেহকে সুস্থ এবং উৎফুল্ল রাখা প্রয়োজন। যোগাসন, বক্সিং, মার্শাল আর্ট বা ধ্যানের মতো উপকারী অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।

৮. পরিবার, বন্ধু, প্রতিবেশী বা এলাকায় যারা একত্রে থাকেন, তারা সকলে মিলে পিকনিক বা বিভিন্ন খেলার আয়োজন করে সময় কাটাতে পারেন। 

তথ্যসূত্র: সিনেট

   

;

কার গয়না পরে বিয়ে করলেন রাধিকা, জানলে অবাক হবেন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রাধিকা মার্চেন্ট

রাধিকা মার্চেন্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও এশিয়ার অন্যতম শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানি এবং রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের ধুম যেন কিছুতেই শেষ হচ্ছে না। আম্বানিদের এই মেগাবাজেটের বিয়ের লাল গালিচায় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই পা ফেলেছে হলিউড-বলিউডের সব রথী মহারথীরা। বিভিন্ন সাজ, পোশাক-আশাকে বিয়েতে আসা অতিথিদের চমকে দেন তারা।


তবে যাদের জন্য এই মহা আয়োজন সেই আম্বানি পরিবারের ছোট পুত্রবধূ রাধিকা মার্চেন্ট এর সাজও ছিল নজরকারা, চোখ ধাঁধানো। তবে রাধিকা বিয়েতে যে গয়না পড়েছেন তার কাহিনী হয়তো অনেকেই জানেন না।

বিয়েতে বিখ্যাত ডিজাইনার আবু জানি সন্দীপ খোসলার লেহেঙ্গা পড়লেও রাধিকার বিয়ের গয়নাতে সবার চোখ আটকে যায়। কারণ বিয়ের দিন রাধিকা কোন ডিজাইনারের গয়না নয় বরং তার বোন অঞ্জলি মার্চেন্টের গয়না পরেছিলেন। মার্চেন্ট পরিবারে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে নিজেদের উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া এসব গয়না দিয়েই তারা বিয়েতে সাজেন। এটাই তাদের পরিবারের রীতি। রাধিকাও তাই নিজেকে পারিবারিক সূত্রে পাওয়া গয়নাতেই নিজেই সজ্জিত করেছেন।


বিয়েতে রাধিকার গলায় একটি চোকার নেকলেস দেখা যায় । তার সঙ্গে পোলকি কানের দুল, টিকলি এবং ম্যাচিং হাতের ফুল। এগুলো ছাড়াও রাধিকা একটি চোখ ধাঁধানো হিরা এবং পান্নার নেকলেস, কড়া, চুড়ি এবং কালীরা পরেছিলেন।

জানা যায়, রাধিকা যে নেকলেসটি পরেছেন সেটি ২০২০ সালে বিয়েতে তার বোন অঞ্জলি মার্চেন্টও পড়েছিলেন। এমনকি এই গয়নাগুলো তাদের মা এবং তাদের নানীও পড়েছিলেন তাদের বিয়ের সময়।

;

প্রথমবার মা হয়েছেন? শিশুর যত্নে মেনে চলুন এই বিষয়গুলো



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
প্রথমবার মা হয়েছেন? শিশুর যত্নে মেনে চলুন এই বিষয়গুলো/ ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবার মা হয়েছেন? শিশুর যত্নে মেনে চলুন এই বিষয়গুলো/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিটি নারীর কাছেই মাতৃত্বের আবেদন আবেগঘন। সেটা যদি প্রথমবারের জন্য হয় তাহলে তো আর কথাই নেই। আনন্দের মাত্রা তখন দ্বিগুণ হয়ে যায়। সব মা-ই চায় তার সন্তানকে যত্ন সহকারে আগলে রাখতে। ছোট ছোট প্রতিটি বিষয়ে মাকে নিতে হয় বাড়তি যত্ন। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় বাবা-মায়ের অবহেলা কিংবা অসাবধানতার কারণে বাচ্চাদের নানা রকম সমস্যায় পড়তে হয়। যা শিশুর বেড়ে উঠায় বাধার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

আপনি যদি নতুন মা হয়ে থাকেন এবং প্রথমবারের মতো এই দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন, তাহলে এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্য। শিশুর যত্ন নেওয়ার সময় আপনাকে অবশ্যই এসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে।

চোখে কাজল লাগাবেন না

প্রায়শই বয়স্করা বলেন যে, শিশুদের চোখে কাজল লাগাতে হবে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, কাজল শিশুর চোখে সমস্যা তৈরি করতে পারে। আসলে কাজল লাগালে চোখের কোণে থাকা টিয়ার নালি আটকে যাওয়ার ভয় থাকে এবং এতে ধুলো-ময়লাও লেগে যেতে পারে, যা অ্যালার্জির কারণ হয়। তাই শিশুর চোখে কাজল লাগানো এড়িয়ে চলুন।

ছয় মাস পর্যন্ত শিশুকে শুধু মায়ের দুধ দিন

কেউ কেউ চার-পাঁচ মাস থেকে শিশুকে জল ও শক্ত খাবার দেওয়া শুরু করে, যেখানে ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের দুধই শিশুর পুষ্টির জন্য যথেষ্ট। বুকের দুধ খাওয়াতে সমস্যা হলে বা দুধ উৎপাদন না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে মায়ের বিশেষ কোনও শারীরিক অসুখ থাকলে বা মায়ের দুধ শিশু হজম করতে না পারলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দিন।

সব সময় ডায়াপার পরাবেন না

ছোট বাচ্চাদের ঘন ঘন প্রস্রাব হয় এবং এর জন্য তাদের ডায়াপার পরানো হয়। তবে একেবারে ছোট শিশুকে বেশিক্ষণ ডায়াপার পরিয়ে রাখা উচিত নয়। এছাড়া কয়েক ঘণ্টা পর পর ডায়াপার পরিবর্তন করা জরুরি। ডায়াপারের বদলে তুলো বা সুতি বা যে কোনও নরম কাপড়ের তৈরি ন্যাপি পরান। একটানা ডায়াপার পরলে ত্বকে ফুসকুড়ি হতে পারে।

সাবধানে শিশুর জিনিস কিনুন

নবজাতক শিশুর ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল। তাই শ্যাম্পু, বডি ওয়াশ, বডি ম্যাসাজ অয়েল, লোশনের মতো পণ্য খুব সাবধানে কেনা উচিত। কোনটি শিশুর জন্য ঠিক হবে, সে বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এছাড়া পণ্যগুলি কেনার সময় মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ এবং উপাদানগুলি পড়ে নিন। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি এমন পণ্য কেনার চেষ্টা করুন।

এই ছোট বিষয়গুলিতে যত্ন নিন

নবজাতক শিশুকে স্পর্শ করার আগে হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। ঘরে যদি ছোট বাচ্চা থাকে, তবে হাত-পা ধুয়ে বাচ্চাকে কোলে নিন এবং সর্বক্ষণ নজর রাখুন। এছাড়া শিশুর যাতে ঠান্ডা না লাগে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। শিশু খুব কান্নাকাটি করলে সেটা ক্ষিধের জন্য নাকি পেটে গ্যাসের কারণে তা জানার চেষ্টা করুন। খাওয়ানোর পরে, শিশুটি তার পিঠে হালকাভাবে চাপ দিলে স্বস্তি পায়, অস্বস্তি বোধ কমে।

সূত্র: টিভি৯ বাংলা  

;