শাশুড়ির সাথে বন্ধনের অনন্য উপায়



নাছরিন আক্তার উর্মি, বার্তা২৪.কম
সবচেয়ে জটিল সম্পর্কগুলোর মধ্যে একটি শাশুড়ির সাথে সম্পর্ক। ছবি: সংগৃহীত

সবচেয়ে জটিল সম্পর্কগুলোর মধ্যে একটি শাশুড়ির সাথে সম্পর্ক। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সবচেয়ে জটিল সম্পর্কগুলোর মধ্যে একটি শাশুড়ির সাথে সম্পর্ক। অনেকেই বলেন তাদের শাশুড়ির সাথে বন্ধনের উপযুক্ত সময় নেই। আবার কারো কারো শ্বাশুড়ির সাথে বন্ধুত্ব করার ব্যাপারে বড্ড অনীহা। কেউ কেউ যা প্রত্যাশা তেমন হয় না বলে ভালো সর্ম্পক তৈরি করতে পারেন না। তবে আপনি চাইলে শাশুড়ির সাথে মধুর সর্ম্পক তৈরি করতে পারেন।

জেনে নিন শাশুড়ির সাথে বন্ধুত্বের কয়েকটি উপায়-

একসাথে রান্না করতে আগ্রহ প্রকাশ করুন:

শাশুড়ির সাথে বন্ধনের জন্য রান্নাঘর দুর্দান্ত জায়গা। রান্না করার সময় বিশেষত যখন তার সাহায্যের হাত দরকার হয় তখন তাকে সাহায্যে করুন। এতে আপনি তার প্রশংসা পাবেন যা ভালো সর্ম্পকের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এছাড়াও আপনার শশুড় বাড়ির প্রচলিত খাবারগুলো শিখতে আগ্রহী হন। আপনি নতুন এবং মূল্যবান অনেক কিছুই তার কাছে শিখতে পারবেন।

জিজ্ঞাসা করুন এবং তার পরামর্শ বিবেচনা করুন:

বিভিন্ন বিষয়ে শাশুড়ির পরামর্শ চাইলে তিনি খুশি হবেন। পরামর্শ চাওয়া আপনার দুজনের মধ্যে একটি বন্ধন তৈরি করবে। আপনি তার মতামত নিলে তার চিন্তাভাবনা সর্ম্পকে বুঝতে পারবেন। তবে শুধু বোঝার জন্য নয় তার মতামতকে গুরুত্বও দিন।

শাশুড়ির সাথে বন্ধনের জন্য রান্নাঘর দুর্দান্ত জায়গা।
শাশুড়ির সাথে বন্ধনের জন্য রান্নাঘর দুর্দান্ত জায়গা। ছবি; সংগৃহীত

তার সর্ম্পকে বেশি বেশি জিজ্ঞাসা করুন:

আপনার শাশুড়ির জীবনযাপন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন। আপনার কাছে এটি খুব সাধারণ প্রশ্ন হতে পারে কিন্তু তার কাছে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এতে তিনি বুঝবেন আপনি তাদের পরিবার সর্ম্পকে আগ্রহী। সে কোথায় বড় হয়েছে এবং তার শখগুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন। যখন তিনি তার জীবন বর্ণনা করতে শুরু করবেন তখন আপনি তার চোখে ঝলক এবং আবেগ দেখতে পাবেন।

শাশুড়ির জীবনযাপন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন।
শাশুড়ির জীবনযাপন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন। ছবি: সংগৃহীত

আপনার সঙ্গীর শৈশব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন:

আপনার শাশুড়ির মনে হতে পারে যে আপনি এখন তার ছেলের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হতে পারেন। এই অনুভূতি দূর করতে সাহায্য করার জন্য কথোপকথনে জড়িত থাকার চেষ্টা করুন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তাঁর ছেলের শৈশব নিয়ে কথা বলতে পারেন। দেখবেন তিনি তৎক্ষণাত আপনাকে ফটো অ্যালবাম দেখাতে শুরু করবেন এবং আপনাকে আপনার সঙ্গীর সম্পর্কে বিব্রতকর গল্পগুলো বলবেন। এভাবে আপনি আপনার পার্টনারের অতীত সম্পর্কে যে যত্নশীল তা দেখাতে পারেন।

বিভিন্ন বিষয়ে শাশুড়ির পরামর্শ চাইলে তিনি খুশি হবেন।
বিভিন্ন বিষয়ে শাশুড়ির পরামর্শ চাইলে তিনি খুশি হবেন। ছবি: সংগৃহীত

দিনে ভ্রমণের জন্য তাকে বাইরে নিয়ে যান:

ওয়াকিং বা স্পা-থেরাপি সেশনে আপনার শাশুড়ির সাথে সময় দিয়ে ভালো বন্ধন তৈরি করতে পারেন। তাকে আপনার সাথে বাইরে নিয়ে যান যাতে সে আরও ভাল বোধ করতে পারে। তার সাথে বাইরে থাকাকালীন সময়ে আপনাদের বন্ধন আরও দৃঢ় হবে। তার সাথে আপনাকে হাসতে, খেতে, কেনাকাটা করতে এবং এমনকি শহরের চারপাশে ঘোরাফেরা করার সুযোগ দিন। তিনি এই বিষয়টি পছন্দ করবেন যে তার পুত্রবধু তার সংগ অনেক উপভোগ করে।

পাকা পেঁপে কেন খাবেন?



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ওজন কমানোর ডায়েটে পাকা পেঁপের স্থান সকলের আগে। তবে অনেকেই পাকা পেঁপে খেতে চান না। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই এই ফলকে ‘মহাঔষধ’ বলে মনে করেন। শিশু থেকে বয়স্ক সবার জন্য পাকা পেঁপে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। তাই নিয়ম করে পাকা পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করুন।

অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর

ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর পাকা পেঁপে ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধির যম। এ ছাড়াও পেঁপেতে আছে ক্যারোটিনয়েড, ভিটামিন সি এবং ই। যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

হজমে সহায়ক

পেঁপে মুখের রুচি ফেরায়। সেই সঙ্গে খিদেও বাড়ায় এবং পেট পরিষ্কার করে। পেট পরিষ্কার থাকলে গ্যাসের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। শুধু তা-ই নয়, যাদের অর্শের সমস্যা রয়েছে চিকিৎসকরা তাদের পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

পেঁপে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ১০০ শতাংশ ভিটামিন সি পাওয়া যায় এই পাকা পেঁপে থেকেই। শরীরে কোনও সংক্রমণ হলে, তা কমাতে চিকিৎসকরা পাকা পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেন।

;

ওজন কমবে মেথির গুণে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনলাইনে হাল ফ্যাশনের জামাকাপড় দেখেই হাত নিশপিশ করে, তবে কেনার আগেই মাথায় শত চিন্তা আসে! যা ভুঁড়ি হয়েছে, তাতে পোশাকগুলি পরলে আদৌ মানাবে তো? রোগা হতে গেলে তো ভারী কসরত করতে হবে, আর ওতেই যে বড্ড অনীহা! রোগা হতে গেলে যে জিমে গিয়ে ভারী শরীরচর্চা করতে হবে, এমনটা একেবারেই নয়। রোজ নিয়ম করে হাঁটাহাটি করে আর খাদ্যাভ্যাসে রাশ টানলেই কিন্তু ওজন কমানো যায়। এর পাশাপাশি কিছু মশলার গুণেও কিন্তু ওজন ঝরানোর প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করা যায়। মেথিরও সেই গুণ রয়েছে।

মেথি চা

চা তো খান রোজ, এ বার সেই চায়েই যোগ করুন কয়েকটা মেথির বীজ। হজমশক্তি তো বাড়বেই, সঙ্গে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণও হবে। স্বাদে তেঁতো হলেও কাজ দেবে ষোলো আনা। একেবারেই খেতে না পারলে, চায়ে যোগ করে দিন এলাচ কিংবা আদা।

কী করে বানাবেন? ফুটিয়ে তাতে কয়েক দানা মেথি মিশিয়ে দিন। তার পর চা ও এলাচ দিয়ে ফুটিয়ে নিন কিছুক্ষণ। খালি পেটে এমন চা খেলে মেদ ঝরবে খুব সহজে।

মেথির পানি

ঠাকুরমা-দিদিমারা পেট গরম হলেই মেথির পানি খাওয়ার পরামর্শ দিতেন। পেট ঠান্ডা করার পাশাপাশি এটি কিন্তু খিদেও কমায়। খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায় বলে স্বাভাবিক ভাবেই ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা নেয় এই পানীয়।

অঙ্কুরিত মেথি

ভিটামিন ও নানা খনিজপদার্থে ভরপুর মেথিবীজ হজমে সাহায্য করে। একটা পাত্রে মেথিবীজ নিয়ে তার উপর একটা ভিজে কাপড় ঢাকা দিয়ে রাখুন। মাঝেমাঝেই কাপড়টিতে পানি দিন। দিন তিনেক পর মেথি বীজের অঙ্কুরোদ্গম হবে। এই অঙ্কুরিত মেথি খেলে তা খুব সহজেই কমিয়ে দেবে শরীরের মেদ।

মেথি গুঁড়ো

মেথিতে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় ক্যারোটিনয়েড, যা দ্রুত ওজন কমায়। বাজার চলতি মেথি গুঁড়োর উপর ভরসা না করে, বাড়িতেই শুকনো খোলায় মেথি ভেজে গুঁড়িয়ে নিন। এর পর তা গরম পানিতে মিশিয়ে খান। এই পানিতে লেবু ও মধুও মেশাতে পারেন। মেথিগুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন তরকারিতেও। দেখবেন, ফল মিলছে হাতেনাতে।

;

চা-কফির নেশা কাটাবেন যেভাবে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এই সময়ে চা কিংবা কফিতে চুমুক না দিলে যে খুব ক্ষতি হবে, তা নয়। কিন্তু কোনও মতেই নেশা ছাড়তে পারছেন না। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে বা সারা দিনে কাজের মাঝে অগুণতি বার কফি পান করলে এই গরমে শারীরিক সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খালি পেটে কফি পান করলে কর্টিজলের ক্ষরণ অনেক বেড়ে যায়। মানসিক চাপ বা ‘স্ট্রেস’-এর অত্যতম কারণ এই হরমোনটি। তাই যদি চা-কফি পানে লাগাম টানতে চান, তিন পন্থা অবলম্বন করে দেখতেই পারেন।

শরীরচর্চায় মন দিন

বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, শরীরচর্চা করতে শুরু করলে অনেক সময় চা বা কফির নেশা কমতে শুরু করে। কারণ, প্রশিক্ষক বা পুষ্টিবিদদের দেওয়া খাবার তালিকায় ক্যাফেইন জাতীয় পানীয়ের মাত্রায় হ্রাস টানতে বলা থাকে।

এমন মানুষদের সঙ্গে মিশুন যারা চা বা কফি পান করেন না

কথায় বলে সৎসঙ্গে স্বর্গবাস। সত্যিই যদি ক্যাফেইন জাতীয় পানীয়ের নেশা থেকে মুক্তি পেতে চান, তা হলে এমন মানুষদের সঙ্গ নিন, যারা কথায় কথায় চা, কফি পান করেন না।

চা, কফির বদলে স্বাস্থ্যকর পানীয়র অভ্যাস করুন

যখনই চা বা কফি পান করতে ইচ্ছে করবে তখন এমন কোনও পানীয় খেতে চেষ্টা করুন, যা স্বাস্থ্যকর। অনেকেই গরম থেকে মুক্তি পেতে ঠান্ডা চা বা কফি পান করে থাকেন। তার বদলে ফলের রস, স্বাস্থ্যকর শরবত খেতে পারেন।

;

মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমায় যেসব অভ্যাস



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দৈনন্দিন জীবনে কিছু অভ্যাস আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। দিনের পর দিন এই অভ্যাসগুলোর কারণেই মস্তিষ্কের ক্ষতি করে চলেছি আমরা। জেনে নিন কোন কোন অভ্যাস বাদ দিলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়বে।

১. অতিরিক্ত অন্ধকারে থাকা 

অতিরিক্ত অন্ধকারে থাকার অভ্যাস মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। এই অভ্যাস মনে বিষণ্ণতা তৈরি করে। এই বিষণ্ণতা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা মন্থর করে দেয়। এ কারণেই শীতপ্রধান দেশে আত্মহত্যার হার বেশি। প্রাকৃতিক আলোতে থাকলে আমাদের মস্তিষ্ক ভালোভাবে কাজ করে।

২. উচ্চশব্দে গান শোনা

কানে বড় হেডফোন গুজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা উচ্চস্বরে গান শোনা মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। টানা ৩০ মিনিট অতি উচ্চমাত্রার শব্দে থাকলে এক জনের শ্রবণশক্তি সম্পূর্ণরূপে লোপ পেতে পারে। শ্রবণশক্তি লোপ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও লোপ পেতে পারে। সেই সঙ্গে ব্রেনের টিস্যু নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

৩. বেশি বেশি স্ক্রিন টাইম

অতিরিক্ত ‘স্ক্রিন টাইম’ও নানা দিক থেকে মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। অফিসে গিয়ে সারাক্ষণ ল্যাপটপের সামনে বসে থাকা, বাড়ি ফিরেও মোবাইলে ওয়েব সিরিজ দেখা— সব মিলিয়ে দিনের বেশির ভাগ সময়টাই কেটে যায় পর্দার সামনে। এতে চোখের ক্ষতি তো হচ্ছেই, সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও কমে যাচ্ছে। স্ক্রিন টাইম যত বেশি হবে, ততই আমরা অন্যদের সঙ্গে কথা কম বলি, অন্য কাজেও মনোযোগ কম দিই, ফলে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে অচল হয়ে পড়ে।

৪. অতিরিক্ত একা থাকা

এখন আমাদের ফেসবুকে বন্ধুসংখ্যা হাজার হাজার হলেও নিজ জীবনের সব সমস্যা ভাগ করে নেওয়ার জন্য বন্ধুর বড় অভাব। অনেকে এমন আছেন, যারা কোনও অনুষ্ঠানবাড়িতে যেতে চান না। পারিবারিক অনুষ্ঠান হোক কিংবা অফিসের পার্টি— সব কিছুই এড়িয়ে চলতে ভালবাসেন তারা। এর প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কের উপর। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যারা কাছের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন, তারা অন্যদের তুলনায় হাসিখুশি ও কর্মদক্ষ হন। তাদের স্মৃতিশক্তিও অন্যদের তুলনায় বেশি হয়।

৫. অতিরিক্ত চিনি খাওয়া

অতিরিক্ত চিনি খাওয়াও মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। এ দিকে বার্গার, ভাজাভুজি, আলুর চিপ্‌স বা নরম পানীয়ের মতো খাবার স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার জন্য দায়ী হতে পারে। অন্য দিকে, সবুজ শাকসব্জি, ফল ও বাদামজাতীয় খাবার মস্তিষ্কের ক্ষতি রোধ করে।

;