সম্পর্কের বিষাক্ত রোমান্টিকতা

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভালবাসা কোনও মানুষকে পরিবর্তন করতে পারে না। ছবি: সংগৃহীত

ভালবাসা কোনও মানুষকে পরিবর্তন করতে পারে না। ছবি: সংগৃহীত

ভালবাসা এবং সম্পর্কের সংজ্ঞা সম্পূর্ণ মানসিক। তবে অনেকেই রোমান্টিকতা বলতে যা বুঝেন তা মোটেও রোমান্টিকতা নয়। সম্পর্কের বিভ্রান্তিকর বিশ্বাস কেবল আপনার অভিজ্ঞতা নষ্ট করবে। সম্পর্কের কিছু নিদর্শন রয়েছে যা আপাতদৃষ্টিতে রোমান্টিক মনে হলেও সুসর্ম্পকের জন্য তা বন্ধ করা উচিত। জেনে নিন সেগুলো-

হিংসা ইতিবাচক বিষয় নয়

যদি আপনার সঙ্গী প্রাক্তন বা পুরুষ বন্ধু সম্পর্কে ইর্ষা প্রকাশ করে তবে তা সাময়িক ভাবে ভালো লাগতে পারে। এমনকি তিনি হারানোর ভয়ের কারণ দেখিয়ে সমস্ত মনোযোগ নিজের দিকে চাচ্ছে। তবে এই হিংসা বিপজ্জনক হতে পারে এবং এতে রোমান্টিক কিছুই নেই। বরং আপনি বিষাক্ত সম্পর্কের মধ্যে আটকা পড়ে যাবেন। তাই বিষাক্ত হওয়ার আগেই সাবধান হওয়া উচিত।

বিজ্ঞাপন

ইমোশনহীন পুরুষ

ভালবাসা কোনও মানুষকে পরিবর্তন করতে পারে না। ইমোশনহীন পুরুষদের রোমান্টিক করার পরিবর্তে তাদের থেকে দূরে চলে যান। বেশিরভাগ পুরুষ যারা নিজেকে ইমোশনহীন বলে আখ্যায়িত করেন তারা আসলে কেবল ধোঁয়াটে। তারা কখনও প্রতিশ্রুতি দেয় না এবং সচেতনভাবে সর্ম্পক অস্বীকার করবে। তাদের হৃদয়ে ভালবাসা জাগানোর প্রচেষ্টা না করায় ভালো।

অন্য ব্যাক্তির সীমাবদ্ধতা এবং তার ইচ্ছাকে সম্মান করাই রোমান্টিকতা।
অন্য ব্যাক্তির সীমাবদ্ধতা এবং তার ইচ্ছাকে সম্মান করাই রোমান্টিকতা। ছবি: সংগৃহীত

সীমাবদ্ধতাকে সম্মান না করা

অনেক সময় একজন পুরুষ তার পছন্দের মানুষকে পাওয়ার জন্য অবিচল থাকে। তাকে বেশ কয়েকবার প্রত্যাখ্যান করার পরেও সে অটল থাকে এবং বেশিরভাগ মানুষ এই প্যাটার্নটিকে রোমান্টিক মনে করেন। জানেন রোমান্টিকতা কী? অন্য ব্যাক্তির সীমাবদ্ধতা এবং তার ইচ্ছাকে সম্মান করাই রোমান্টিকতা। বাস্তব জীবন কোনও চলচ্চিত্র নয় যে সেখানে সবকিছু নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হবে। বাস্তব জীবনে 'না' এর অর্থ প্রায়শই 'না' হয়।

বিজ্ঞাপন

ভালোবাসায় যথেষ্ট

আপনার মনে হতে পারে ভালবাসা যথেষ্ট এবং এতে সমস্ত কিছু জয় করার ক্ষমতা রয়েছে। গল্প, উপন্যাস এবং রোমান্টিক সিনেমা আপনাকে এই শিক্ষা দিলেও বাস্তবে এর গল্প ভিন্ন। সম্মান, স্বাস্থ্যকর যোগাযোগ, অনুরূপ ওয়ার্ল্ডভিউ, সমঝোতা ইত্যাদির মতো অনেক জিনিস রয়েছে যা সর্ম্পকের মূল ভিত্তি। উভয় পক্ষ থেকে সমান পরিশ্রম এবং প্রচেষ্টা একটি স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক তৈরি করতে পারে।