রোজায় পানিশূণ্যতা দূর করতে যা খাবেন

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ইফতার এবং সেহরীতে শুধুমাত্র পানি খাওয়া নয়, পানি সমৃদ্ধ খাবারও খাওয়া উচিত। ছবি: সংগৃহীত

ইফতার এবং সেহরীতে শুধুমাত্র পানি খাওয়া নয়, পানি সমৃদ্ধ খাবারও খাওয়া উচিত। ছবি: সংগৃহীত

চলছে বৈশাখ মাস। যেমন রোদ তেমনই ভ্যাপসা গরম। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে রোজা। দিনের সময় বাড়ছে সেই সাথে বাড়ছে রোদের তাপমাত্রাও। এমন সময়ের রোজায় পানিশূণ্যতা হওয়া খুব স্বাভাবিক। এই জন্য ইফতার এবং সেহরীতে শুধুমাত্র পানি খাওয়া নয়, পানি সমৃদ্ধ খাবারও খাওয়া উচিত। কী খেলে শরীর ঠান্ডা থাকবে, পানিশূণ্যতা দূর হবে এবং সূর্যের কড়া তাপেও সুস্থ থাকবেন তা জেনে নিন।

লেবুর শরবত

লেবুর শরবত ইফতারে প্রাণ জুড়াবে। এটি সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে পানিশূণ্যতা রোধ করবে। হজমশক্তির পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াবে এই শরবত। লেবুর রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ সাইট্রিস এসিড, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন সি, পেকটিন প্রভৃতি সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করে।

বিজ্ঞাপন

তরমুজ

রোজায় শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। শরীরে পানিশূন্যতা পূরণে তরমুজ খুবই উপকারী। ইফতারে এক ফালি তরমুজ খেয়ে নিন। বরফ দেওয়া তরমুজের শরবতও খেতে পারেন। হাঁপিয়ে যাওয়া প্রাণটা জুড়িয়ে যাবে। তরমুজের শতকরা ৯২ ভাগই পানি। তাই তরমুজ খেলে সহজেই পানির তৃষ্ণা মেটে। পানিযুক্ত ফল বলে তরমুজ এ সময়টার জন্য আসলেই বেশ উপকারী।

শরীরে পানিশূন্যতা পূরণে তরমুজ খুবই উপকারী। ছবি: সংগৃহীত

কলা

কলায় প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। পানিশূন্যতা ও দুর্বলতা দূর করতে কলার বিকল্প নেই। ইফতারে একটা কলা খেয়ে নিলে যেমন শক্তি পাওয়া যাবে তেমনি শরীরের পানির চাহিদা পূরণ হবে।

বিজ্ঞাপন

বাঙ্গি

বাঙ্গির পুরোটাই জলীয় অংশে ভরপুর। এটি ভিটামিন ‘সি’, শর্করা ও সামান্য ক্যারোটিন সমৃদ্ধ। ইফতারে বাঙ্গি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। এটি সালাদ বা শরবত হিসেবে রাখা যায়। এই ফল শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

বাঙ্গির পুরোটাই জলীয় অংশে ভরপুর। ছবি: সংগৃহীত

শসা

শসার প্রায় ৯৬ শতাংশই পানি। তাই ইফতারের প্লেটে সালাদ হিসেবে রাখুন শশা। সালাদে শসার সঙ্গে লেটুসপাতাও রাখতে পারেন। লেটুসপাতায়ও ৯৬ শতাংশ পানি থাকে। শসার জুস করেও খেতে পারেন। শশা সহজেই শরীর ও মনে সতেজ ভাব নিয়ে আসে।

টমেটো

টমেটোর প্রায় ৯৪ শতাংশ পানি। সালাদ, স্যুপ, জুসসহ বিভিন্নভাবে ইফতারে টমেটো খেতে পারেন। টমেটো খেলে পানির পাশাপাশি শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ লবণের চাহিদাও পূরণ হয়।

পানিশূন্যতা ও দুর্বলতা দূর করতে কলার বিকল্প নেই। ছবি: সংগৃহীত

দই

ইফতারে দই-চিড়া, লাচ্চি, দই দিয়ে ফলের স্মুদি, বিভিন্ন ধরনের ডের্জাট খেতে পারেন। দই হলো প্রোবায়োটিক–সমৃদ্ধ খাবার। এতে প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি ৮৮ শতাংশ পানি থাকে। যা গরমে পানিশূন্যতা দূর করার পাশাপাশি পেট ঠান্ডা রাখে, হজমেও সাহায্য করে।

পুদিনা

পুদিনা পাতার লাচ্চি, লেবু ও পুদিনা পাতা দিয়ে ডিটক্স ওয়াটার খেতে পারেন ইফতারে। পুদিনা পাতা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্যে করে। আবার পানিশূণ্যতাও দূর করে।