যেসব খাবার খেলে ভালো থাকবে ফুসফুস

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা ২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ফুসফুস। ছবি: সংগৃহীত

করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ফুসফুস। ছবি: সংগৃহীত

করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ফুসফুস। এ সময় ফুসফুসের যত্ন নেয়া সবচেয়ে জরুরি। শ্বাসনালির মাধ্যমে গলা থেকে এই ভাইরাস ফুসফুসে প্রবেশ করে ধীরে ধীরে এর কার্যক্ষমতা নষ্ট করে ফেলে। ফলে দেখা দেয় মারাত্মক শ্বাসকষ্ট, কাশি ও ক্লান্তিবোধ।

করোনাকালে খাদ্যতালিকায় খাদ্য উপাদানের সঠিক উপস্থিতি ফুসফুস ভালো রাখতে এবং শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক ও সচল রাখতে সাহায্য করে থাকে। কোনো একটি নির্দিষ্ট খাবার প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে না, সেজন্য চাই স্বাস্থ্যকর খাবার সমৃদ্ধ তালিকা।

বিজ্ঞাপন

আসুন জেনে নিই যা খেলে ভালো থাকে ফুসফুস—

প্রোটিন

বিজ্ঞাপন

দুধ, ডিম, মাছ, মাংস, বাদাম, ডাল, নানা বীজ জাতীয় খাবার ইত্যাদি প্রোটিনের উত্স হিসেবে কাজ করে থাকে। প্রতিদিন পরিমাণ মতো প্রোটিন খাবার তালিকায় রাখলে তা শ্বাসযন্ত্রের পেশি বা ফুসফুসের পেশির কার্যকারিতা সঠিক রাখে।

দানাশস্য

লাল চাল, লাল আটা বা এদের তৈরি সামগ্রী, ওটস্, বার্লি ইত্যাদি ফুসফুস ভালো রাখতে কার্যকর। এগুলো থেকে যে খাদ্য আঁশ পাওয়া যায় তা যেমন ফুসফুসের জন্য উপকারী তেমনি এতে রয়েছ এন্টি অক্সিডেন্ট, এন্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য, ভিটামিন-ই, সেলেনিয়াম ও অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিড, যা ফুসফুসের কার্যকারিতা সঠিক রাখতে ও ফুসফুসকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

ওটস্, বার্লি ইত্যাদি ফুসফুস ভালো রাখতে কার্যকর। ছবি: সংগৃহীত

ভিটামিন-ডি

ভিটামিন-ডি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে ভিটামিন-ডি এর ঘাটতি দেখা দিলে ফুসফুসের রোগ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। সূর্যের আলো এর অন্যতম উত্স। পাশাপাশি দুধ, ডিম, দই, মাছ, মাংস ইত্যাদি থেকেও পাওয়া যায় ভিটামিন-ডি।

গ্রিন টি ও কফি

২০১৭ সালে কোরিয়ান একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত যারা গ্রিন টি পান করেন তাদের ফুসফুসের কার্যকারিতা যারা পান করে না তাদের তুলনায় বেশি ভালো। কফি পান করলে ফুসফুসের শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত নানা রোগ থেকে রক্ষা করে পাশাপাশি ফুসফুসের কার্যকারিতা ভালো রাখতে সাহায্য করে।

পেঁয়াজ, রসুন ও আদা এন্টি ইনফ্লামেটরি হিসেবে কাজ করে। ছবি: সংগৃহীত

গুড় ও মধু

আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, গুড় ফুসফুসকে উষ্ণ রাখতে ও বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে থাকে। আর মধু ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে কার্যকর পাশাপাশি এটি এন্টিঅক্সিডেন্ট, এন্টি মাইক্রোবিয়াল ও এন্টিইনফ্ল্যামেটরি হিসেবে কাজ করে।

মশলা

বেশ কিছু মশলা আছে যেগুলো ফুসফুসের কার্যকারিতা সঠিক রাখতে, প্রদাহজনিত সমস্যা রোধে ও নানা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। যেমন—কাঁচা হলুদ এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। বায়ুবাহিত দূষিত কণার প্রভাব থেকে ফুসফুসকে রক্ষা করে। পেঁয়াজ, রসুন ও আদা এন্টি ইনফ্লামেটরি হিসেবে কাজ করে। নানা সংক্রমণ থেকে ফুসফুসকে রক্ষা, ফুসফুসের রক্ত সঞ্চালন উন্নত ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। কালোজিরা এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে ও শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে কার্যকর।