ছেলের উৎসাহে মাস্টারশেফ কিশোয়ার, অতঃপর বাজিমাত অস্ট্রেলিয়ায়



নাছরিন আক্তার উর্মি, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রান্নাবিষয়ক জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ায় দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন কিশোয়ার চৌধুরী। গত এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ শোতে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। কিশোয়ার যখন চমক দেখিয়ে গ্রান্ড ফিনালে পৌঁছে যান, তখন বাধে বিপত্তি!

বাংলাদেশি গণমাধ্যম কিশোয়ারকে ‘বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী’ বলে পরিচয় করিয়ে দিলেও ভিন্নপথে হাঁটে ভারতীয় গণমাধ্যম। দেশটির গণমাধ্যমে কিশোয়ার চৌধুরীকে ভারতীয় বলে উল্লেখ করা হয়।

দু’দেশের মিডিয়া যাই দাবি করুক—কিশোয়ারের পরিচিতি বাঙালি রান্নায়। একের পর এক বাঙালি রান্না দিয়ে শো-এর বিচারকদের মন জিতে নিয়েছেন তিনি। গ্রান্ড ফিনালে দ্বিতীয় রানার আপ হলেও তিনি মন জয় করেছেন বাঙালিদের। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামে এখন কিশোয়ারকে নিয়ে বাঙালিদের উৎসাহ-উদ্দীপনা।

কিশোয়ারের বাবা ঢাকার বিক্রমপুরের বাসিন্দা ছিলেন। আর মা পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের। প্রায় ৫০ বছর আগে তারা অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান। তবে পারিবারিক আবহে বাঙালিয়ানা ভোলেননি তারা। মেয়ে কিশোয়ারকে গড়ে তুলেছেন বাঙালি মননে। ফলে মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ায় বাঙালি খাবারে বাজিমাত করলেন কিশোয়ার।

একের পর এক বাংলাদেশি খাবার মাস্টারশেফের মঞ্চে তুলেছেন কিশোয়ার। ছবি: সংগৃহীত

বাছাই পর্বে মাছ আর কাঁচা আমের রেসিপির পর একের পর এক বাংলাদেশি খাবার মাস্টারশেফের মঞ্চে তুলেছেন কিশোয়ার। এরপর রান্না করেছেন টমেটো এবং পুদিনা পাতা দিয়ে পাস্তা, টমেটো দিয়ে মাছের ঝোল, শিমের ভর্তা আর জিরা ভাত, গলদা চিংড়ি ভাজা, বিটরুট সবজি, শসা দিয়ে মাছ ভাজা, ফুচকা, চটপটি, সমুসা, দম-আলু আর তেঁতুল চাটনি, রেঁধেছেন খিচুড়ি, বেগুন ভর্তা আর নিরামিষ ভোজ, খাসির রেজালা আর ঘিয়ে ভাজা পরোটা, নেহারি এবং পান্তা-‘ইলিশ’ আর আলুভর্তার মতো বাঙালি খাবার। প্রতিবারই খাবারগুলো বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার সেটি উল্লেখ্য করেছেন কিশোয়ার।

বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার তুলে ধরেছেন কিশোয়ার। ছবি: সংগৃহীত

৩৮ বছর বয়সী কিশোয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের মেলবোর্নের বাসিন্দা। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা অস্ট্রেলিয়াতেই। পেশায় কিশোয়ার একজন ‘বিজনেস ডেভেলপার।’ কিশোয়ার দুই সন্তানের জননী। শিশুকন্যা সেরাফিনার বয়স চার বছর। আর ছেলে মিকাইলের বয়স ১২। কিশোয়ারের স্বামীর এহতেশাম নেওয়াজ।

গ্রান্ড ফিনাল যেমন ছিল

রিয়েলিটি শো মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার জমকালো গ্রান্ড ফিনাল দুই দিন ধরে অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন তিন ফাইনালিস্ট জাস্টিন, পিট ও কিশোয়ার। প্রথমদিন ফাইনাল ডিশে কিশোয়ার রান্না করেন ‘স্মোকড ওয়াটার রাইস’, ‘আলু ভর্তা’ ও ‘সার্ডিন’। অর্থাৎ বাঙালির কাছে চিরচেনা পান্তা-ভাত, আলু ভর্তা আর সার্ডিন মাছ ভাজি।

বাঙালির কাছে চিরচেনা পান্তা-ভাত, আলু ভর্তা। ছবি: সংগৃহীত

ফাইনাল ডিশ রান্না নিয়ে কিশোয়ার বিচারকদের জানান—প্রতিযোগিতায় এমন রান্না সত্যিই চ্যালেঞ্জের। সাধারণ রেস্টুরেন্টে এমন রান্না হয় না। কিন্তু বাঙালির কাছে এটা পরিচিত রান্না। আর ফাইনাল ডিশ হিসেবে এটা রেঁধে নিজের তৃপ্তির কথাও জানান কিশোয়ার।

তার এ রান্না দেখে ও খেয়ে বিচারকেরা রীতিমতো অভিভূত হয়ে পড়েন। ওই রাউন্ডি তিন বিচারক তাকে ১০/১০ দেন। তবে চূড়ান্ত পর্বের শুরুটা কিন্তু বেশ চ্যালেঞ্জের ছিল কিশোয়ারের জন্য। তিনি হাঁসের একটি পদ রান্না করা শুরু করেছিলেন। বিচারকেরা যখন তার রান্না দেখতে এলেন। সবকিছু দেখে জিজ্ঞেস করেছিলেন— ‘এখানে কিশোয়ার কোথায়?’ অর্থাৎ কিশোয়ারের বিশেষত্ব পাচ্ছিলেন না তারা।

চূড়ান্ত পর্বের শুরুটা বেশ চ্যালেঞ্জের ছিল কিশোয়ারের। ছবি: সংগৃহীত

এরপরেই তিনি তার মেন্যু চেঞ্জ করার সিদ্ধান্ত নেন। আর ফাইনাল ডিশ হিসেবে পরিবেশন করেন বাঙালির চির পরিচিত আলু ভর্তা, পান্তা ভাত আর সার্ডিন মাছ। যেই মাছের স্বাদ অনেকটা ইলিশ মাছের কাছাকাছি। চূড়ান্ত পর্বে ফাইনাল ডিশ রেঁধে ৫১ নম্বর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তিনি। প্রথম স্থানে ছিলেন পিট ৫৩ নম্বর নিয়ে।

ছেলের উৎসাহে মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ায় কিশোয়ার

২০২০ সালে যখন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে, তখন কিশোয়ারের মনে হয় সন্তানদের বাঙালি সংস্কৃতি কীভাবে ধারণ করাবেন। তখন চিন্তা করেন নিজের সংস্কৃতি নিয়ে বই লিখবেন তিনি। পরবর্তীতে ছেলের ইচ্ছায় তিনি মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার ১৩তম আসরে আবেদন করেন।

কিশোর জানিয়েছেন, তার ছেলের বয়স এখন ১২ বছর। এমন সময়ে বাচ্চাদের নিজ সংস্কৃতি, পূর্ব-পুরুষদের সম্পর্কে জানতে এবং তা ধারণ করাতে। তিনি ভাবতেন সন্তানদের জানাতে কী রেখে যাওয়া যায়?

পরিবারের সঙ্গে কিশোয়ার। ছবি: সংগৃহীত

তিনি গণমাধ্যমকে জানান, তার মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ায় আবেদন করার কোনো ইচ্ছেই ছিল না। কিন্তু তার সন্তান মিকাইল তাকে বলেন, ‘মা তুমি এটা (মাস্টারশেফ শোতে আবেদন) করো, তুমি অবশ্যই পারবে।’

‘তখন আমি ভেবেছিলাম আমার ছেলে মিকাইল বোধহয় জুনিয়র মাস্টারশেফে যেতে আগ্রহী। কারণ ও ভালো রান্না জানে। তাকে আবেদন করতে বললাম। তখন মাথায় আসলো- আমি আগে আবেদন করে তাদের জন্য একটা উদাহরণ তৈরি করতে পারি। সেই ভাবনা থেকেই আবেদন করি’ বলেন কিশোয়ার।

বাংলাদেশি না ভারতীয়—কী বলছেন কিশোয়ার?

কিশোয়ার বাংলাদেশি নাকি ভারতীয়—তা নিয়ে দুই দেশের মিডিয়া যখন দুই রকম তথ্য প্রকাশ করছেন। ঠিক তখন গণমাধ্যমে নিজের মনন নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন কিশোয়ার।

নিজেকে বাঙালি পরিচয় দিতেই ভালোবাসেন কিশোয়ার। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, ‘আমার বাবা বিক্রমপুরের, খাঁটি বাঙালি। মা বর্ধমানের। ফলে আমি বাংলাদেশি, তবে ইন্ডিয়ানও। তবে সবচেয়ে ভালো লাগে যদি বলি—আমি বাঙালি। বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ—দুটো মিলেই আমার আইডেনটিটি (পরিচয়)। এটা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

কিশোয়ার জানান, অস্ট্রেলিয়া, লন্ডনসহ বিভিন্ন দেশে প্রচুর বাংলাদেশি ফুডের রেস্টুরেন্ট আছে। কিন্তু সেখানে বাঙালি খাবার খুব একটা দেখা যায় না। বেশিরভাগই হয় ভারতীয়। আমার ইচ্ছা ছিল—বাঙালি ফুড আইডেনটিটি তুলে ধরা। আর সেটাই আমি পূরণের চেষ্টা করেছি মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ায়।’

গ্রান্ড ফিনালের দুই প্রতিযোগীর সাথে কিশোয়ার। ছবি: সংগৃহীত

মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া কতটা জনপ্রিয়?

বিশ্বের রান্নাবিষয়ক টেলিভিশন রিয়েলিটি শো-গুলোর মধ্যে মাস্টারশেফ অন্যতম। বিশ্বের প্রায় ৪০টি দেশ তাদের নিজস্ব মাস্টারশেফ আয়োজন করে থাকে। বিশ্বে মাস্টারশেফ অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে ‘মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া’জনপ্রিয়তার দিক থেকে রয়েছে তালিকার শীর্ষে। এটি প্রতিযোগিতামূলক রান্নার গেম শো।

ব্রণ দূর করতে ভরসা রাখতে পারেন লালচন্দনে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ত্বকের যত্নে চন্দন কতটা উপকারী, তা বলা বাহুল‍্য। রূপচর্চায় চন্দনের ব‍্যবহার বহুকাল আগে থেকেই হয়ে আসছে। এখনও সেই চল অটুট রয়েছে। গরমে ত্বকে নানারকম সমস‍্যা দেখা দেয়। ব্রণ তার মধ‍্যে অন‍্যতম। গরমের ব্রণর সমস‍্যা থেকে মুক্তি পেতে ভরসা পারেন লাল চন্দনে। কীভাবে ব‍্যবহার করবেন?

>> লাল চন্দনের গুঁড়োর সঙ্গে লেবুর রস দিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। মুখে মাখার পর, ১০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এই প্যাক খুব উপকারী।

>> তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ সমস্যা হলে গোলাপ জলের সঙ্গে মধু এবং লাল চন্দনের গুঁড়োর ভাল করে মিশিয়ে নিন। রাতে শোয়ার আগে ভাল করে মুখ ধুয়ে এই মিশ্রণ মুখে মেখে নিন। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।

>> স্পর্শকাতর ত্বকে বাজার চলতি কোনও স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন না? ১ চামচ লাল চন্দনের গুঁড়োর সঙ্গে আধ কাপ পাকা পেঁপে মিশিয়ে নিন। শুধু মুখে নয়, এই মিশ্রণ সারা শরীরেই মাখতে পারেন।

;

যে ৫ লক্ষণে বুঝবেন কিডনির সমস্যা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শরীরের ভিতরে কোনও অসুখ জন্ম নিলে তা বাইরে থেকে বোঝা সম্ভব নয়। বিশেষ করে কিডনিতে সমস্যা তৈরি হলে তা ধরা পড়ে অনেক দেরিতে। অনেক ক্ষেত্রেই এমন হয় যে, একটি কিডনি বিকল হয়ে গেলেও কাজ চলতে থাকে অন্যটি দিয়ে। ফলে ক্ষতির আঁচ বাইরে থেকে পাওয়া যায় না। শুধু পাথর জমা নয়, কিডনিতে আরও অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে। সময়ে যদি রোগ ধরা যায়, তা হলে ঠিক আছে। দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হয়। তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠারও সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু সব ক্ষেত্রে তো তা হয় না। বিশেষ করে কিডনি সংক্রান্ত সমস্যার উপসর্গগুলো এতই মৃদু হয় যে, কিছু ক্ষেত্রে বুঝে ওঠাও সম্ভব হয় না। কিডনি যে সুস্থ নেই, তার কিছু ইঙ্গিত পাওয়া যায়। সেই লক্ষণগুলো কী, তা জানা থাকলে সতর্ক হওয়া সম্ভব।

ঘুম না হওয়া

কিডনি ঠিকঠাক না কাজ করলে মূত্রের মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য পদার্থগুলো দেহের বাইরে বেরোতে পারে না। এটি অনিদ্রার অন্যতম কারণ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত মানুষদের ঘুম না আসার সমস্যা সুস্থ মানুষদের তুলনায় অনেক বেশি। হঠাৎই অনিদ্রার সমস্যা হানা দিলে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা জরুরি।

প্রস্রাবের সমস্যা

ঘন ঘন প্রস্রাবের লক্ষণ কেবল ডায়াবেটিসের নয়, কিডনির অসুস্থতার নেপথ্য কারণ হতে পারে। বিশেষত রাতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বার মূত্রত্যাগ করতে হলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া, প্রস্রাবের সঙ্গে যদি রক্তপাত হয়, তা হলেও কিন্তু বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে।

পা ফুলে যাওয়া

কিডনির সমস্যায় শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে পা ফুলে যায়। হঠাৎ এমনটা হলে সতর্ক হতে হবে। কারণ পা ফুলে যাওয়ার সমস্যা ফেলে রাখা ঠিক নয়। শরীরের ভিতরে মারাত্মক কিছু না ঘটলে সাধারণত এমন লক্ষণ ফুটে ওঠে না। তাই সতর্ক থাকা জরুরি।

ত্বকের সমস্যা

কিডনি অকেজো হয়ে গেলে শরীর থেকে টক্সিন বেরোতে পারে না। ফলে শুষ্ক খসখসে ত্বক, ত্বকের ঘায়ের মতো সমস্যা হয়। ত্বকের এই সব সমস্যা কিডনির অসুখের লক্ষণ হতে পারে।

জ্বর

ঠান্ডা লাগেনি, অথচ কোনও কারণ ছাড়াই জ্বর আসছে বার বার। সাবধান, কিডনির সমস্যার কারণেও কিন্তু হতে পারে এমন। ঘন ঘন শরীরের তাপমাত্রা বাড়লে বিষয়টি নজরে রাখুন। চিকিৎসকের সঙ্গেও পরামর্শ করুন বিষয়টি নিয়ে।

;

স্তনে ব্যথা মানেই ক্যান্সার নয়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্তনের ব্যথা মানেই তা নিয়ে গুরুতর ভাবনার বিষয় রয়েছে এমনটা নয়। তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। স্তনের তীব্র ব্যথার পাশাপাশি আর কোন কোন উপসর্গ দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে?

>> বুকে চাপ অনুভূত হলে, বুকের ভিতরটা ভারী লাগলে।

>> স্তনের ব্যথা যদি ঘাড়, গলা, বাহু কিংবা চোয়ালে ছড়িয়ে যায়।

>> মাথা ঘোরার পাশাপাশি হঠাৎ ঘাম।

>> শ্বাস নিতে সমস্যা।

>> হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলা।

স্তনের ব্যথার পাশাপাশি উপরের উপসর্গগুলো হৃদরোগ, স্ট্রোক কিংবা ফুসফুসে রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণ হতে পারে।

যদি ঋতুচক্রে গন্ডগোলের জন্য স্তনে ব্যথা হয়, সেক্ষেত্রে কেবল ঋতুস্রাবের আগে, ঋতুস্রাব চলাকালীন কিংবা ঋতুস্রাবের পরে পরেই হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যথার তীব্রতা অসহনীয় হয় না। এ ক্ষেত্রে দুটি স্তনেই ব্যথা হয়। স্তনে ফোলা ভাবও দেখা যায় তবে কয়েক দিনের জন্য। তবে যদি স্তনে ব্যথার সঙ্গে ঋতুচক্রের সম্পর্ক না থাকে, সে ক্ষেত্রে মাসের যে কোনও সময়ই ব্যথা শুরু হয়। এবং দীর্ঘদিন ধরে ব্যথা থাকে। গোটা স্তনে নয়, স্তনের কোনও নির্দিষ্ট অংশে ব্যথা হয়। ঋতুবন্ধ হয়ে গেলে যদি স্তনে ব্যথা হয়, তা হলে সতর্ক হতে হবে। এছাড়া যাদের স্তনের আকার বড় হয়, তাদেরও অনেক সময় স্তনে ব্যথা হতে পারে।

;

গলা থেকে মাছের কাঁটা নামানোর ঘরোয়া টোটকা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাছে ভাতে বাঙালি, কথাতেই আছে। বাঙালি মাছপ্রিয় বলেই খাওয়ার সময় গলায় মাছের কাঁটা আটকে যাওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু কাঁটার ভয়ে মাছের স্বাদ থেকে দূরে থাকবেন, তা তো হতে পারে না। বরং কাঁটা যদি গলায় ঢুকেও যায়, ঘরোয়া উপায়ে তা বার করার সহজ টোটকাগুলো জেনে রাখুন। কাজে লাগবে।

শুকনো ভাত

কিছুটা শুকনো ভাত সামান্য চটকে নিয়ে দলা পাকিয়ে গিলে ফেলুন। এক বারে না হলে বেশ কয়েক বার চেষ্টা করুন।

পাকা কলা

একটি পাকা কলা একটু বেশি করে নিয়ে চিবিয়ে একবারে গিলে নিন। এতেও উপকার পাবেন।

মার্শমেলো

শুনতে অদ্ভুত লাগলেও মাছের কাঁটা দূর করতে এই ফিকির বেশ উপকারী। একটি বড় মার্শমেলো নিয়ে মুখে কিছুক্ষণ রেখে লালা দিয়ে সামান্য নরম করে নিন। তারপর একবারে গিলে ফেলুন। মার্শমেলোর চটচটে চিনি কাঁটাও আটকে নিয়ে পেটে পৌঁছে দেবে।

ভিনিগার

ভিনিগারে মিশিয়ে নিন পানি। এ বার এই মিশ্রণ অল্প অল্প করে খেতে শুরু করলেই এক সময়ে নেমে যাবে কাঁটা। ভিনিগারের অম্লতা ও কাঁটা নরম করে দেওয়ার ক্ষমতাই এর জন্য দায়ী।

;