ইমিউনিটি বাড়াতে চান?

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা ২৪
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিভিন্ন ধরনের পানীয় শরীরকে হাইড্রেট রাখে।

বিভিন্ন ধরনের পানীয় শরীরকে হাইড্রেট রাখে।

বিভিন্ন ধরনের পানীয় শরীরকে হাইড্রেট রাখে। শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে তুলতে চাইলে আপনার পানীয়তে বা চা, শরবত, জুস ও স্যুপে বিভিন্ন ধরনের ভেষজ ব্যবহার করুন। এটি ইমিউনিটি বাড়াতে দুর্দান্ত কাজ করে। এমনকি বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহ করতে সহায়তা করে।

দেখে নিন, পানীয়তে থাকা ভেষজগুলি কীভাবে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।

বিজ্ঞাপন

 

আদা গলা ব্যথা সারাতে দারুণ কার্যকর।

 

বিজ্ঞাপন

আদা: সর্দি-কাশি কিংবা জ্বর, এই সব সমস্যার ক্ষেত্রে আদা দিয়ে চা বা পানীয় দুর্দান্ত কার্যকর। আদা গলা ব্যথা সারাতে দারুণ কার্যকর। আদা পেটের নানান সমস্যা নিরাময়ের ক্ষেত্রেও দুর্দান্ত উপকারী। আদাতে উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকায় এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে এবং বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে।

 

পেটের সমস্যার নিরাময়ের ক্ষেত্রেও পুদিনা অত্যন্ত উপকারী।

 

পুদিনা: গরমের সময় ক্লান্তি দূর করতে এবং শরীর হাইড্রেট রাখতে পুদিনা পাতার পানীয় খুবই কার্যকর। পুদিনা এবং রোজমেরি সংমিশ্রণে তৈরি চা স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে এবং শরীরকে সতেজ করে তোলে। পেটের সমস্যার নিরাময়ের ক্ষেত্রেও পুদিনা অত্যন্ত উপকারী। পুদিনা ডিটক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করে।

 

চর্মরোগ সারাতেও সহায়ক তুলসী।

 

তুলসী: তুলসী হলো আয়ুর্বেদের অন্যতম চমৎকারী ঔষধি। এটি কেবলমাত্র রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই শক্তিশালী করে না, বিভিন্ন জীবাণুর বিরুদ্ধেও লড়াই করতে পারে। চর্মরোগ সারাতেও সহায়ক তুলসী। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সহায়তা করে।

 

অশ্বগন্ধা আয়ুর্বেদের অন্যতম ঔষধি।

 

অশ্বগন্ধা: অশ্বগন্ধা আয়ুর্বেদের অন্যতম ঔষধি। অশ্বগন্ধা অ্যামিনো অ্যাসিড, পেপটাইডস, লিপিড এবং নিউক্লিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা প্রধানত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক। নিয়মিত অশ্বগন্ধার সেবন মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বিষণ্নতা এবং দুর্বল ঘুমের সমস্যার সাথে লড়াই করতে সহায়তা করে।

 

ব্রাহ্মী উদ্বেগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে দুর্দান্ত কার্যকর।

 

ব্রাহ্মী: ব্রাহ্মীও চমৎকার আয়ুর্বেদিক ঔষধ। এটি উদ্বেগের চিকিৎসা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির ক্ষেত্রে দুর্দান্ত কার্যকর। এটি শরীরে ইমিউনোগ্লোবুলিনের উৎপাদন বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তোলে। এতে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারের মতো অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও উপকারী।

 

মৌরি বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে সহায়তা করে।

 

মৌরি: মৌরি বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে সহায়তা করে। মৌরির পানি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং প্রদাহ হ্রাস করতেও সহায়তা করে। এটি সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করে এবং শ্বাসযন্ত্রের পথ পরিষ্কার করতেও সহায়ক। মৌরি ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং বিটা ক্যারোটিনের অন্যতম উৎস।