বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২১ পালন করেছে হরলিক্স মাদারস প্লাস

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: হরলিক্স মাদারস প্লাস

ছবি: হরলিক্স মাদারস প্লাস

নবজাতকের জন্য মাতৃদুগ্ধ পানের উপকারিতা এবং দুগ্ধদানকারী মায়ের সুস্বাস্থ্য ও পুষ্টির গুরুত্ব সম্পর্কে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেড (ইউসিএল) এর অন্যতম জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ‘হরলিক্স মাদারস প্লাস’।

এ বছর ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২১’-এর প্রতিপাদ্য ছিলো: ‘মাতৃদুগ্ধদান সুরক্ষায়: সকলের সম্মিলিত দায়’ (প্রটেক্ট ব্রেস্টফিডিং: এ শেয়ারড রেসপনসিবিলিটি)। এই প্রতিপাদ্যের সাথে সঙ্গতি রেখে ‘মাতৃদুগ্ধ পানে গড়ি সহায়ক পরিবেশ’ স্লোগানে মাসব্যাপী ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছে ‘হরলিক্স মাদার’স প্লাস’।

বিজ্ঞাপন

কর্মসূচির অংশ হিসেবে ছিল বিভিন্ন জন-সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান এবং ওয়েবিনারের আয়োজন। পাশাপাশি দুগ্ধদানকারী মায়েদের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ডাক্তারী পরামর্শ গ্রহণের ব্যবস্থাও করেছে ব্র্যান্ডটি। এছাড়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সচেতনতা ও দিক-নির্দেশনামূলক একাধিক ডিজিটাল ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে, যেগুলোতে চিকিৎসক, পুষ্টিবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সহ সমাজে ইতিবাচক প্রভাববিস্তারকারী ব্যক্তিবর্গ অংশ নিয়েছেন।

অন্তঃসত্ত্বা এবং স্তন্যদাত্রী মায়েদের জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুতকৃত ‘হরলিক্স মাদারস প্লাস’ বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষিত একটি পুষ্টিমান সম্পন্ন পানীয়। তাদের জন্য পুষ্টিখাদ্য প্রস্তুতকারী দেশের অন্যতম শীর্ষ এই পুষ্টিপণ্যের ব্র্যান্ডটি মায়ের দুধের উপকারিতা সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সরকারের সহায়ক হিসেবে মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালন করেছে।

বিজ্ঞাপন

কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে মাতৃদুগ্ধ পান সম্পর্কে ভুল ধারণা ছড়িয়ে পড়ায় ও তথ্যের অপর্যাপ্ততার কারণে গর্ভবতী ও স্তন্যদাত্রী মায়েদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষতিসাধন হয়েছে। ‘হরলিক্স মাদারস প্লাস’ এর মাসব্যাপী ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য ছিল সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যেমে এসব ভুল ধারণা দূর করা ও সবার কাছে সঠিক তথ্য আরো বৃহত্তর পরিসরে পৌঁছে দেয়া।

বিশেষ করে কোভিড-১৯ সংক্রমণের এই সময়ে মাতৃদুগ্ধের উপকারিতা, স্তন্যদাত্রী মায়ের পুষ্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে নির্মিত শিক্ষামূলক ধারাবাহিক ভিডিও ‘হরলিক্স মাদারস প্লাস’ এর ফেসবুক পেজ থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এসব ভিডিওতে সন্তানকে মাতৃদুগ্ধ প্রদানকালে মাকে বাবার সহযোগিতা ও তার সরব ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

মাসব্যাপী ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে ইউসিএল বিভিন্ন গণমাধ্যমে চারটি সেমিনারেরও আয়োজন করে। এসব সেমিনারে স্বনামধন্য পুষ্টিবিদ ও অংশগ্রহণকারীরা মাতৃস্বাস্থ্য, শিশুদের মাতৃদুগ্ধপান এবং স্তন্যদাত্রী মায়েদের সহযোগিতায় বাবা ও সমাজের দায়িত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন।

এছাড়া, আয়োজিত ওয়েবিনারে অংশ নেন দেশের শীর্ষ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা গর্ভধারণকালীন সময়ের বিভিন্ন বাধা সমূহ নিয়ে আলোচনা করেন এবং জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে মাতৃদুগ্ধের গুরুত্ব তুলে ধরেন। এছাড়া স্তন্যদাত্রী মায়েদের পাশে থাকার স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশের ‘সবুজ জাতি’এর স্বীকৃতি ধরে রাখার জন্য তারা আরো সচেতনতা ও জ্ঞানের প্রসারে জোর দেন।

এ বিষয়ে ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেড (ইউসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কেএসএম মিনহাজ বলেন, ‘সামাজিক উন্নয়নে অনেক অর্জন সত্ত্বেও অপুষ্টি সমস্যা আমাদের জাতীয় পর্যায়ে সবচেয়ে প্রকট সমস্যাগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পুষ্টিগত সুস্বাস্থ্যের বিষয়টি আমাদের সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রে রয়েছে, যেটি নিশ্চিত করতে আমরা আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শ্রীলংকার পাশাপাশি বাংলাদেশকে দ্য ওয়ার্ল্ড ব্রেস্টফিডিং ট্রেন্ডস ইনিশিয়েটিভ (ডব্লিউবিটিআই) এর ‘সবুজ জাতি’ হিসেবে এই স্বীকৃতি প্রদান আমাদের গর্বিত করেছে।’

প্রসঙ্গত, স্তন্যদাত্রী মায়েদের সহযোগিতার ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশ শীর্ষস্থান অধিকার করেছে। ৯৮টি দেশের মধ্যে মাত্র দুটি দেশ এই গৌরব অর্জন করেছে।

কেএসএম মিনহাজ আরো বলেন, ‘এই সফলতা বজায় রাখার জন্য আমাদের অবশ্যই জনসচেতনতামূলক কর্মসূচিগুলো চালিয়ে যেতে হবে এবং গর্ভবতী ও স্তন্যদাত্রী মায়ের সুস্বাস্থ্য ও পুষ্টির ভারসাম্যে নিশ্চিত করতে অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে উদ্যোগী হতে হবে। যেহেতু সব ধরনের অপুষ্টির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জাতীয় এজেন্ডাকে সহযোগিতা করাই আমাদের লক্ষ্য, সেহেতু একটি সুস্থ জাতি উপহার দিতে আমাদের ব্র্যান্ড আরো বেশি সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করবে।’