ডেঙ্গু হলে যা করবেন

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা ২৪
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

-ডেঙ্গু ধরা পড়লে ভয় বা টেনশনের কিছু নেই। তবে কোনো ধরনের চিকিৎসা না করালে অনেক সময় ডেঙ্গু প্রাণঘাতী হতে পারে। এর চিকিৎসার ক্ষেত্রে ন্যাশনাল প্রটোকল বা গাইডলাইন রয়েছে।

-ডেঙ্গু ভাইরাস কারো দেহে ঢোকার পর দেহের প্রায় সব সিস্টেমকে আক্রমণ করে। তাই কারো ডেঙ্গু শনাক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এর নির্ধারিত কোনো চিকিৎসা নেই। কিন্তু সাপোর্টিভ চিকিৎসা ও সঠিক পরিচর্যা করলে জ্বর ভালো হয়ে যায় এবং ঝুঁকিমুক্ত থাকা যায়।

বিজ্ঞাপন

-যাঁদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ভালো, যাঁদের অন্য কোনো জটিল রোগ নেই—তাঁরা সাধারণত বিশ্রাম নিলে, ঠিকমতো পানি পান করলে, প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ ছাড়া আর কোনো ওষুধ সেবন না করলে তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যান।

-এই সময় কোনো ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক, স্টেরয়েড বা ব্যথানাশক ওষুধও ব্যবহার করা যাবে না। বমি করলে আইভি ফ্লুইড দিতে হবে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে।

বিজ্ঞাপন

-ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিকে জীবাণুবাহী এডিস মশা কামড় দিয়ে অন্য একজন সুস্থ মানুষকে কামড়ালে তাঁরও ডেঙ্গু হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্য ডেঙ্গুতে কেউ আক্রান্ত হলে ৯-১০ দিন পর্যন্ত মশারি টানিয়ে তাঁকে আলাদা করে রাখুন।

-ডেঙ্গুর সময় তরল, নরম ও সহজপাচ্য খাবার খান।

-কারো শুধু জ্বর আছে, পাতলা পায়খানা নেই, বমি নেই, মুখে খেতে পারছে—এ রকম হলে হাসপাতালে ভর্তি না হলেও চলবে। বাসায় রেখেই তখন তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব।

-জ্বরের সঙ্গে পাতলা পায়খানা, পেট ব্যথা, বমি হলে, অর্থাৎ বিভিন্ন ওয়ার্নিং সাইন দেখা দিলে হাসপাতালে ভর্তি করাই শ্রেয়।

-শিশু, গর্ভবতী, বয়স্ক ব্যক্তি, কিডনি, হৃদরোগীদের ডেঙ্গু শনাক্ত হলে তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া উচিত।

-গর্ভবতী নারী, হার্টের রোগী, এনকেফালাইটিস ইত্যাদি রোগীর ক্ষেত্রে সমন্বিত চিকিৎসার দরকার হয়।

-যদি কারো প্লাটিলেট ৫০ হাজারের মধ্যে থাকে, তাহলে টেনশনের কোনো কারণ নেই। তবে ৫০ হাজারের নিচে প্লাটিলেট নেমে গেলে তখন হাসপাতালে ভর্তি করা যেতে পারে। প্লাটিলেট ২০ হাজারে নেমে এলেও কিন্তু রক্তক্ষরণ হয় না। ১০ হাজারের নিচে নেমে গেলে প্রয়োজনে প্লাটিলেট দেওয়া যায়।

-ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি আলাদা সেরোটাইপ রয়েছে। কেউ একবার একটি সেরোটাইপে আক্রান্ত হলে তার আরো তিনবার ডেঙ্গু হতে পারে এবং পরবর্তী পর্যায়ে তীব্র ডেঙ্গু বা ডেঙ্গু শক সিনড্রোম হতে পারে। তাই বলা হয়, দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু হওয়া বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।

(মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদের প্রবন্ধ থেকে)